নেপালের ফুটবলে এই অগ্রগতির কারণটা কী? স্থানীয় ক্রীড়া সাংবাদিকদের বিশ্লেষণ হলো, ফুটবল সংগঠকদের বিবাদমান দুই পক্ষ এক হওয়াতেই ফুটবল গতি পেয়েছে। আরও একটি বড় কারণ হলো, নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) অধীনে থাকা তিনটি অ্যাকাডেমি থেকে প্রচুর পরিমান ফুটবলার বেরিয়ে আসছে।
এই সাফেরই দলে আছেন অ্যাকাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা ছয় ফুটবলার। আর বিভিন্ন ক্লাব দলে তো খেলছেন আরও বেশ কিছু ফুটবলার।
আনফা অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ বাল গোপাল মহাজন ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ঢাকার পেশাদার ফুটবল লিগে খেলে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের ফুটবলের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অ্যাকাডেমি একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে। যেখানে ফুটবলারদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে। তাই তারা পূর্ণাঙ্গ ফুটবলার হিসেবে বেরিয়ে আসছে। ”
১৯৯৮ সালে আনফা ফুটবল অ্যাকাডেমির কার্যক্রম শুরু হয়। তিনটি বিভাগে (অনূর্ধ্ব-১২, অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৬) চলছে এই অ্যাকাডেমির কার্যক্রম।
প্রায় ১৫ বছর হলো নেপালে ফুটবল অ্যাকাডেমির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকার ফুটবলের তুলনায় নেপালে অর্থের ছড়াছড়ি কম। কিন্তু সীমিত অর্থেই নেপালি ফুটবলের রং বদল হচ্ছে।
সাফের বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা দেখে নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) সভাপতি গণেশ থাপা একটু সহমর্মী হয়ে বলেন, “আমি জানি, এটা কতোটা কঠিন সময়, এমন বাজে সময় আমিও পার করে এসেছি। এ সময় দেশের ফুটবলের পাশে দাঁড়ানো উচিত সবাইকে।
”
তবে দীর্ঘ ১৯ বছর আনফা সভাপতি হয়ে নেপাল ফুটবলকে কোনো ট্রফি দিতে না পারার যন্ত্রণাও পোড়ায় গণেশ থাপাকে। এবারও তার দলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে সেমিফাইনালে। তবে তার আগে প্রমাণ করেছে ফুটবলে এগিয়েছে তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।