!!!
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছিল দৈনিক আজকের কাগজ। দেশের অনেক বড় বড় সাংবাদিকদের শুরুটা এখান থেকেই। কিন্তু প্রথম শ্রেনীর এমন চলমান একটি জাতীয় পত্রিকা হুট করে বন্ধ হয়ে যাওয়াটা কারোই বোধগোম্য নয়। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়েছে আজকের কাগজ কর্তৃপক্ষ। এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করবে না যে আর্থিক সংকটের কারণে আজকের কাগজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এটা অবিশ্বাস্য!!! আমার ধারণা এমন একাধিক আজকের কাগজ বিনা সার্কলেশনেই চালানোর সামর্থ্য আছে এর মালিক পক্ষের। । মৌলবাদের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিবাদী কন্ঠ ছিল আজকের কাগজ। বর্তমানে আন্ডার গ্রাউন্ডে মৌলবাদীদের রমরমা অবস্থার কথা শোনা যাচ্ছে, তারা এখন অনেক ক্ষমতাশালী। তাহলে কি ধরে নেব মৌলবাদীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিফলনই আজকের কাগজ বন্ধ হওয়ার মূল কারণ?
তাহলে এরপরের টার্গেট কোন মিডিয়া? প্রচলিত একটি কৌতুককে কেন্দ্র করে আকা সামান্য একটি কার্টুনকে নিয়েও শুরু হয়েছে তোলপার।
যে ইস্যুর জের ধরে বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা তলছে দেশের অন্যতম প্রধান দৈনিক, দৈনিক প্রথম আলোকে। ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ২৪ ঘন্টার নিউজ চ্যানেল সিএসবি নিউজকে। ইটিভিকেও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
ইদানিং দৈনিক সমকালেও মৌলবাদীদের নিয়ে বেশ লেখালেখি হচ্ছে। এর সম্পাদক কালের কন্ঠ জনাব আবেদ খান এর উপরও মৌলবাদিদের রয়েছে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ।
তাহলে তো নেক্সট টার্গেট এরাও হতে পারে!
সিএসবি নিউ এবং দৈনিক আজকের কাগজসহ দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়লো আরও প্রায় ১ হাজার। সামনে হয়তো আরও বাড়বে...। দেশে এখন সৃজনশীলদেরকে নিধনের প্রক্রিয়া চলছে, সবাই সাবধান। !!!
দৈনিক আজকের কাগজের প্রাক্তন কর্মী হিসেবে সবার জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।