বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, “হেফাজতবিরোধী কিছু যুবক পায়জামা পাঞ্জাবী পড়ে ইলেক্ট্রিক কড়াত দিয়ে অল্প সময়ে শত শত গাছ কেটে ধ্বংস করে হেফাজতের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। ”
‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তি এবং প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধের দাবিতে গত ৫ মে ঢাকা অবরোধের পর মতিঝিলে সমাবেশ করে হেফাজত। ওই সমাবেশস্থল থেকে আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ি পুড়িয়ে, ভবনে আগুন ধরিয়ে চলে তাণ্ডব।
হেফাজতকর্মীরা মতিঝিলে টানা অবস্থানের ঘোষণা দিলে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
ওই অভিযানে আড়াই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করলে প্রথমে পুলিশ এবং পরে সরকারি প্রেসনোটে অভিযানের বিষয়ে বক্তব্য দেয় সরকার।
সরকার বলছে, অভিযানে কেউ নিহত হয়নি। তবে দিনের সংঘাতে তিন জন পথচারী, একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১১ জন নিহত হয়।
অবশ্য সরকারের এই বক্তব্য ‘বানোয়াট’ উল্লেখ করে বিএনপির পর হেফাজতে ইসলাম বলে, সরকারি প্রেস নোটের বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট, কাল্পনিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। নিরীহ ঘুমন্ত মানুষের ওপর যে বর্বরোচিত গণহত্যা চালানো হয়েছে তা ধামাচাপা দিতেই হেফাজতের ওপর দায় চাপিয়ে এই প্রেসনোট দেয়া হয়েছে।
বুধবারের বিবৃতিতে আহমদ শফি দাবি করেন “ঢাকা অবরোধ পরবর্তী সমাবেশ চলাকালীন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের এটিএম বুথে অগ্নিসংযোগসহ রাস্তার অসংখ্য গাছ নিধনের সাথে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা জড়িত নয়”।
কোরাআন শরীফ পোড়ানোর মত অপরাধেও ওই স্বার্থান্বেষীমহল জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
হেফাজত আমির বলেন, তারা ওইদিনের ঘটনায় জড়িতদের বিচার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান। পাশাপাশি সদ্য জামিন পাওয়া সংগঠনের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ারও দাবি করেন তিনি।
শফী বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরীকে সুস্থভাবে গ্রেপ্তার করেছেন। তিনি এখন অসুস্থ, বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো এখন আপনাদের দায়িত্বে পড়ে।
গত ৫ মে রাতে মতিঝিল থেকে হেফাজতকর্মীদের তুলে দেয়ার পরদিন গ্রেপ্তার হন বাবুনগরী। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে বাবুনগরী হেফাজতের মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন বলে পুলিশ ইতোপূর্বে জানিয়েছিলো। সরকার বলে আসছে, সেদিন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ছিলো এবং তাতে বিরোধী দলের ইন্ধন ছিলো।
বাবুনগরী আদালতে দেয়া জবানবিন্দতেও ওই ষড়যন্ত্রের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়।
২৩ দিন কারাগারে থাকার পর বুধবার জামিনে মুক্তি পান হেফাজতে ইসলামের এই মহাসচিব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।