আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি তোমাদেরি একজন

দেশ বিরোধী যে কেউ এই ব্লগে ডুকবিনা।

এই আমি রক্ত মাংসের মানুষ সুধুই কি একান্ত আমার?আমার উপর অনেক গুলো মানুষের অধিকার আছে। বাবা-মা ,ভাই-বোন ,আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-পড়শী অনেকের। শিশু বেলায় পাশের বাড়ির যেই কাকু পাকা আম পেড়ে দিতেন তাকে আজ মায়া ভরা চোখে দেখি,মনে পড়ে যায় সেই অন্যায় আবদার গুলোর কথা। কিছুটা সময় গল্প করি পাশে বসে যদিও আমার সময় অনেক মূল্যবান।

তারপরো করি কারন এই আমি হতে তারও অবদান আছে। ফাহমিদ ভাই বললেন উনার বউ রাগ করে যখণ উনি বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে দেরিতে বাসায় ফিরেন। বউকে বুঝাতে চেস্টা করেন ফাহমিদ ভাই -এই আমি একদিনে একটা কম্পানীর কান্ট্রিডিরেক্টর হইনি,অনেকের ভালোবাসা,অনুপ্রেরনা কাজ করেছে। ওদের একটু সময় আমাকে দিতেই হবে। আমার অস্তিত্তে ওরা মিশে আছে,আমি ওদের বাদ দিতে পারিনা।

কথিত আছে-বুড়ু মাকে ভরন পোষণ করতে করতে বিরক্ত সন্তান বাজার থেকে বড় একটা ঝুড়ি আনলো মাকে ঝুড়িতে ভরে ফেলে দিতে। ঝুড়ি ভরে সন্তান যখন বুড়ি মাকে ফেলে দিতে নিয়ে যাচ্ছিলো তখণ তারই ছোট ছেলে বাবাকে ডেকে বলল বাবা দাদুকে ফেলে ঝুড়িটা কিন্তু ফেরত আনবে। তুমি যখণ বুড়ো হবে তখণ তোমাকেও ফেলতে আমার ঝুড়িটা কাজে লাগবে। সন্তানের হুস ফিরে এলো,সে বুঝতে পারলো সে কি করতে যাচ্ছিলো। সেই সন্তান ভুলে বসছিলো তার উপর তার বাবা-মার অধিকার আছে।

বাবা-মা তাকে ভরন পোষণ করেছে তাই তারও দায়িত্ব বাবা-মাকে বুড়ো ব্য়সে দেখা। কামাল,আমার বস ! দূর্দান্ত ডানপিটে ছেলে ছিলো ছোটো বেলায়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা। এস এস সি পরীক্ষার সময় এক লোক তাকে ফরম ফিলাপ করতে ৫০০ টাকে দিয়েছিলো। কামাল আজ স্টাবলিস্ট,সে কিন্তু এখনো তার সেই চাচা মিয়াকে ভুলেনি।

এখনো তার ডাকে সাড়া দেয়,অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে যখন যা পারছে। কামাল মনে রেখেছে এই কামাল গঢ়ে উঠার পিছনে সেই চাচারও অবদান আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।