আমি কলেজে থাকাকালিন তার প্রেমে পড়েছিলাম । আমি তাকে প্রস্তাব দিয়াছিলাম। সেও রাজি হলো। এভাবে অনেকদিন চলে গেল। ঢাকায় আমার একটা খুব ভালো চাকুরি হলো।

আমি চলে গেলাম ঢাকায়। আমাদের যোগাযোগ হতো নিয়মিত। একসময় সেও বিসিএস এর কোচিং করার জন্য ঢাকা চলে আসে। মনিপুরিপাড়ার একটি মহিলা মেসে উঠে সে। তার একটি চাকুরি হলো জিএমজি এয়ারলাইন্‌সে।

সিলেট এয়ারপোটে পোষ্টিং। চলে গেল সিলেটে। ফোনে আমাদের যোগাযোগ হতো প্রায় প্রতি রাতেই। কিছুদিন পর বিসিএস এর ভাইভা দেয়ার জন্য ঢাকা আসবে কিন্তু নতুন চাকুরি ছুটি কিভাবে পাবে। আমাকে বলল জন্ডিস হইছে দেখিয়ে ডাঃ এর কাছ থেকে মেডিকেল সাটিফিকেট বের করে দিতে।

পরে ছুটি নিয়ে আবারো আসলো ভাইভার কোচিং পরে ভাইভা। পরিক্ষা পরে চলে গেলো সিলেট। কিছুদিন পরে চাকুরি ছেড়ে দিল। আমাকে বলল কোন এক বড় অফিসার তাকে খুব বিরক্ত করত। কুপ্রস্তাবও নাকি দিয়েছিল।

যাইহোক আমি চলে এলাম সিডনিতে সে থাকলো সিলেটে। পরে রাজিব নামের তার এক জিএমজির কলিগের মাধ্যমে আবারো জিএমজিতে চাকির পায় ঢাকা এয়ারপোটে । কিছুদিন পরে আমাকে ফোনে বলল তাড়াতাড়ি দেশে আয় বিয়ে করব। বললাম সেপ্টেম্বরে। সে বিয়ে করল তার থেকে পাঁচ বছর ছোট রাজিবকে।

সিয়াম নামের তার আরেক বয়ফ্রেন্ড আমাকে ফোনে তার বিয়ের খবর দেয়। আমি দেশে গেলাম বিয়েও করলাম। শুনলাম সে ও তার স্বামি দুজনই জিএমজি ঢাকা এয়ারপোটে কাজ করে। সে এখন প্রেগনেন্ট।
।