চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
প্রশ্নের উত্তর চেয়ে এই পোষ্টটি লেখা।
যতই দিন যাচ্ছে ততই আমাদের জাতীয় রাজনীতির কুতসিত এবং কদাকার চেহারাটি ক্রমশ উদঘাটিত হচ্ছে। যেখানে দেশপ্রেম নেই, নৈতিকতা নেই, আছে ব্যাক্তি স্বার্থ আর টাকার খেলা।
তারপরও এই ব্লগে অনেক ব্লগারকেই দেখা যায়, জাতীয় বড় দলগুলোর পক্ষালম্বন করে বিভিন্ন পোষ্ট দিতে। যা ঐসব ব্লগারদের মেধা আর মননের সাথে যুতসই নয়।
উপরোল্লিখিত ব্লগারদের কাছে কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করছি উত্তরের আশায়।
দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে গুনগত কোন পার্থক্য আছে কি? কোন কোন নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায় কোন একটি দলের মনোয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে অন্য দলের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন যখন তখন প্রথোমত্ত দলের বিষোদগার করেন চোখ বুঝে। এই ভদ্রলোকের দুটি দলের যেকোন একটির সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ছিল।
দুটি দলের কোনটিতেই গনতন্ত্রের চর্চা হয়না বললেই চলে। চলে পরিবারতন্ত্র।
দুটি দলেরই শাসনামলে গডফাদারদের উত্থান ঘটে। দুটি দলই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের সাথে আতাত করে জনসমক্ষেই।
দুটি দলের ছাত্রনেতা এহেন কোন পাপকর্ম নেই যা করতে তারা দ্বীধান্বীত হয় না। নির্বাচিত হলে দেশের উন্নয়নের চাইতে লোটপাটের মাধ্যমে পার্টির ক্ষমতাকে সুসংহত করতেই নেতা কর্মীরা উদ্যম দেখান বেশি।
তৃত্বীয় যে দলটি, মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে তার বিতর্কিত ভূমিকা।
এটা অনেকটাই ষ্পষ্ট যে দলটি ইসলামকে ব্যবহার করে দলীয় স্বার্থে। এমনকি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইসলামিক ব্রান্ডের প্রচলন ঘটিয়ে মুনাফা অর্জনটাই এদের কাছে মুখ্য মনে হয়। এদের প্রথম সারির নেতারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আত্মগোপন করেছিলেন অনেক বছর।
আর ছোটখাট যে বাম-ডানপন্হি দল আছে তারা মনে হয় রাজনীতি করে কোনমতে খেয়ে বেচে থাকার দায়ে।
এটাই যখন আমাদের রাজনীতির বাস্তব চেহারা তখন রাজনীতিতে সচল বর্তমান কোন দলের লেজুড়বৃত্তি করাটা একজন শিক্ষিত সজ্জনের পক্ষে করাটা আদৌ সমীচিন কি?
তারপরও দলীয়করনটা ঠিকই চর্চিত হয় বিস্ববিদ্যালয় এমনকি বিচারবিভাগের অধীনস্থ বিভিন্ন আদালতেও।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আর আইনজীবিরা মাঝে মাঝে উত্তপ্ত হয়ে উঠেন একটি দলের পক্ষালম্বন করে। শিক্ষাদান কিংবা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চাইতে দলের স্বার্থ সংরক্ষনে এরা সক্রীয় হয়ে উঠেন বেশি।
এসবক্ষেত্রেই ব্যাক্তিগত স্বার্থটাই নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করে বেশি।
সামহ্যোয়ারইনে ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির কিংবা হানির সুযোগটি সীমিত। নির্ভীক চিত্তে সত্যের পক্ষালম্বন করলে খুব বেশি ক্ষতিবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
বিরূপ কিছু মন্তব্য হজম করতে হলেও করা যায় সত্যের খাতিরে। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য এই সামান্য ক্ষতিটুকু স্বীকার সতসাহসটুকুও কি নেই আমাদের।
দলীয় রাজনীতির উর্ধে থেকে সামহ্যোয়ার ইনকে কি আমরা এমন একটি প্লাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করতে পারিনা যেখানে দেশ আর দেশের মানুষের স্বার্থটাই হবে কেবলই বিবেচ্য বিষয়।
এটি না করলে আমাদের জাতিগত দৈন চেহারাটি ক্রমশ: প্রকাশিত হবে আর একটি মাধ্যমে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।