আজ প্রথম আলোর একটা খবর দেখে থ' বনে গেলাম। খবরটা ছাপা হয়েছে বিনদন পাতায়। শিরোনাম এই রকম: গুজ্ঞন নয় সত্যি। তাতে দেখলাম, বাংলাদেশের নায়িকা অপু বিশ্বাস কাজী মারুফের সাথে সিনেমা করবেন। এটা কোনো অবাক হবার কথা নয়।

্বাংলাদেশের সিনেমা সম্পর্কে আমি তেমন জানি না। কিন্তু কদিন আগে খবরের কাগজে ফলাও করে একটা নিউজ এলো, সেটাও প্রথম আলোতে: কাজী হায়াৎ এফডিসি';তে সবার সামনে অপু বিশ্বাসকে লাঞ্চিত করেছেন। অপুকে বেশ কয়েকজন লোক (পুরুষ!) বেধরক পিটিয়েছে। কারণ, অপু বিশ্বাস কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফের সাথে অভিনয় করতে চান নি। বিষয়টা প্রকাশিত খবর পড়ে এরকমই মনে হয়েছে।

পরে একদিন প্রবীন অভিনেত্রী আনোয়ারার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। তাতে তিনি এই ঘটনাকে নেক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন। সে সময়ে তাজ্জব বনে গেছিলাম, কাজী হায়াৎ যিনি স্বঘোষিত অশ্লিলতা বিরোধী জিহাদকারী, তিনি একজন অভিনেত্রীকে... ছি: ছি:। আর আজকের খবরে যখন দেখলাম অপু কাজী হায়াতের ছেলে মারুফের সাথে ছবি করছেন, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে অপু কি শেষ পর্যন্ত বাধ্য হলেন? কাজী হায়াঃ কি তাকে বাধ্য করলেন? বলতে পারেন, সিনেমাওলীর আর জাত-ধর্ম কি? যেখানে কড়ি সেখানেই খেমটা! কিন্তু বিষয়টি যাই হোক একজন নারীর অসহায়তাকেই প্রকাশ করে। এই অসহায়তা আমার, আপনার সমাজের সকলের।

না জানি আর কতজনকে এর বলি হতে হবে? না জানি আর কত জন ভন্ড মুখোসধারী কাজী হায়াৎ ওঁত পেতে আছে?
।