যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
সাধারনত কানাডার কোন খবর ব্লগে না দিতেই চেষ্টা করি। এর কারন আমার দ্বৈত নাগরিকত্বের একটা বাংলাদেশী হিসাবেই বাংলায় ব্লগিং করি। তাই বাংলাদেশের উপর লেখালেখি সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করি। তারপরও কিছু কিছু খবর না বলে উপায় নেই। কারন আমার বর্তমান বাস কানাডার মতোই চাই আমার মাতৃভূতি বাংলাদেশটা গড়ে উঠুক।
যাই হোক খবরটা বলি।
আজ কানাডার ফেডারেল পুলিশ ( আর সি এম পি) কানাডার সরকারী দলের সদর দফতরে তল্লাশী চালিয়েছে। কারন - নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করেছে।
ঘটনা হলো গত ২০০৬ সালের নির্বাচনে কনজারবেটিভ পার্টি বিজয়ী হয়। নির্বাচনের পর যথারীতি সব দল নির্বাচনের খরচের হিসাব জমা দেয়।
নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাশীন দলের হিসাবে গড়মিল পায়। এই নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে এদের মধ্যে বিতর্ক চলছিলো। নির্বঅচন কমিশন খরচের বিশেষ করে বিজ্ঞাপনের খরচের বিস্তারিত প্রমানসহ জমা দিতে বলে। কিন্তু সরকারী দল আর কাগজপত্র দেওয়া যাবে না বলে কোর্টের স্মরাপন্ন হয়।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংবিধানের অধীনে স্বাধীন একটি সংস্থা - এরা কোর্টের দিকে না তাকিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেয় সরকারী দলের সদর দফতর থেকে সকল কাগজপত্র জব্দ করতে।
আর পুলিশ বিভাগ সুড়সুড় করে সেই নির্দেশ পালন করছে।
এই খবরটা যখন দেখছিলাম - ভাবছিলাম বাংলাদেশের কথা। কখনও কি সম্ভব হবে রাজনৈতিক দলগুলোর জমা খরচ জমা দেবার জন্যে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দেবে আর সআই সুবোধ বালকের মতো সেই হিসাব নিয়ে হাজির হবে?
আর হিসাবে হেরফের হলে পুলিশ সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে রাজনৈতিক দলের অফিসে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।