ভালোবাসার ঊর্বশী বুকে লেখা আছে এক নাম- সে আমার দেশ, আলগ্ন সুন্দর ভূমি- বিমূর্ত অঙ্গনে প্রতিদিন প্রতিরাত জেগে ওঠে তার উদ্ভাসিত মুখ
জিজ্ঞাসার অন্তরালে/ শেখ জলিল
কতোটুকু রক্তক্ষরণ হলে আবার জেগে ওঠে প্রেম
বৈতরণীর ওপার থেকে নেমে আসে চাঁদ
ব্যাধের কোকিল পাখ নেড়ে বলে- ভালোবাসি এ মৃত্যুকে!
ধরার বুকের কাছে অগাধ জলসম্ভার রেখে লুৎফা তো সূর্যের দিকে গেলো
আমাদের দিনান্তের কাজ সেরে আমরা এলাম নদীঘাটে
স্তিমিত সূর্যের বুক থেকে শুষে নিলাম আলোক এক মুঠো
দু'হাতে স্ফটিক তুলে পশ্চিমের আকাশকে তুমি বললে, লুৎফা কে?
আমরা তো ভোরের আলোক চেয়েও রাতের আঁধারে দাঁড়াই এসে
লুৎফা অন্ধকারে জ্বলে ওঠা হঠাৎ আলোক
মারী ও বন্যার কাছে তার যুগান্তর অভিসার
এক ঝাঁক শুভ্র ডানা মেলে লুৎফা নক্ষত্রের দিকে চলে যায়।
আমরা তো মোহময় বাগানের কাছে প্রণয়ের কথা বলি
লুৎফা জ্যোৎস্নার প্লাবনে শেফালী বিলাস
এক বুক গন্ধ নিয়ে লুৎফা জানালার আরশিতে যায়।
আমরা তো নদীর জলের কাছে আমাদের সুখের মূর্চ্ছনা তুলি
লুৎফা স্রোতের কিনারে অব্যক্ত দুঃখের স্বরলিপি
অন্তহীন বিরহের দিকে লুৎফা চিরকাল হেঁটে যায়।
আরাধ্যের কাছাকাছি একদিন হৃদয়ের কথা হবে
পরিমেয় লালিত্যের কাছে একদিন আজন্মের গান হবে
নিকানো দীঘির জলে জেগে রবে চাঁদ
আমরা আবার ভালোবাসার শিথানে ধূপধূনো দেবো
ফাগুনের কোকিল ডেকে উঠবে লুৎফা, লুৎফা
তার আগেই চলো না আমরা বিরানপুরে যাই!
প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল, ১৯৮৭
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।