কোথায় পাব শান্তি,তাই খুজেঁ বেড়াই।
ইসলামের বর্নে বর্নে যারা কেবল রক্তের গন্ধ পান,তাদের জন্য এক বড় দুঃসংবাদ। দুঃসংবাদটি হলো,যদের হয়ে তারা এতদিন এই নির্জলা মিথ্যে সভ্যতার ফেরি করে ফিরল,তারাই এখন কাতারে কাতারে ইসলাম গ্রহন করতে শুরু করেছে। যারা এতদিন পৃথিবীব্যাপী গনিকা নারীর মতো আলো আধারের গলি গুলোতে নীল সভ্যতার ক্যানভাস করে ফিরছে,রক্ষনশীল খদ্দেরদের বাগে আনতে কোমল কন্ঠে প্রচার করছে মুহাম্মদ সন্ত্রাসী(নাউজুবিল্লাহ)। সেই উদার সভ্যজনদের ঘরে ঘরে হিড়িক পড়ে গেছে মুহাম্মদ নাম রাখার জন্য।
কি বিস্ময়কর কি নির্মম সত্য। মুহাম্মদীদের বাড়িঘর গুলো বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে,নিষ্পাপ শিশুদের রক্তে লাল করা হলো দেশের পর দেশ। তবুও ঘরের স্রোত থামছে না। বনী ইসরাইলের সকল পুত্র সন্তান হত্যা করেছিল ফেরাউন মূসা নবীর আগমনকে ঠেকাবার জন্য। অবশেষে সেই মূসা আলাইহিসসালাম দুধে ভাতে আদরে আহলাদে লালিত হলো খোদ ফেরাউনের ঘরে।
হাজার হাজার বছর পর সেই অতীত ইতিহাসের কি আশ্চর্য পুনরাবৃত্তি। বুশ টনিরা যখন আফগান ও ইরাক গিয়ে রৈ রৈ করে মুসলিম খুন করছে,তখন তাদের দেশের তাদের ভাগ্যবান সন্তানরা কালেমা পড়ে মুসলমান হচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত ইসলাম গ্রহনের হার তাদের ভাষায় "আশংকাজনক" ভাবে বৃদ্বি পাচ্ছে। আল্লাহু আকবার । এইতো খোদার কুদরত। নও মুসলিমদের কিছু ভিডিও ও লেখা এখানে পাবে।
টার্নটুইসলাম। লন্ডনের দ্যা সানডে টাইমসের মহিলা সাংবাদিক ইভান রিডলি। তালিবানদের সময় তিনি আফগানিস্তান গিয়াছিলেন। তালিবানদের হাতে দশদিন বন্দি ছিলেন। তারপর মুক্ত হয়ে লন্ডনে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।
এক ম্যাগাজিনে সাক্ষাত্তকারে তিনি লিখেছেন,আমার ভাগ্য ভাল যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী(!) তালিবানদের হাতে দশ দিন বন্দী ছিলাম। দেখুন তার নিজস্ব সাইট। ইভানরিডলি। এখন তিনি বহু জায়গায় সভা সমাবেশ করছেন আর ইসলাম সম্পর্কে ব্রিটেনবাসীকে সঠীক ধারনা দিচ্ছেন। আসলে এই ইসলামকে কেউ কোনদিন ধংস করতে পারবেনা।
উদাহারন দিচ্ছি তাতারিদের নিয়ে। চেঙ্গিস খান আর হালাকু খানের তান্ডবে তখন মুসলমানদের কেন্দ্রীয় খেলাফত ধংস হয়ে গেছে। মুসলমানরা পরাজিত। কিন্তু যারা সেই বাগদাদ ধংস করেছে ১২৫৮ সালে তারাই সেই বাগদাদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে। মুসলমান হয়েছে মুঘলরা।
আমাদের এই উপমহাদেশ দেখুন। প্রায় সব সম্রাটরাই মুঘল । অথচ তারা এসেছিল মুসলমানদের ধংস করতে । কিন্তু তারা পরাজিত জাতির ধর্ম মানে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিল। পরবর্তীতে আমি একটি পোষ্ট দিব এই নিয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে।
গনতন্ত্রের লাগামহীন উদারতা যেমন পাশ্চাত্য মানবতা আর পাশবিকতাকে একাকার করে দিয়েছে,সেই গনতন্ত্রই আবার মুক্তপ্রান অনেক তরুন তরুনীকে ইসলাম সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। আরো মজার ব্যাপার হলো,সে ইসলাম ও ইসলামের নবী সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। সে তার সাধ্যের গন্ডীব্যাপী এই জানাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে । ফলে ভয়ংকর ঘোলাজলের ভেতরও অনেকে ইসলাম সম্পর্কে,ইসলামের অনুপম নবী সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
আদা-পানি খেয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে,ইসলাম জঙ্গী ধর্ম।
মুহাম্মদ (সঃ) হলেন সেই জঙ্গীবাদের প্রবক্তা নায়ক। অথচ ইতিহাস পড়ে ইউরোপ আমেরিকার নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে,এ শুধুই মিথ্যে প্রচারনা। উদ্দেশ্যমূলক ভন্ডামী। হযরত মুহাম্মদ(সঃ) মানবতার এত উচু সোপনে অধিষ্ঠিত ছিলেন,একদা যারা তাকে ও তার সাথীদের হত্যা করতে চেয়েছিল,নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছিল,মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল,শত আবেদনের পরেও যারা মুসলমানদের বিতাড়িত করেছে। তিনি গেলেন মদিনায়।
মুহাজির হিসেবে। কিন্তু হায় মক্কার মুশরিকের দল মুসলমানদের ধংস করতে চলে গেল মদিনায়। তখন তিনি সত্যের স্বার্থে মানবতার বিশাল কল্যানের স্বার্থে যদিও যুদ্বের নির্দেশ দিয়েছেন,কিন্তু সে নির্দেশ ও ছিল মানবতার মূর্ত দলিল। তিনি যুদ্বে পাঠাবার সময় তার সঙ্গীদের এই মর্মে নির্দেশ দিতেন,তোমরা যুদ্বের ময়দানে শিশু-নারী ও বৃদ্বদের আঘাত করবেনা। একটি হাদিসে আছে তিনি শ্রমিকদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
এবং চার্চ ও অন্যান্য ধর্মীয় ইবাদত খানার সাথে সম্পৃক্ত লোকদের হত্যা না করতে । তিনি কোন সম্প্রদায়ের উপর পূর্ব ঘোষনা ছাড়া অতর্কিত হামলা করতে নিষেধ করেছেন। নিষেধ করেছেন লাশ বিকৃত করতে।
মক্কা বিজয়ের সময় ঘোষনা করেছিলেন কোন আহত ব্যাক্তির উপর করবেনা। কেউ পালিয়ে যেতে চাইলে ধাওয়া করবেনা।
কোন কয়েদীকে হত্যা করবেনা। কাউকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতে নিষেদ করেছেন।
সুতারং আগ্নোয়াস্রের তেলেসমাতিতে শহর,শহরের শিশু-নারী-বৃদ্বসহ পুরো মানব বংশ নিধনে যারা ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ডের গর্বিত মালিক তারা কিভাবে বলে রাসূল(সঃ) সন্ত্রাসী(নাউজুবিল্লাহ)।
(অসমাপ্ত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।