আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মজার এক চেটিং সফ্টওয়্যার ট্রিলিয়ান

সুখীমানুষ

আজকাল চেটিং শব্দটির সাথে পরিচিত নন এমন কাউকে খুজে পাওয়াটা কঠিন। এই চেটিং যে আজকাল কত প্রয়োজনীয় একটি যোগাযোগ ব্যাবস্থা তা বলা বাহুল্য। স্কুল, কলেজে ও ইউনিভার্সিটির ছেলে মেয়েদের কাছে চেটিং মানেই অনেক মজার একটা জিনিস। বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে, ইয়াহু রুমে ঢুকে নতুন নতুন বন্ধু খুঁজে নিতে এর জুরি নেই। কিন্তু এই চেটিং ই আবার খুলে দিতে পারে আপনার ভাগ্যের দোয়ার।

চেটিং করে উন্নত দেশের মানুষের সাথে খাতির করে অনেক সুযোগ সুবিধা আজকাল অনেকেই নিচ্ছেন। অনেকে বা বিদেশে’র কাজ পেতে, বিদেশে চাকুরী পেতে দিচ্ছেন চেটিং এ ইন্টরভিও। যাক, এত কিছু বলার কারন হলো, এই চেটিং যে আপনি করবেন তার জন্য আপনার দরকার ভালো একটি সফ্টওয়্যার। চিন্তা করে দেখুন, ইয়াহু, এমএসএন, আই আরসি, আই সি কিও ইত্যাদি চেটিং সার্ভিসের জন্য কি আপনি আলাদা আলাদা সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করবেন? শুধু মাত্র ইয়াহু আর এমএসএন ই আপনার র‌্যাম এ দখল করবে প্রায় ৮০ মেগাবাইট মেমরি! আমার মতে, সবচেয়ে ভালো সফ্টওয়্যার হলো ট্রিলিয়ান। ।

এবার আসুন আমরা একটু খতিয়ে দেখি কেন ব্যাবহার করা যেতে পারে এই ট্রিলিয়ান। ১। আপনি যত খুশি ইয়াহু,এমএসএন ইত্যাদি আইডি তে একই সাথে লগইন করে থাকতে পারবেন। করতে পারবেন ফাইল শেয়ারিং। ২।

যত খুশি আইডিতে লগইন থাকুন না কেন (ইয়াহু,এমএসএন ইত্যাদি) র‌্যাম এ দখল করবে মাত্র ৮ মেগা’র কাছাকাছি মেমরি! ৩। আপনার চেটিং হিষ্টোরি জমা থাকবে ব্যাক্তি ও তারিখ অনুসারে। যে কোন সময় দেখে নিতে পারেন পুরনো কথাবার্তা। হয়ত অনেক জরুরী তথ্যের জন্য আপনাকে চ্যাটিং হিষ্টোরি যারপরনাই সাহায্য করবে। ৪।

আপনি যার সাথে কথা বলছেন তার ব্যাবহৃত সবকয়টি ডিসপ্লে পিকচার জমা থাকবে আপনার চ্যাটিং হিষ্টোরিতে। ৫। আপনার যদি ইন্টারনেট না ও থাকে, লোকাল ল্যান এ আপনি অন্য ইউজারদের সাথে করতে পারেন চ্যাটিং এবং ফাইল শেয়ারিং। ৬। আপনি কম্পিউটারের সামনে না থাকলে যদি কেই মেসেজ দেয় তখন ট্রিলিয়ান একটা উত্তর দিয়ে দিবে যে আপনি এই মুহূর্তে কম্পিউটারের সামনে নেই।

এই মেসেসটি আপনি নিজের মত করে সেট ও করে দিতে পারিন। ৭। চ্যাটরুমে ঢুকতে নিবে খুবই কম সময়। ৮। মজার ব্যাপার হলো, আপনি ইনষ্টল্ড ট্রিলিয়ান ফোল্ডারটি কপি করে রেখে দিতে পারেন আপনার পেন ড্রাইভে।

যেখানেই যান না কেন, নতুন করে ইনষ্টল করার কোন ঝামেলাই নেই। শুধু ট্রিলিয়ানটি ওপেন করুন। ব্যাস আপনার সমস্ত হিষ্টোরি নিয়ে ওপেন হয়ে যাবে ট্রিলিয়ান। এমনটা অনেক সময়ই হয় যে, হয়ত অনেক আগে একটা ইয়াহু বা এমএসএন আইডি খুলেছিলেন যা নাকি আর ব্যাবহার করছেন না। কিন্তু এতে রয়ে গেছে আপনার বেশ কিছু বন্ধুদের লিষ্ট।

কোন সমস্যা নেই যত খুশি আইডিতে লগইন করে আপনি একসাথে সবকয়টা থেকেই চ্যাটিং করতে পারবেন ট্রিলিয়ান এ। বাজারে এখন চলছে ট্রিলিয়ান-৩.০ ভার্সন। অচিরেই আসছে ট্রিলিয়ান-৪.০ যার বানিজ্যক নাম রাখা হয়েছে ট্রিলিয়ান এসট্রা। এর ইউআরএল হলো http://www.trillianastra.com। ট্রিলিয়ান এর প্রতিটি ভার্সনেরই দুই রকম সুবিধা থাকে।

প্রো এবং বেসিক। ব্যাসিক হচ্ছে ফ্রি ভার্সন আর প্রো আপনাকে কিনে নিতে হবে। মজার ব্যাপার হলো, বেসিক ও প্রো এর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। বেসিক এ আপনি লিষ্ট ভিওতে আইকন এ ছবি দেখতে পাবেন না এবং হিষ্টোরিতে ক্যালেন্ডার ভিও পাবেননা। এ ছাড়া আর কোন মেজর পার্থক্য নেই।

আপনি যদি ইন্টারেষ্টেড হয়ে থাকেন তাহলে একবার ইনষ্টল করে দেখে নিতে পারের আরো কত কত সুবিধা রয়েছে এতে। মনে হয় আপনি এই রকম একটি সফ্টওয়্যার এর সন্ধানেই ছিলেন এত দিন! http://www.trilliananywhere.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.