আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ সপ্তাহরে সাপ্তাহকি একতায় প্রকাশতি একটি লখো



এ সপ্তাহরে সাপ্তাহকি একতায় প্রকাশতি একটি লখো শশিু অধকিার বষিয়ে উৎসাহীদরে জন্য শিশু নির্যাতন, নিপীড়ণ ও শোষণের ভয়াবহতা বন্ধ হবে কবে? নাদিমূল হক মন্ডল নাদিম একটি দেশের সার্বিক অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ উন্নতি সেদেশের শিশুদের অবস্থার উপর নির্ভরশীল। নিসন্দেহে শিশুরা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানব সম্পদ। শিশুদের যথার্থ মানবসম্পদ হয়ে উঠা নির্ভর করে মৌলিক অধিকার ও যথার্থ বিকাশের সুযোগ নিয়ে বেড়ে উঠার উপর। কিন্তু সত্য হলো শিশু অধিকার সনদে প্রথম স্বার করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়েও সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে এক ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। নির্যাতন ও নিপীড়ন শিশুদের জীবনের বাস্তবতা হয়ে দাড়িয়েছে।

শিশু নির্যাতনের অধিকাংশ ঘটনা অপ্রকাশিত থেকে যায়, সারাদেশজুড়ে শিশু নির্যাতনের প্রকৃত সংখ্যার খুব সামান্য অংশই আমরা জানতে পারি। তারপরও প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে কোন না কোন শিশু নির্যাতনের ঘটনা আমরা জানতে পারছি। যে সকল ঘটনা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সংবাদপত্রসহ অন্যান্য গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারছি সেগুলোর নির্যাতন নিপীড়নের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির বিভৎসতায় আমরা আশ্চর্য হচিছ । শুধু আমরাই নই যেকোন সচেতন মানুষেরই আতকে না উঠে উপায় থাকেনা। ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে শিশু নির্যাতনের এক বিভৎস চিত্রের সন্ধান পাওয়া যায়।

গাছ থেকে পেপে ছেড়া কতটুকু বড় অপরাধ? এটি কী খুব ভয়াবহ কোন অপরাধ যার জন্য কারো ফাসি হতে পারে? কিন্তু ট্রাজিক বাস্তবতা হলো গাছ থেকে একটি পেপে ছেড়ার মত সামান্য ঘটনার কারনেই গাজীপুরে ছয় বছরের অবুঝ শিশু সাগরকে জীবন দিতে হয়েছে। প্রতিবেশী গাছ মালিক শহীদ ও তার লোকজন পেপে ছিড়ে খাওয়ার অপরাধে শিশু সাগরের ঘাড় ধরে দেয়াল ও মেঝেতে ঠুকতে থাকায় ঘটনাস্থলেই সাগরের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ’তুই বাড়ী যা, আমি বাবার সঙ্গে বাড়ী ফিরব’ এই প্রতিশ্র“তি দিয়েও আর কখনোই বাসায় ফিরতে পারেনি রাজধানীর শ্যামপুরের ৭ বছরের কিশোরী তানিয়া। বাবার দোকানে যাওয়ার পথের রাস্তায় নরপশুরা তাকে অপহরন করে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমাদের প্রচলিত সামাজিক কাঠামোয় ধর্ষণকারীর শীড় নত হয়না বরং উল্টোটাই ঘটে, ভিকটিম শিশুর পরিবারটিকেই বরং অভিযোগ তোলার খেসারত দিতে হয় নানানভাবে, যেমনটা ঘটেছে দোহারে।

ঢাকার দোহারে প্রথম শ্রেণীতে পড়–য়া মা হারা এক শিশুকে স্থানীয় দুই মাস্তান ধর্ষণ করায় পরিবারটি দোহার থানায় মামলা করলে মাস্তানরা বাসায় এসে মামলা তুলে নিতে বলে, মারধর করে এবং হত্যার হূমকি দেয়। শিকরা আদর্শ মানুষ, তারা হবেন মানুষ গড়ার কারিগর- এগুলোই শিকদের কাছে সমাজের প্রত্যাশা। এই শিকরাই কখনো কখনো তাদের রকসত্তাকে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়ে নিজেরাই ভক হয়ে উঠে, যেমনটা ঘটেছে নওগার বদলগাছীতে। বৃত্তি পরীায় ভালো ফলাফলের জন্য অভিভাবকেরা তাদের কোমলমতি মেয়েদের মোশাররফ হোসেন নামক জনৈক শিকের কাছে পাঠিয়েছিল কোচিং করার জন্য। কিন্তু লম্পট শিক কৌশলে খাতা দেখানোর নাম করে একজন একজন করে ছাত্রীকে তার অফিস কে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালাতো।

