আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরঞ্চ চলুন ফরিদপুরে,রাহেলার কবর দেখে আসি...

.

আশা করছি ব্লগে এভাবে কিছুটা ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। আর এখানে এরকম করে বলার অন্যতম কারণ;মনে করছি - মানবীর লেখাটি যারা পড়েছেন তাদের কারো কারো মানষিক অবস্থা আমার মতোই হয়ে আছে। এছাড়া ব্লগে যে কয়েকজন বন্ধুকে দেখতে পাই,এখানে লিখতে এসে ভালো সম্পর্ক হয়েছে তাদেরকেও আমার এই অস্থায়ী ও হঠাৎ জাগা মনখারাপ দেখতে দিতে সংকোচ লাগছে না! আমার এক মুস্কিল চলছে কিছু দিন ধরে। সাভারের হতভাগীনি গামের্ন্টস কর্মী রাহেলার জীবনের করুণ শেষ দিনগুলোর কাহিণী মগজের কোনে একশো ওয়াটের বাল্ব হয়ে জ্বলে আছে। কয়েক দিন লাগাতার একই বিষয়ে থাকার কারণে এক ধরনের ঘোরও তৈরী হয়েছে।

এর আগের দফা মানবী যখন রাহেলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন একটি লেখার মাধ্যমে ,৩ বছর আগে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার সময়েও অন্যায়ের বিচার চেয়ে মেয়েটির যথা সাধ্য প্রান উপড়ানো আকুতির দৃশ্য চোখে ভেসে উঠেছিলো। রাহেলা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মরনাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যে দৃশ্য আরো অনেকের সঙ্গে আমিও দেখেছিলাম। যে দেখার দায়ে বিষয়টি পুনঃউত্থাপিত হওয়ার পর কৌতুহল ভরে রাহেলার স্বামী -আত্মীয় স্বজনে মনে ওর জন্য জমে থাকা মায়া আর কষ্ট দেখতে গিয়েছিলাম জামসিং'র টেউটিতে। যে অভিজ্ঞতা ইতোপুর্বে বলেছি। কেউ জেনে থাকবেন।

হঠাৎ করে আবার রাহেলা প্রসঙ্গটি সামনে পড়লো। এবং অনাত্মীয় এই হতভাগীনি পিছু ছাড়ছেনা মোটেই! কিন্তু ওর জন্য কিইবা করতে পারি?এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে , রাহেলার করুণ মুখের ছায়া মাখা কষ্ট দায়ক কোন অনুভূতি থেকে হটকারি ভাবে মুক্তি পাওয়ার জন্য চালাকি ভরা অহেতুক এই লেখা লেখছি। ...কি জানি ...তা সম্ভব হলে এ নিয়ে কোন পাপ বোধ আমার থাকবে না। অল্প অভিজ্ঞতার এই জীবনে করুণ ঘটনা কম দেখেছি কই? কিন্তু সমস্য হচ্ছে রাহেলার মুখটা তবুও মগজে লেপ্টে আছে! ভেবে দেখেছি মৃত রাহেলার জন্য আমার কিছু করার সাধ্য নেই। বরঞ্চ এই অনুভূতি থেকে মুক্তি পেতে রাহেলার ওপর থকে মায়া তুলে নেয়ার চেষ্টা করা ভালো হবে আমার জন্যে।

কারণ, গর্ভধারীনি দরিদ্র মা ছাড়া আর কাউকে রাহেলার জন্য কাঁদতে দেখিনি। আদালত পাড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি নতুন কোন খবর নেই। মানবীর পোস্টে আলোচনাকারী কেউ নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি কি দিয়েছেন? রাহেলার কবর ফরিদপুরে দেয়া হয়েছিল জানি,যদিও বিস্তারিত ঠিকানা জানিনা। খুঁজে বের করা যাবে ব্যপার না! একবার সময় করে কবরটা দেখে আসলে কি হয়!নাকি পোস্তা করে দেব!?কেউ-কেউ শহর থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন গ্রামে গিয়ে যেমন দাদা,বাবা,মা,ভাই-বোনদের কবর পোস্তা করে দেয়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।