আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদে পিৎজার রেস্তোরাঁ !

চাঁদে গিয়ে নভোচারীরা খাবেন গরম গরম পিৎজা। এ জন্য সেখানে খোলা হবে একটি পিৎজা রেস্তোরাঁ। চাঁদে এ ধরনের প্রথম রেস্তোরাঁ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করছে আন্তর্জাতিক ফাস্টফুড চেইন ডমিনোস পিৎজা। গত বছর ডমিনোস জাপানে তাদের প্রতিষ্ঠানের ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় তারা চাঁদে ওই রেস্তোরাঁ নির্মাণের পরিকল্পনা করে।

এর আগে ২০০১ সালে ডমিনোসের প্রতিদ্বন্দ্বী ফাস্টফুড চেইন পিৎজা হাট আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রের নভোচারীদের জন্য একটি পিৎজা পাঠিয়েছিল। ডমিনোসের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মায়েদা করপোরেশন। রেস্তোরাঁর জন্য চাঁদের মাটিতে কংক্রিট দিয়ে গম্বুজাকৃতির একটি ভবন তৈরি করে দেবে তারা। ব্রিটিশ মুদ্রায় রেস্তোরাঁ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৪০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি। এর মধ্যে চাঁদে ৭০ টন নির্মাণসামগ্রী ও পিৎজা তৈরির সরঞ্জাম পাঠাতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি পাউন্ড।

১৫টি রকেটে করে এসব সামগ্রী চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ডমিনোস ঘোষণা করেছে, কংক্রিট তৈরিতে চাঁদের খনিজ উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে রেস্তোরাঁর নির্মাণ খরচ কমিয়ে আনা হবে। এ জন্য ১৫০ কোটি পাউন্ড ব্যয় হতে পারে। একজন শিল্পী ২৬ মিটার ব্যাসের গম্বুজাকারের দোতলা ওই রেস্তোরাঁর একটি নকশা তৈরি করেছেন। এর ভূগর্ভস্থ অংশ স্টিলের পাত দিয়ে তৈরি করা হবে।

ডমিনোসের মুখপাত্র তমোহাইদ মাতসুনাগা দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘গত বছর থেকে আমরা এই প্রকল্পের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। তবে ওই রেস্তেরাঁ কবে চালু হবে, তা এখনো ঠিক করিনি। ’ তমোহাইদ মাতসুনাগা বলেন, ভবিষ্যতে চাঁদে অনেক মানুষ বাস করতে পারে। যেসব নভোচারী চাঁদে অভিযান নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা হতে পারেন সেখানকার ভবিষ্যৎ নাগরিক। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সূত্রঃ প্রথম আলো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।