আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুধারামের প্রত্যাবর্তন!!! সাথে কিছু খাইজু্ড়্যা প‌্যাঁচাল!!!!

!!!

ঈদের দুইদিন আগে দুই বন্ধু বাড়িতে যাচ্ছিলাম। একটি খালি সিএনজি যাচ্ছিল, ডাকলাম। গাবতলী কত? একশো টাকা হইলে যাবো। একেবারে বাটার জুতার স্টাইলে ভাড়া, কোন দরদাম করার সুযোগ নেই। দুজনই উঠে পড়লাম।

কিন্তু সিএনজিতে উঠার পরপরই নিজেকে কেমন যেন মোটা মোটা মনে হলো! সচারচার সিএনজিতে মাঝারি সাইজের তিনজন উঠলেও জায়গা কিছুটা ফাঁকা থাকে, কিন্তু আজকে দুজনেই গোটা জায়গা দখল করে ফেলেছি? কিছুটা অবাক লাগলো। এর পর সিটের পিছন দিকে তাকালাম, তারপর মনে হলো কি যেন নাই!!! কি নাই? তখন মনে হলো সিএনজির সিটের পিছনে তো ব্যাগ রাখার খালি জায়গা থাকে সেটা নেই। ঘনবসতির কারণে যেহেতু সারা দেশেই জায়গার সংকট চলছে তবে কেন সিএনজিতে থাকবে না এই বলে মনকে সান্ত্বনা দিলাম। যখন সিএনজিটি চলা শুরু করলো তখন লক্ষ করলাম এর গতির চেয়ে শব্দ বেশি আর এর ঝাঁকি মাশাল্লা সদ্য প্রবেশকৃত খাদ্যদ্রব্যকে হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য উপযুক্ত ছিল। রাস্তা খারাপ হতে পারে এই ভেবে তাও মেনে নিলাম।

কিন্তু আরও কিছুদুর যাওয়ার পর সিএনজির শব্দটি ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করলাম। এটা তো মটর সাইকেলের শব্দ। সিএনজির ভিতর থেকে মটর সাইকেলের শব্দ? ড্রাইভারের সামনে তাকাতেই দেখা গেল তার সিটের নিচেই ইঞ্জিন। আরে এতো সিএনজি না মিশুক !! ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করা হলো এটা কী ভাই সিএনজি না মিশুক ? ড্রাইভার উত্তর দিল- ভাই এটা মিশুক, সিএনজির বডি লাগাইছি তো তাই সিএনজির মতো মনে হইতেছে। যাত্রা পথের শুরুতেই খেলাম ছ্যাঁকা।

যা হোক ননস্টপ ঝাঁকি আর মিশুকের কলকাকলীতে সিএনজিরুপি মিশুকে গাবতলী পৌছালাম। প্রথমে টার্গেট ছিল মফিজ পরিবহনে (নবীণবরন) পাটুরিয়া যাবো। কিন্তু না ভাগ্য আমাদের পক্ষ নিল। নামকরা একটি বাসে ভালো দুটি আসন পেয়ে গেলাম। বাসে উঠে সীট নাম্বার খুঁজে পাচ্ছিলাম না কারণ সীটের গায়ে কোন নাম্বারই ছিল না! টিকিটের সাথে থাকা সীট প্লানিং (ডায়াগ্রাম) দেখে মিলিয়ে সীট খুঁজে বের করলাম।

কিছুক্ষণ পর সুপারভাইজার সাহেব চক দিয়ে সীট নাম্বার লিখে দিয়ে গেলেন!! সীট নাম্বার ঘষায় ঘষায় উঠে যেতেই পারে, মনকে আবারও বুঝালাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর খেলাম দ্বিতীয় ছ্যাঁকা। বাসের লাইট যখন জ্বালানো হলো তখন ভিতরটা একটু ভালোভাবে দেখার সুযোগ হলো। বুঝতে পারলাম এর অবস্থাও ছিল ঐ সিএনজির মতো! ঢাকার রাস্তায় চলা রাজধানী সিটিং বাস এটি! শুধু এর সামনের গ্লাসে চুন দিয়ে ঐ নামকরা পরিবহনের নাম লিখে একে দুরপাল্লার গাড়িতে পরিণত করা হয়েছে। যদিও সীটে বসতে একটু কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু চামে ছেড়ে দিলাম, কিছুই বললাম না যদি যাওয়ার এই সামান্য অবলম্বনটুকুও হাত ছাড়া হয়ে যায়!!!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।