ভাবে মন অকারণ সারাক্ষণ...যখন বাস্তবতা>আবেগ
বুঝতে পারছি না! কী যে হলো!বুঝতে পারছি না কিছুই. . . .
আমার মতো একটা মানুষ এরকম পরিস্থিতিতে পড়ে যাবে-ঠিক মেলাতে পারছি না। সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো লাগছে। আসলে লাগছে বললে ভুল হবে-এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। অনেক ভেবেও কূল-কিনারা করতে পারছি না। নিজের ভেতরের অজানা সত্তা যে এমনিভাবে লুকিয়ে থাকে,এ ক'দিনে যেন প্রতিনিয়ত টের পাচ্ছি।
আর যতোই সেই অজানা অস্তিত্বের মুখোশ একটু একটু করে খুলছে,নিজেকে দেখেই যেন চমকে উঠছি। একেবারে পড়ে যেতে যেতেও নিজেকে সামলাচ্ছি হোঁচট খাওয়া থেকে।
তবু কি চাইছি না,একটাবার সে চোখ রাখুক আমার চোখে??
দমকা হাওয়া ঢুকছে হু হু করে। দপ করে নিভে গেল মায়া-ছড়ানো মোমের আলো। উঠে গিয়ে জানলা বন্ধ করব-ইচ্ছে হচ্ছে না।
আজকাল অনেক কিছুই ইচ্ছে করে না। নতুন কোন লেখা,কম্পিউটারে খটখট,নতুন রেসিপির এক্সপেরিমেন্ট,কিংবা নতুন কোন গান তোলা. . . .সবকিছু কি বদলে গেছে?নাকি বদলে যাচ্ছি আমিই??ওই যে বললাম মেলাতে পারছি না কিছুতেই....
ধড়াম!
যাহ শালা! কারা যে এই ঝড়-বাদলের দিনেও জানলা লাগায়নি! আরে!আমিও তো লাগাইনি!উঠতে গিয়েও বসে থাকলাম। থাক না!না হয় ভাঙলোই,ক্ষতি কি?কত কি-ই তো ভেঙে যাচ্ছে!ভেঙে চৌচির হয়ে যাচ্ছে-এ তো সামান্য জানলার কাঁচ!একটু পরেই ধুলোবালি ঢুকতে শুরু করলো খোলা জানলা দিয়ে। চোখের ভেতর ঢুকে খচখচ করতে লাগলো। ইলেক্ট্রিসিটি তো নেই সেই সন্ধে থেকেই।
মোম নিভে যাওয়ায় চারদিকে কেমন জমাট বাঁধা অন্ধকার। খাট থেকে পা নামাতেই টের পেলাম ধুলোয় ঘরের মেঝে একাকার হয়ে গেছে। চোখের খচখচানিও বন্ধ হচ্ছে না। বাথরুমে গিয়ে চোখে পানি দেয়া দরকার। কিন্তু ওই যে বললাম- ইচ্ছে করছে না!
এটা না হয় ইচ্ছে করছে না বলে করছি না,মানলাম।
কিন্তু ইচ্ছে করলেই কি পারছি মনের খচখচানি দূর করতে??
তবু কি চাইছি না,শুধু একবার,শুধু একটাবার সে চোখটা রাখুক আমার চোখে?!?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।