অনেক কিছুই আছে, কিন্তু লিখবনা কিছুই! (লিখতে ইচ্ছে করছে অনেক কিছুই, কিন্তু নেই যে কিছুই!) ছুটছে দেখো সবাই মিলে, কদমাকে আজ ধরবে বলে, কিন্তু বলো লাভটা কী? কদমা কী আজ রাত দুপুরে, তেল না মেখে লুঙ্গী পরে, করতে চুরি ছুটছে কী? সবাই ভাগে দশ হাত বেগে, মারবে তাকে খুব যে রেগে, কিন্তু দেখো হচ্ছে কী! মাতব্বরের আম্র বাগে, ন্যাংটা হয়ে সবার আগে, দিচ্ছে কদম দৌড়টা কী! মোড়ল সাহেব খুব সকালে, বেজার মুখে ভাঁজ কপালে, হাঁক তোলেন “ঐ কদমা কই?” “মার ব্যাটাকে পিঠের পরে, শ চার জুতা আচ্ছা করে”,- “কুদ্দুস আমার খড়ম কই?” “এরপর আমার কড়ই গাছে, সব’চে উঁচায় যে ডাল আছে, ঝুলিয়ে দে”- “মইটা কই?” “খুলবি বাঁধন সাঁঝের কালে, রাখবি রাতে টিনের চালে”, “চললুম এবার”-“পালকি কই?” দু দিন পরে ভোর বেলাতে, কাঁপছে কদম বেজায় শীতে, হাটার তবু কমতি নেই, সবার আগে গঞ্জে যাবে, চুরির সদাই বেচতে হবে, দেখলে কেউ আর রক্ষে নেই, শিমুলডাঙার পীর বাড়িতে, সিন্দুকে আর আলমারিতে, যা ছিল তার কিছুই নেই, গত রাতে কে এসেছে, সিঁধ কেটে যে কী করেছে, বুঝতে কারোর বাকী নেই। বিচার হল আরেক দফায়, শাস্তি হলেও লাভটা কী তায়, কদমা থাকে তার মতই, দুদিন গেলেই ঘটবে আবার, চুরির পরে শাস্তি বিচার, চলবে দিন আগের মতই। কারন কদম করেছে পণ, থাকবে বেঁচে সে যতক্ষণ, করবে চুরি ঠিক মতই, কিন্তু কেন এসব হল? ওর তো হওয়ার ইচ্ছে ছিল, আর সকল লোকের মতই!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।