দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী! গতকাল রাতে এক ভাইয়া কে একটা কাগজের স্ক্যান কপি মেইল করতে হবে। নিজের বাসায় স্ক্যানার না থাকার দরূন ছুটতে হল রাজশাহী শহরের সোনাদিঘী মোড়ের এক কম্পিউটারের দোকানে। দোকানে বসে কিছু অভিজ্ঞতা হল যা শেয়ার করছিঃ
দোয়াকনের ভিতেরে ঢুকে প্রথম যেটা চোখে পড়ল তা হল দকানে যে ছেলেটা বসে মেইল এড্রেস লেখা, মেইল এড্রেস www দিয়ে শুরু । মেইল এড্রেস www শুরু হয় কিনা এই ব্যাপারে টেকি ভাইদের হেল্প চায়
দোকানে বসে আছি, যে টাইপ করে সে একটা অফিসের ডকুমেন্ট ফাইল কাস্টমারের মন মত বানাতে পারছে না। আমাকে কয়েকবার বলার পর সে ঠিক মত বানাতে পারল।
শেষে কাস্টমার বলল লেখার চারপাশে বক্স টা উঠিয়ে দেন। ছেলেটার জবাব আমি এটা পারি না। আমিও কিছু বললাম না।
আমার কাজ চলছে, এমন সময় আরেকজন এসে ভাই বাংলাদেশ ব্যাংক এর জবের জন্য আবেদন করব, দোকানদার বলল আপনার ইমেইল এড্রেস খোলা আছে ,যদি খোলা থাকে তাহলে লাগবে ৩০ টাকা আর না খোলা থাকলে ১০০ টাকা মানে তারা ইমেইল এড্রেস খুলতে নেয় ৭০ টাকা । আমি থ, মনে মনে ভাবছি কত যে হুদাই ইমেইল এড্রেস খুলি আর এই মানুষটার খুলতে লাগবে ৭০টাকা।
যাক লোকটা শেষে না খুলে চলে গেল।
এরপর দোকানদার আমাকে বলল ভাই আপনি কি কম্পিউটারে কাজ পারেন, তাহলে আপনার লেখা একটু টাইপ করা শুরু করেন, কি করা নিজের কাজ ভেবে টাইপ করা শুরু করলাম!!!
এরপর আসল একজন সিনিয় সিটিজেন,চাচাজানের বয়স প্রায় ৫৭ তিনি ইংলিশে নিজের জন্য সিভি টাইপ করবেন। দোকানের ছেলেটার একটা করে ভুল হচ্ছে আর তার তর্জন গর্জন। আর বানান সিউর হওয়ার জন্য আমাকে ধরেছে। আমি ইংলিশে খুব একটা ভাল না হলেও যে বানান গুলো বলছে সেগুলো পেরেছি।
শেষে উনাকে বুঝালাম বানান ভুল হলে লেখার নিচে লাল দাগ আসবে আর ঐখান হতে সঠিক বানান পাওয়া যাবে। তাও তিনি বেচাররা ছেলেটা কে ধমক মারতেই থাকলেন আর আমি আমার কাজ শেষ হওয়ায় দোকান থেকে বের হয়ে আসলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।