এই পৃথিবীর সব কিছুই পাতানো, কলকাঠি নাড়ছে....... একজন; শুধুই একজন।
আমি যে গ্রামে গিয়েছিলাম তার নাম বড়ইয়া, রাজাপুর উপজেলার (ঝালকাঠি জেলা) এই গ্রামে আমার বাবার জন্ম হয়েছিল। আমার বাবা আমাদের নিয়ে সেই গ্রামে বেড়াতে গেলেন প্রায় ৪০ বছর পর।
গ্রামের সবাই আমাদেরকে অনেক সমাদর করেছিল, আমার মনে আছে, আমার বাবাকে শুধু সৌজন্যতার জন্য বাজার হাটে প্রায় ৪০ কাপ চা খেতে হয়েছিল।
গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ি থেকেই অনেক রকম পিঠা বানিয়ে পাঠানো হয়েছিল আমাদের জন্য।
সত্যি বলছি,আমি প্রতিটি মুহুর্তই খুব মজা পেয়েছিলাম সেখানে।
আমি যেদিন ঢাকায় ফিরে এলাম, খুব পবিত্র মনে হলো শহরটাকে, আসলেই অনেক দিন পর ঢাকায় আসলে এমনটিই মনে হয় আমার। তবে আমার নানা, নানী এবং তাদের সেই বাড়ীর পরিবেশ আমি ভুলতে পারি নি। তাদের ঘরের পাশেই একটা বড় পুকুর, পুকুরের পাশে বড় বড় গাছের ছায়াময় পরিবেশ খুবই মনোরম ছিল। কিছুদিন সেই পুকুরে ছিপ ও ফেলেছিলাম আমি।
মাছ ধরতে পারি নি একদিনও, তবুও ছিপ ফেলেই অনেক মজা পেয়েছি।
আগামীকাল আমি সেই গ্রামে আবার যাচ্ছি। বাবাকে ফোন করা হয়েছিল ঝড়ের রাতেই, এর পর তিনদিন কারও সাথেই যোগাযোগ হয়নি । জানি না, সিডর কতটুকু ভয়াবহ হয়েছে তাদের জন্য, জানি দেখতে পাবো না আগের কোন রুপ,
ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।