কেএসআমীন ব্লগ
মোবাইল ফোন হচ্ছে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী দেশব্যাপী ওয়্যারলেস কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। ৬টি অপারেটর দেশের আনাচে কানাচে এই নেটওয়ার্ক স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কাজ এগিয়েই চলছে। এই সহজলভ্য নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে অতি সহজেই এদেশে বড় বড় নির্বাচনের কাজও সম্পন্ন করা যায়। এরজন্য ভোট বাক্সের দরকার নেই, ভোটার লিস্ট ছাপানোর প্রয়োজন নেই।
সম্পূর্ণ পদ্ধতিটা হবে সহজ, কার্যকর ও অতি অল্প খরচে।
মনে করুন আপনার ভোটার বা জাতীয় পরিচয় নম্বর হচ্ছে SP-098-765-7654, এখন এই নাম্বাটিকে সরকার ভোটার বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারে। মোবাইল নাম্বার এর সাথে পরিচয়পত্রের সংযুক্তি বাধ্যতামূলকও হতে পারে।
এখন ধরুন প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন হচ্ছে, প্রার্থীদের আদ্যক্ষর হচ্ছে K, E, F, H, L ইত্যাদি। ভোটের দিন নির্দিষ্ট সময়ে আমি আমার ফোন থেকে 8683 (VOTE) এই নাম্বারে SP-098-765-7654 K লিখে SEND করতে পারি।
অর্থাত ভোটার নাম্বারের পর একটি স্পেস দিয়ে প্রার্থীর নামের আদ্যক্ষরটি দিলেই হলো।
যাদের মোবাইল ফোন নেই তারাও সহজেই ভোট দিতে পারবেন। সেজন্য ভোটের সময়ে নির্বাচন বুথে যেতে হবে ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভোটার আইডেন্টিফিকেশনের পর ভোটকেন্দ্রে থাকা নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনে বা কম্পিউটারে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ভোট প্রদান করতে পারেন।
একজনের মোবাইলে একাধিক ব্যক্তিও ভোট প্রদান করতে পারেন, তবে এতে কারচুপির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গরীব, অশিক্ষিত মানুষের ভোটার নাম্বার নিয়ে ইচ্ছেমত ভোট প্রদান হয়ে যাবে।
আমি যে পদ্ধতিটা বলেছি তা প্রায় ৯৫% কারচুপি মুক্ত ও ইফেক্টিভ। পৃথিবীর কোথাও এমন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা জানি না। না হয়ে থাকলে আমরা কি পথিকৃত হতে পারি না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।