সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
এক গৃহস্থের বাড়িতে চোর আসছে। শীতের রাত হইলেও গৃহস্থ খুব সচেতন। উনি একটু ঘুষঘাষ শুইনাই বুঝলেন চোর আয়া পড়ছে। বুঝলেন গোয়ালের গরুগুলাই চোরের মূল লক্ষ্য।
তাই শুনশান উইঠা অভ্যস্ত পায়ে গোয়ালের দিকে একা আগায়ে গেলেন। দেখলেন চোর ঠিকই আসছে। চুপচাপ গিয়া পিছন থেকে চোরকে জাপটায়ে ধরলেন। চোর এইটা আশা করে নাই। তাই সেও প্রাণপনে গৃহস্থের সঙ্গে লড়তে থাকলো।
লড়তে লড়তে চোর গৃহস্থকে একেবারে কাবু কইরা ফেললো। প্রথমে গরুর মুখ বাঁধার মুখা দিয়া গৃহস্থের মুখ বেঁধে ফেললো, যাতে চিল্লাইতে না পারে। তারপর তার পরনের কাপড়-চোপড় খুইলা নিয়া গরু বাঁধার জায়গায় তারে বাইন্ধা রাখলো। দুইপায়ে কাইত হয়ে গৃহস্থ ওইভাবে দাঁড়ায়ে থাকলো। এদিকে চোর মশায় ধীরে সুস্থে গরু গাভী সব গুছায়ে নিয়া চইলা গেল।
শুধু বাকী থাকলো একটা দুধের বাচ্চা মানে বাছুর। ছুটা বাছুরকে ছুটা অবস্থায় রাইখা চোর চইলা গেল।
এদিকে গেরস্থের খুব পেরেশান অবস্থা। চিল্লাইতেও পারে না। নড়তেও পারে না।
গরুর মতো দাঁড়ায়ে থাকতে হয়। এই অসহ্য অবস্থায় ভোর হয়ে আসলো।
বাড়ির লোকজন উইঠা গেরস্থকে না দেইখা গোয়ালের দিকে আইসা দেখে এই লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে গৃহস্থ পইড়া আছে। তখন তাড়াতাড়ি তাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা হইলো। পোশাকেরও ব্যবস্থা হইলো।
পোশাক পইরাই গৃহস্থ দৌড়ে গিয়ে একটা লাঠি নিয়া আসলেন। সবাই ভাবলো, উনি চোর ধরতে যাবেন। কিন্তু গৃহস্থ বাছুরটাকে ধইরা বেদম পেটাইতে থাকলেন। আর কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকলেন, কত কইরা কইলাম আমি তোর মা না। আমি তোর মা না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।