"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"
শনিবারটা আমার এক্সক্লুসিভ থাকে। কোথাও যাই না। পারতপক্ষে কাউকে দেখাও দেই না। আপন মনে পড়া, লিখা, গান শোনা, মুভি দেখা ক্বচিত "ইসাবেলা" এভাবে আমার শনিবার কাটে।
আজ অফিস থেকে বের হবার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিওএস : ১১ সার্কুলার পেলাম। অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সময় সীমা যেহেতু ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ সেই হেতুকে টেনে নিতে শনিবার সব ব্যাংক খোলা। ক্যাশ কাউন্টার খোলা রাখার মাজেজা বুঝলাম। কিন্তু অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট খুলবার মাজেজা কি?
ঈদ আসুক, কোন সরকারী ছুটি আসুক যাই আসবে ব্যাংক খুলে দিতে হবে। এর আগে রপ্তানীর সাথে জড়িত সব এডি(অথরাইজড ডিলার) ব্রাঞ্চ খোলা রাখার এক খেলা শুরু হয়েছিলো ব্যবসায়ীদের অনুরোধে।
আমার ব্রাঞ্চে কোন লেনদেন হয়নি। টেবিল আঁকড়ে বসে থাকতে হয়েছে।
সামনে ঈদের ছুটি আসছে ১২,১৩,১৪,১৫ দেখা যাবে একদিন ছুটি বাতিল করে দিবে, না কোথাও যেতে পারব, না ছুটি উপভোগ করতে পারব! আমরা ব্যাংকাররা কি মানুষ না?
যে শালা এতদিনে কালো টাকা সাদা করেনি সেই কুত্তার পুত ঐ একদিনে রাজস্ব জমা দিয়ে উল্টিয়ে ফেলবে? আমাদের তো এত অপ্রদর্শিত আয় থাকে না, ঐ সম্বন্ধীর পুতদের বৈধতার সুযোগ কেন দেয়া?
১২ঘন্টা কাজ করে এক একজন যে বেতন পাই তাতে দামী আন্ডার গার্মেন্টস ও কিনতে পারা যায় না। আবার ছুটি বাতিল! আমি ব্যাংকে গেলেই প্রবৃদ্ধি দৌড়াবে? ব্যবসায়ীদের পাছায় বাঁশ ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে প্রবৃদ্ধি বের করতে বললেই কি আর বের হয়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।