কুকীর্তির কথা বাবা মা সহ সহপাঠীদের না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায় এবং পরীায় ফেল করানো হবে বলেও শাসায়। পরে আবার যখন ওই প্রধান শিক এক ছাত্রীকে অফিস কে নিয়ে দরজা বন্ধ করে যৌন নির্যাতন চালায় তখন পরের দিন থেকে ঐ ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয় এবং বাবা মা স্কুলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে স্কুলের প্রধান শিকের কুকীর্তির কথা প্রকাশ করে দেয়। শিকদের দ্বারা শিশু নিপীড়নের আরো অসংখ্য ঘটনা সংবাদপত্রে এসেছে। এমনই একটি হলো রাজশাহীর গ্রেড ওয়ানের ছাত্র শারদিক শালীন শরণ্যকে স্কুলের প্রিন্সিপাল ষ্টিফেন গোমেজ কর্তৃক নির্যাতনের ঘটনাটি। সামান্য অভিযোগে সাত বছর বয়সী শরণ্যকে সংশিষ্ট শিক অমানুষিকভাবে নির্যাতন করেন এবং শার্টের কলার ধরে তিন তলা থেকে নিচে নামিয়ে দেন (যুগান্তর, ১৪.৫.২০০৭)।

ছোট শিশুটিকে বৈশাখের প্রখর রোদ্রে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড় করিয়ে রাখা হয়। রাতে তীব্র জ্বর ও ব্যথায় ছটফট করতে থাকা শিশুকে জিজ্ঞেস করে বাবা মা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন এবং শিকের বর্বরতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। শিশুদের উপর এ ধরনের নির্মম নির্যাতন শিশু অধিকারের লংঘন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক উত্যক্ততায় অতিষ্ট হয়ে বেশ কবছর আগে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল চারুকলার ছাত্রী সিমি। সিমির মৃত্যু পরবর্তী সময়ে উত্যক্ততার বিরুদ্ধে একধরনের গণজাগরন তৈরী হয়েছিল পুরো দেশজুড়ে।

কিন্তু দু:খজনক সত্য হলো বখাটেদের উত্যক্ততা থামানো যায়নি। সিমিরই মত সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক উত্যক্ততায় অতিষ্ট হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে পূর্ব ধোলাইপাড় ইডেন স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী রীনা রায়। ঢাকায় চাকর বা গৃহভৃত্য হিসেবে শিশুদের নিয়োগ একটি সাধারন ঘটনা। গবেষনায় দেখা গেছে নগরীর ৪৪ শতাংশ পরিবারেই সার্বনিক গৃহভৃত্য আছে এবং ১৯ শতাংশ বাড়ীতেই রয়েছে খন্ডকালীন চাকর। সার্বনিক গৃহভৃত্যদের বড় অংশই শিশু, তারা যে ধরনের কাজে যুক্ত থাকে তার ধরন ’বাধা কাজ’ ।

গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে ১৩/১৪ বছরের শিশুদের নিয়োগ করা হলেও বাসাবাড়ীতে কাজের মেয়ে হিসেবে যাদের নিয়োগ করা হয় তাদের বয়স এদের চেয়েও কম থাকে। গৃহকর্মে যারা নিযুক্ত হয় তাদের অনেকেরই বয়স থাকে ৭/৮ বছরের মধ্যে। অধিকাংশ েেত্রই শিশু কাজের মেয়েদের রাতে ঘুমানোর জায়গা হয় রান্না ঘর, নয়তো বেডরুমের মেঝেতে। তাদের জন্য আলাদা রুমের কথা চিন্তাও করা হয়না, সবার খাওয়া শেষ হলে গৃহকর্ত্রীর দেয়া নির্দিষ্ট পরিমান খাবার তাকে খেতে হয়। ট্রাজেডী হলো দিনের বেশীরভাগ কাজ শিশু গৃহকর্মীদেরই করতে হয় অথচ তাদেরই দেয়া হয় সবচে কম পুষ্টিকর খাদ্য।

