মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান বিরোধী নেতা মোহাম্মদ নাশিদ অভিযোগ করেছেন, দেশের উচ্চ আদালত উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর ক্ষমতায় যাওয়া বিলম্বিত করতেই এটা করা হচ্ছে।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ (৪৭ শতাংশ) ভোট পান নাশিদ। কেউ এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গতকাল রোববার দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার রাতেই দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, ১৬ নভেম্বরের আগে ভোট হতে পারবে না।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে বিক্ষোভ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দেন। এ নিয়ে গত দুই মাসে বিভিন্ন কারণে তিন দফায় ওই নির্বাচন পেছানোর ঘটনা ঘটল।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাশিদ। গতকাল তিনি অভিযোগ করেন, আবার তাঁর ক্ষমতায় যাওয়া পিছিয়ে দিতেই সুপ্রিম কোর্ট ঠুনকো অজুহাত দাঁড় করিয়েছেন। রাজধানী মালেতে নাশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন আবার পেছানোর জন্য আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট আবারও কিছু ঠুনকো অজুহাত খাড়া করবেন এবং আমাদের সেই আগের জায়গায় ফিরে আসতে হবে।
’
বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদকে পদত্যাগের আহ্বান জানান নাশিদ। তিনি বলেন, ‘আমার দাবি, প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদকে পদত্যাগ করতে হবে এবং পার্লামেন্টের স্পিকার রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন। তাঁর অধীনেই দ্বিতীয় দফায় ভোট হতে হবে। এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।