আল্লাহ আমার রব, সেই রবই আমার সব। দমে-দমে তনু-মনে তাঁরই অনুভব।
দেশ ও জাতির কাছে তার প্রত্যাশা ছিল-মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এক খাঁচায় বাঘের সঙ্গে অবস্থান করেও বেঁচে যাওয়া পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সফিকুল আলম চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা এখনও পূরণ হয়নি।
পাক সেনাদের নির্যাতনে তিনি এক হাত ও এক পা হারিয়ে ভয়াবহ এক স্মৃতি বুকে নিয়ে বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের গোয়াগ্রাম প্রধান পাড়ায় নিভৃতে জীবনযাপন করছেন।
সফিকুলকে পাক সেনারা বাগের খাঁচায় বন্দি করে অমানসিক নির্যাতন করে।
নির্যাতনের নির্মমতা ও তার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে দৈনিক আমাদের সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। প্রতিবেদন দেখে দেশের সুহৃদয় ব্যক্তিরা তাকে চিকিৎসা জন্য সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ও তার পরিবার সাহায্য নিতে অসম্মতি জানান।
তখন তিনি বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চাই। তার এই ইচ্ছে পূরণে সংশ্লিষ্ট কেউ এগিয়ে আসেননি।
১৯৭১ সালে যুব ও ছাত্রদের সংগঠিত করে তাদের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। পাক হানাদার বাহিনী যখন দেশের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন সফিকুল ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। সেখান থেকে দেশের অভ্যন্তরে স্বজনদের দেখতে এসে স্বদেশি শত্রুদের হাতে ধরা পড়েন।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হওয়ায় পাক সেনারা তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের বন্দি শিবিরে বাঘের খাঁচায় রেখে নির্যাতন চালায়। কিন্তু অবাক হলেও সত্য, সেই হিংস্র বাঘেরা তাকে স্পর্শ করেনি।
সূত্র : আজকের দৈনিক আমাদের সময়
পুনশ্চ: সংবাদটি পড়ার পর আমার এক মুরুব্বি বললেন,
আচ্ছা বলতো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আগে করা জরুরী না ৩৬ বছরেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি না দিয়ে, তাদের পুনর্বাসন না করে যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা করে চলেছে , মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অশ্রদ্ধা করে চলেছে তাদের বিচার আগে প্রয়োজন?
আমি জবাব দেবার আগেই উনি বললেন; মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননাকারীদের আগে বিচার প্রয়োজন। কারন রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের সময় খুন করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত।
কিন্তু আমাদের তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বঘোষিত ইজারাদার নেতারা স্বাধীন দেশে বসে সফিকুল আলম চৌধুরীর মতো মুক্তিযোদ্ধাদের ঠান্ডা মাথায় বছরের পর বছর ধরে তিলে তিলে খুন করে চলেছে।
এরা আরো জঘন্য খুনী। এদের বিচার আগে হওয়া উচিত।
এরা ডবল অপরাধী। এরা যুদ্ধাপরাধীদের তাদের রাজনীতির স্বার্থে বিচার না করে জাতির সামনে মূলা ঝুলিয়ে রেখেছে, অন্যদিকে সফিকুল আলম চৌধুরীর মতো অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের তিলে তিলে খুন করে চলেছে।
উনার মন্তব্য শুনলাম।
এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।