গৃহের প্রয়োজনীয় নানান কাজে যারা সবসময় সাহায্য করে সেই গৃহকর্মী শিশুদের উপর নির্যাতনের খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। নারায়ণগঞ্জের নয় বছর বয়সী শিশু ঢাকার টিকাটুলিতে কাজ করতে এসে নির্যাতনের শিকার হয়। রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু ইয়াসমিন জানায় যে প্রতিদিনই তার উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চলতো। তাকে খেতে দেয়া হতোনা, উপরন্তু প্রতিটি কাজের জন্যই তাকে প্রহার করা ছিল গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর স্বভাব। আর কখনো কখনো শিশু গৃহপরিচারিকাদের উপর নির্যাতন এমন বিভৎস কদর্য আকার ধারন করে যে মানসিকভাবে সুস্থ্য কোন ব্যক্তির পে সেসব কল্পনা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

এমনই এক বিভৎস ঘটনা আমরা প্রত্য করেছি খোদ রাজধানীর বুকেই। ধানমন্ডির এক ছয়তলা অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে দুই শিশু গৃহকর্মীকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল (প্রথম আলো, ১৮.৯.০৬)। এ ঘটনায় মনিমালা (১৫) মারা গেলেও গুরূতর আহত মাধবীলতা (১২) প্রানে বেচে যায়। তার কাছ থেকে জানা যায় মণিমালা ও তাকে গৃহকর্ত্রী ছাদে নিয়ে যান এবং একপর্যায়ে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেন। কাজে ভূল কিংবা সামান্য দেরী হলেই মণিমালা ও মাধবীকে মারধর করা হতো।

নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বাড়ী চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে প্তি হয়ে গৃহকর্ত্রী মণিমালা ও মাধবীকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় । আবার উত্তরায় গৃহকর্ত্রীর খুন্তির নির্মম আঘাতে লাশ হয়ে যাওয়া এতিম কিশোরী স্বপ্না দুমুঠো ভাতের জন্য গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়েছিল (সংবাদ, ২৬.১২.০৬, যুগান্তর, ২৬.১২.০৬)। তার অপরাধ ছিল চায়ে চিনি কম দেয়া। এই সামান্য অপরাধেই গৃহকর্ত্রী কলি খান স্বপ্নাকে লোহার খুন্তি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে খুন্তির সূচালো গোড়া দিয়ে স্বপ্নার ঘাড়ে আঘাত করায় লোহার খুন্তি শরীরের গভীরে ঢুকে যায় এবং রান্না ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করতে করতে মৃত্য হয় গ্রাম থেকে ভাতের স্বপ্নে শহরে আসা কিশোরীর।

বাড়ী যেতে চেয়েও যেতে পারেনি মনিমালা ও মাধবী- গুরুত্বপূর্ণ সত্য হলো বেশীরভাগ কাজের মেয়েরই কখনো নিজের ইচছায় বাড়ীতে যাওয়া হয়ে ওঠেনা, বছরে বড়জোর একবার বাড়ীতে যেতে দেওয়া হয়। যে শিশু পরিচারিকারা এতিম কিংবা যাদের সাথে তাদের পরিবারের যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ তারা থাকে সবচে অরতি অবস্থায়। দুমুঠো ভাতের জন্য কাজ করতে যেয়ে কেন দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিশুদের বারবার জীবন দিতে হবে?? ুধার বিরুদ্ধে নির্ভীক এই শিশু কর্মীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার দায় আমাদের সকলের । আমাদের দেশে শিশু অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের ব্যপকতা টের পাওয়া যায় বিচিত্র সব সংবাদে। ‘গরু চুরির অভিযোগে ২ শিশু আদালতে!’ (সমকাল, ১০ মে,২০০৭) শীর্ষক সংবাদ থেকে বের হয়ে আসে শিশু অধিকার নিয়ে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের মুর্খতার বিষয়টি।

আবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বন কর্মকর্তা অননুমোদিত সমিল চালানোর দায়ে ৬ বছরের শিশু কাজল রানাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন (সমকাল, ৩০.৪.০৭) । আরো ভয়াবহ বিষয় হলো অশিশুসুলভ, বেমানান কাজে শিশুদের ব্যবহার আশংকাজনক হারে বাড়ছে। গত বছরের উত্তাল দিনগুলোতে আমরা প্রত্য করেছি কিভাবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নীতিনৈতিকতা ভূলে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার করেছে (প্রথম আলো ৩০ নভেম্বর, ২০০৬, যুগান্তর ১ ডিসেম্বর, ২০০৬)। নির্যাতনের অন্য একটি মাত্রা নি:সন্দেহে পীর হিসেবে শিশুদের ব্যবহার করার দিকটি। শিশুদের পীর সাজিয়ে টাকা পয়সা কামানোর ধান্দার খবর প্রকাশিত হয়েছে (প্রথম আলো, ২১.১.০৭)।

মে মাসে একাধিক নবজাতক শিশুকে পাওয়া গেছে অরতি অবস্থায় পড়ে থাকতে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের প্রধান গেটসংলঘœ রাস্তার ফুটপাথে পড়েছিল ছেড়া কাথায় মোড়ানো সদ্যপ্রসুত এক শিশু। অবাক বিস্ময়ে নবজাতকটি তীব্র কান্নায় অধিকার ঘোষনা করতে সচেষ্ট হলেও কঠিন বাস্তবতা হলো জন্মের পরই শিশুটি হারালো যেকোন শিশুর জন্য সবচেয়ে প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকারটি। জন্মের পরই মায়ের øেহ থেকে বঞ্চিত হওয়া নি:সন্দেহে এক ভয়াবহ দূর্ভাগ্যজনক পরিনতি। আরো ট্রাজেডী হলো মা দিবসেই ঘটেছে এমন এক ঘটনা যেখানে পরিত্যাক্ত হলো নবজাতক।

এসব কিছুই ধারাবাহিক ঘটনা, আমাদের সমাজে নিত্য ঘটছে। কিছু ঘটনা সংবাদপত্রে আসে, কিছু আসেনা। এসব ঘটনা আমাদের নিসন্দেহে এই উপলব্ধিতে পৌছতে সাহায্য করে যে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে শিশুরা, বিশেষ করে প্রান্তিক ও দরিদ্র শ্রেনীর শিশুরা এক ভয়ংকর সময়ের মধ্যে বেড়ে উঠছে। শিশু অধিকারের লংঘন একটা সাধারন বাস্তবতায় পরিনত হয়েছে। পরিসংখ্যানও এ্ক নিকষকালো ও অন্ধকারাচ্ছন্ন বাস্তবতাকেই ইঙ্গিত করছে।

আমাদের দেশের আঠারো বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা প্রায় ছয়কোটি এবং এদের মধ্যে ৭৪ লাখ শিশু কর্মজীবী। দেশে এখনো ১৩ লাখ শিশু ঝুকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত (প্রথম আলো, ১.০৫.০৭, ভোরের কাগজ, ৩.৫.০৭)। বিভিন্ন কারাগারে ৪৬১ শিশুর বন্দী অবস্থায় থাকার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ‘সুযোগ চাই, বাধা নয়- করব আমি বিশ্ব জয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩০ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস। বাংলাদেশে শুধু কন্যা শিশুরাই নয়, অধিকাংশ শিশুর জীবনই বৈষম্য ও বঞ্চনায় ভরা।

আর বৈষম্য ও বঞ্চনার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রকাশ হলো নির্যাতন ও নিপীড়ণ। বৈষম্য, বঞ্চনা, নির্যাতন, নিপীড়ণ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস এর ঘোষিত মূল প্রতিপাদ্য ‘সুযোগ চাই, বাধা নয়’ এর সবচেয়ে বড় বাধা। এই প্রতিন্ধকতাগুলো জীবনের প্রথম পর্যায়েই কচি লাউয়ের ডগার চেয়েও কচি শিশুদের জীবনের স্বাভাবিক গতিকে থামিয়ে দেয়। তাই শিশুদের উপর যেকোন ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন তৈরীর দায়িত্ব আমার, আপনার- আমাদের সকলের। নাদিমূল হক মন্ডল নাদিম* সামাজিক নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.