কম্পিউটারটির কাজের গতি কমে গেলে সেটি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সহজেই এড়ানো যায় এই সমস্যা।
গতি বাড়িয়ে নিন স্টার্টআপের
বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারের গতি কমে আসার কারণ, কম্পিউটারটি চালু হবার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক সফটওয়্যার বা টাস্ক চালু হয়ে যাওয়া। Autoruns-এর মতো টুল ডাউনলোড করে সফটওয়্যারগুলো স্টার্টআপের সময় চালু হয়ে যায়। তবে সবসময় প্রয়োজন পড়েনা এমন সফটওয়্যারগুলো ডিসএবল করে রাখতে পারেন।
অথবা ব্যবহার করা যেতে পারে উইন্ডোজের বিল্ট ইন ইউটিলিটি MSConfig। স্টার্টআপ ট্যাবে গিয়ে সার্চ বা রানে টাইপ করুন MSConfig। এরপর আইটিউনস, অব্যবহৃত মেসেঞ্জার বা প্রিন্টারের মতো যে সফটওয়্যারগুলো পিসি চালু হবার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজন হয়না, টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন সেগুলোর ওপর থেকে। এরপর পিসি রিস্টার্ট করলে সেগুলো নিজে নিজে চালু হবে না। ফলে কিছুটা বাড়বে এর গতি।
বেছে নিন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
ইন্টারনেট সার্ফিং যদি খুব ধীরগতির হয়, কয়েকটি সহজ পরিবর্তন এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করলে তার বদলে গুগল ক্রোম ব্যবহার করুন। দ্রুত গতির সার্ফিং সুবিধার কারণে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গুগলের ব্রাউজারটি। ক্রোম সেটিংস থেকে ‘ক্লিয়ার ব্রাউজিং ডেটা’য় যান এবং কুকি, ক্যাশ, ব্রাউজিং হিস্ট্রি এবং ডাউনলোড হিস্ট্রির মতো টেম্পোরারি ইন্টারনেট ফাইলগুলোর ওপর টিক দিন।
এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন পিরিফর্মের সফটওয়্যার CCleaner।
সফটওয়্যারটি ব্রাউজার, উইন্ডোজ এবং রেজিস্ট্রির সব টেম্পোরারি ফাইল মুছে ফেলে গতি বাড়িয়ে দেবে আপনার কম্পিউটারের।
আনইনস্টল করুন অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
অব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো আনইনস্টল করলে চাপ কমবে আপনার পিসির ওপর। উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের মতো সফটওয়্যারগুলো চালাতে প্রয়োজন হয় অনেক বেশি কম্পিউটিং ক্ষমতার। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার না করলে আনইনস্টল করে দিতে পারেন। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ওপেন সোর্স ফ্রি অ্যাপ্লিকেশন, যা কম্পিউটারের র্যাামের ওপর কম চাপ সৃষ্টি করে।
ব্যবহার করা যেতে পারে ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার। ওপেন সোর্স মিডিয়া প্লেয়ারটি ডিভিডি রিপ করে এবং প্রায় সব ফরম্যাটের মিডিয়া ফাইল চালাতে পারে। অ্যাডোবি রিডারের বদলে ব্যবহার করতে পারেন FoxIt Reader যা অ্যাডোবি রিডারের তুলনায় কম র্যা ম ব্যবহার করে। মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ওপর সোর্স ওয়ার্ড প্রসেসর AbiWord এবং অ্যাপাচির Open Office।
চালু করে দিন অটোম্যাটিক আপডেট
সফটওয়্যার আপডেট নোটিফিকেশন সামনে আসলেই আলসেমি করে ‘রিমাইন্ড মি লেটার’ ক্লিক করা যেনো একরকম অভ্যাসেই পরিণত হয়েছে আমাদের।
রিমাইন্ড মি লেটারে চাপতে চাপতে কম্পিউটারের গতি এতোটাই কমে আসে যে, শেষ পর্যন্ত পুরো একটি দিনই পার করতে হয় সফটওয়্যার আপডেট করতে গিয়ে। পুরো একদিন সফটওয়্যার আপডেট করে কাটানো এড়াবার সহজ উপায় হচ্ছে সফটওয়্যার আপডেটগুলো অটোম্যাটিক করে দেয়া।
মাই কম্পিউটারের প্রপার্টিজ থেকে চলে যান অটোম্যাটিক আপডেট অপশনে। নিশ্চিত করুন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের আপডেটগুলো যেনো অটোম্যাটিক ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হয়ে যায়। কোনো সফটওয়্যার ম্যানুয়ালি আপডেট করার প্রয়োজন আছে কিনা তা জানতে FileHippo.com থেকে Update Checker সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটার স্ক্যান করে কোনো সফটওয়্যারের আপডেট অনলাইনে আছে কিনা তা জানিয়ে দেবে মুহ‚র্তের মধ্যে।
প্রয়োজনে আপগ্রেড করুন হার্ডওয়্যার
কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর কার্যকর উপায়গুলোর একটি হচ্ছে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার। আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড কিনে মাদারবোর্ডে ব্যবহার একটু জটিল হলেও গতি বাড়ানোর উপায়গুলোর একটি এটি। কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হচ্ছে র্যা ম বাড়িয়ে নেয়া। র্যালন্ডম অ্যাকসেস মেমোরি বা র্যািমের ক্ষমতা বাড়ালে গতি বাড়বে আপনার কম্পিউটারের।
সফটওয়্যার ডাউনলোডের জন্য সবসময় ডাউনলোড ডটকমhttp://download.cnet.com/ বা এ ধরনের নির্ভরযোগ্য সাইট ব্যবহার করুন।
তবে, যারা সফটওয়্যার ইনস্টলসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন অপশন নিয়ে কাজ করেছেন তেমন অভিজ্ঞতা থাকলেই কেবল আলোচিত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নইলে যে কোনো ভুল আপনার ঝামেলাই কেবল বাড়াবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।