লোকালপ্রেস রফিকুল ইসলাম রীতিমত হাওমাও করে কাঁদছেন। জীবনের প্রথম তার সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। ছয় বছরের মেয়ে রুমানার চোখটাকে হয়তো বাঁচাতে পারবেন না তিনি। কারণ সামর্থ নেই। আরটিভি’র সংবাদ প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন।
যা বেতন পান তা দিয়ে চলে যায়। পরিচিতজনদের কাছে মিডিয়ায় কাজ করা বিরাট মানুষ রফিকুল। যা হয় আর কি। দেড় কোটি বেকার আর ছয় কোটি হতদরিদ্র মানুষের দেশে মিডিয়ার কর্মীরা এমনিতেই সবার বাহবা পায়। কিন্তু তার যখন কঠিন দুর্দিন, তখন সে-ই সবচেয়ে বেশি চুপষে যায়।
না পারে কারো কাছে বলতে, না পারে সইতে। মেয়ের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে দেশে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও হাসপাতালের চিকিৎসা শেষ। এখন নিতে হবে মাদ্রাজ-এর নেত্রালয়ে। সেখানে সব মিলিয়ে খরচ হবে লাখ তিনেকের মতো। অবমূল্যায়িত মূদ্রা আর মন্দার যুগে ৩ লাখ বিডিটি তেমন কোন টাকা নয়।
কিন্তু রফিকুলের কাছে এই টাকাও এখন পাহাড় সমান। টাকা যোগাড়ের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে তার। কয়েকটি টিভিতে স্ক্রল দিয়েছেন, একাধিক পত্রিকায় রিপোর্ট ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়েছেন। কিন্তু মানুষের চোখে পড়েনি তেমন। মানুষের করুণা ছাড়া কিছুই পান নি তিনি।
আমাকে বলেই ফেললেনম ভাই, মানুষ এখন টিভির স্ক্রল বিশ্বাস করতে চায় না। মনে করে ব্যবসা জাতীয় কিছু। গতরাতে এটিএন নিউজে তার মেয়ে রুমানার চিকিৎসা সহায়তা প্রার্থনায় একটি স্ক্রল চলছিল। তখন দ্বিতীয়বারের মতো ফোন করেছিলেন রফিকুল। খুব কাঁদলেন।
বললেন, এমন শক্ত সামর্থ বাবা থাকতে চোখের আলো নিভে যাচ্ছে আমার ছোট্ট মেয়েটির। টিভিতে স্ক্রল চলছে, ভাই আমি ওইদিকে তাকাতে পারছি না.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।