সারাবিশ্বে ইতালিয়ান খাবারের বেশ কদর রয়েছে। বাংলাদেশেও বাড়ছে সে দেশের খাবারের চল। গত কয়েক বছরে ঢাকার ভোজনরসিকদের জন্য বেশ কিছু নতুন ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ তাদের দরজা খুলেছে।
যত প্রকার ইতালীয় খাবারই থাকুক না কেন, এখনও পিৎজার জনপ্রিয়তাই বেশি। তাই কয়েকটি বাছাই করা রেস্তোরাঁর পিৎজা নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।
বেলা ইতালিয়া
অনেক ভোজনরসিকই মনে করেন, ঢাকা শহরে খাঁটি ইতালিয়ান খাবারের স্বাদের জন্য অন্যতম এই রেস্তোরাঁ। খাবারের দামও নাগালের মধ্যে।
ছিমছাম ও সাধারণ এর অন্দরসজ্জা। চেয়ার-টেবিল আর দেয়ালে সাঁটানো রোম শহরের কয়েকটি ছবি।
এরা ‘থিন ক্রাস্ট বেইজ’ দিয়ে পিৎজা তৈরি করে।
রেস্তোরাঁর কর্ণধার বজলুর রহমান তপন বেশ কয়েক বছর ধরে ইতালির রোম শহরের কয়েকটি নামকরা রেস্তোরাঁতে কাজ করেছেন। এছাড়া কিছুদিন নিউ ইয়র্কের পিৎজেরিয়াতেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। দেশে ফিরে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শুরু করেছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসা। কর্মচারীদের অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে শিখিয়েছেন। ফল যা হওয়ার, তাই হয়েছে! ঢাকার ভোজনরসিকরা খেতে পারছেন ভালোমানের ইতালীয় খাবার।
আবার পকেটও বেশি ফাঁকা হচ্ছে না।
উল্লেখযোগ্য পিৎজার মধ্যে আছে-- পিৎজা বলোনয়েজ, পিৎজা বেলা ইতালিয়া, পিৎজা ফাংগি-ই-সসেজ (মাশরুম ও সসেজ)। পিৎজা বলোনয়েজ-ই-ওলিভো চেখে দেখার মতো।
তাদের পিৎজার আকৃতি একটিই। স্বাদের উপর নির্ভর করে দাম পড়বে সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা।
ঠিকানা: ৭৬ গুলশান এভিনিউ, ৩য় তলা, গুলশান-১। ১২/১, সাতমসজিদ রোড, ২য় তলা, ধানমণ্ডি।
স্প্যাগেতি জ্যাজ
১৯ বছর ধরে চলছে এই রেস্তোরাঁ। ব্যবস্থাপক আশুতোষ রাজীব প্রথম থেকেই আছেন এখানে। তিনি জানালেন, “১৯৯৫ সালে বিজয় দিবসে দুজন মিলে এই রেস্তোরাঁ চালু করেন।
একজন ছিলেন ইতালীয়, নাম মারিও চিকোনো। তিনি কর্মচারীদের হাতে কলমে শিখিয়ে দেন ইতালিয়ান খাবার তৈরির কৌশল। এখনও সেই কারিগরি মেনেই খাবার প্রস্তুত করা হয়। ”
মারিও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পাড়ি দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ায়।
দুজনেরই পছন্দের সংগীত ছিল জ্যাজ।
তাই খাবারের পাশাপাশি রয়েছে সংগীতায়োজন। প্রতি মাসের একটি দিন ব্যান্ড রেনেসাঁ সংগীত পরিবেশন করে। এছাড়া মাঝে মাঝে অতিথি শিল্পীরা গান করেন।
রেস্তোরাঁর অবস্থান পাঁচতলায়। ঢুকেই চোখে পড়বে বিশ্বখ্যাত জ্যাজশিল্পীদের ছবি।
১৪০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। আশুতোষ রাজীব আরও জানান, “কৃত্রিম কোনো কিছুই ব্যবহার করে আমরা পিৎজা তৈরি করি না। আর কোয়ালিটির সঙ্গে আমরা কোনো আপস করি না। ”
তাদের বিভিন্ন পিৎজার মধ্যে-- পিৎজা বলোনয়েজ, পিৎজা আমেরিকানা, পিৎজা জ্যাজ, পিৎজা কালজোনে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এদেরও পিৎজার একটিই আকৃতি।
স্বাদ ভেদে দাম ৫৮০ টাকা থেকে ৭৫৫ টাকা।
ঠিকানা: রব ভবন, ৫ম তলা, গুলশান ২।
পিৎজা হাট
বিশ্বজুড়ে পিৎজার সবচেয়ে বড় চেইন রেস্তোরাঁর নাম হচ্ছে ‘পিৎজা হাট’। নিন্দুকেরা বলে থাকেন এখানে ‘আমেরিকান’ স্টাইলের পিৎজা বিক্রি করা হয়। তবে নিন্দুকেরা যাই বলুক, এই রেস্তোরাঁ বিশ্বব্যাপী ভালো মানের সুস্বাদু পিৎজা বানিয়ে থাকে।
এখানে আছে বিভিন্ন রকম পিৎজা। চিজ লাভার্স (যদি পনির আপনার প্রিয় হয়)। স্পাইসি বিফ। সি ফুড সিম্ফনি। স্প্যানিশ ডিলাইট।
বারবিকিউ চিকেন। পিৎজার রয়েছে ৩ রকম আকৃতি। বেইজের ক্রাস্টও তিন রকম। দামের ভিন্নতাও এই কারনেই, ২৫০ টাকা থেকে ১৭শ’ টাকা।
ঢাকায় তাদের শাখা রয়েছে ৪টি।
এগুলো হল-- সাউথ এভিনিউ, গুলশান-১। ৫৪ সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি। ৩ নিউ বেইলি রোড। ১৩ সোনারগাঁ জনপদ উত্তরা।
এছাড়াও পিৎজা খেতে যেতে পারেন-- গুলশান ২-এর ‘লা ফর্কেত্তা’।
ধানমণ্ডির অ্যারাবিয়ান ফুস্ট ফুড। শর্মা হাউজ। হোটেল ওয়েস্টিনের রেস্তোরাঁ ‘প্রেগো’ (এখানে খেতে পকেট বেশ ভারি থাকতে হবে)। আশুলিয়ার লিটল ইটালি। ধানমণ্ডি ২ এর ডমিনস পিৎজা।
বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্টের ‘টাং এন টামি’।
ছবি সৌজন্যে : পিৎজা হাট, স্প্যাগেতি জ্যাজ ও বেলা ইতালিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।