বিব্রত ঈশ্বর
অর্পিতা অসম্ভব রুপবতী। অর্পিতা ওর পিতার আদরের কণ্যা আর ওর মাতার চোখের মনি। তারা কখনও ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন না। শাসনের বিধি নিষেধও নেই।
অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে একটা অযোগ্য গোয়াড় ছেলের প্রেমে পড়বেনা এটা বাঙালী সমাজে অসম্ভব।
আর ষোল বছর বয়সে সব কিছুই রঙিন ও স্বপ্নময়। সেই স্বপ্নের মোহজালে বিদ্ধ অর্পিতা সেই অযোগ্য ছেলের হাত ধরে পালিয়েছে। গাঢ় প্রেমের টানে গোপন পলায়ন।
আর দশটা বাঙালী মেয়ের মত অর্পিতা চিঠি লিখে গেছে। বাবা আর মাকে চিন্তা করতে না করেছে।
তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। তাদের সুখের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে বলেছে।
চিঠি পড়ে বাবা মা হতভম্ব। আদরের সন্তানের এমন কৃতকর্মের জন্য দুজনই গভীর দু:খে আপ্লুত। দুজন বিলাপ করছেন।
অর্পিতার বাবা বিলাপ করছেন,”হা ঈশ্বর তুমি এটা কি করলে…হা ঈশ্বর তুমি এটা কি করলে…”। অর্পিতার মা অশ্রু বিসর্জন করছেন আর মাঝে মাঝে বলে উঠছেন, “মা অর্পিতা, ফিরে আয় মা.. ঈশ্বর এই ছিলো তোমার মনে… তুমি আমার মেয়ে কে ফিরিয়ে দাও.. ঈশ্বর তুমি অর্পিতাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও…”।
অর্পিতার বাবা-মার বিলাপে ঈশ্বরের দরবার বারবার প্রকম্পিত হচ্ছে। দেবদূতরা সন্দেহজনক দৃষ্টি নিয়ে ঈশ্বরের দিকে তাকাচ্ছেন। তাদের দৃষ্টির ভাষা ঈশ্বর বুঝতে পারছেন।
তারা যেন বলতে চাইছে , “হা ঈশ্বর আপনিও… ছি: ছি: ছি:..”।
সংসার সাজানোর স্বপ্ন নিয়ে অর্পিতা চলছে। অর্পিতার বাবা-মার বিলাপ চলছে। ঈশ্বরের প্রতি দেবদূতদের দৃষ্টিপাত চলছে। শুধু ঈশ্বর ভাবছেন অর্পিতার বাবা-মা কেন তাকে দোষারোপ করছেন!! তিনি তো তাদের মেয়েকে নিয়ে পলায়ন করেন নাই।
অর্পিতার বাবা-মা’র বিলাপ নিয়ে ঈশ্বর ব্রিবত বোধ করছেন। দেবদূতদের দৃষ্টিবাণ তাকে চরম বিব্রত করছে।
ধ্যাত শালা মিস হয়া গেল
অনেক দিন পরে দুই বন্ধুর দেখা। একজন আজ নিবেদিত প্রাণ ধর্মযাজক। অন্যজন সফল ব্যবসায়ী।
দু’জনের পছন্দের খেলা গলফ। বহুদিন পর দেখা হবার পরে দুজনের তুমুল আলোচনা। আগের দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন।
স্মৃতিতাড়িত দুজন পুরানো দিনের মত গলফ খেলতে গেলেন। গলফ কোর্টে ব্যবসায়ী অতি উত্তেজিত হয়ে যান।
তিনি অশালীন বাক্য আওড়ান। এটি তার পুরানো অভ্যাস। তাই ধর্মযাজক বন্ধু তাকে সাবধান করে দিলেন অশালীন কথা না বলার জন্য। কারন ঈশ্বর অশালীন বাক্যকে অপছন্দ করেন।
খেলার মাঠের চিত্র অনেকটা এরকম।
ব্যবসায়ী প্রথমবার ব্যর্থ হলেন। আস্তে করে বলে উঠলেন, ‘ধ্যাত শালা .. মিস হয়ে গেল। ” ধর্মযাজক তাকে সাবধান করে দিলেন অশালীন কথা না বলবার জন্য। আবার ব্যবসায়ী ব্যর্থ হলেন এবং বলে উঠলেন,” ধ্যাত কুত্তর বাচ্চা বল… যা শালা মিস হয়ে গেল। ” আবার ধর্মযাজক তাকে সাবধান করে দিলেন।
ব্যবসায়ী অনেক দিনের অনভ্যাসের কারনে আবার ব্যর্থ হলেন এবং চিৎকার করে উঠলেন, “শুয়োরের বাচ্ছা বল… কুত্তার বাচ্চা স্টিক… মামদার পো কোর্ট ….। যা শালা…আবার মিস হয়ে গেল। ” এবার ধর্মযাজক বললেন, “তুমি আর একবার অশালীন কথা বললে আমি ঈশ্বরের কাছে তোমাকে শাস্তি দেবার জন্য প্রার্থনা করবো। ব্যবসায়ী তুমুল উত্তেজিত হয়ে আরো অশালীন গালিগালাজ শুরু করলেন।
ধর্মযাজক প্রার্থনা করছেন, “ঈশ্বর, তুমি এই অশালীন বাক্য বর্ষনকারীকে শাস্তি দাও।
ঈশ্বর তুমি এই অশালীণ বাক্য ব্যবহারকারীর হাত হতে আমাদের রক্ষা কর। ” ধর্মযাজকের প্রার্থনায় ঈশ্বর সাড়া দিলেন। গলফ কোর্টের উপরের আকাশে ভয়ানক কালো এক টুকরো মেঘ উড়ে এলো। বিজলী চমকাচ্ছে। সেই বিজলী থেকে আকাশ কাঁপিয়ে বজ্রপাত।
বজ্রপাতে ধর্মযাজক মৃত্যুবরন করলেন। ব্যবসায়ী বন্ধু অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন।
গলফ কোর্টে উপস্থিত সকলে গায়েবী আওয়াজ শুনলেন…” ধ্যাত শালা মিস…হয়া গেল….”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।