আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দায়রা আদালতে ঐশীর জামিনের আবেদ, দেওয়া কি উচিত ?



পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের খুনের দায়ে গ্রেফতার তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশীর জামিনের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঐশীর আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা বাংলানিউজকে জানান, ঐশীর জামিন চেয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক আগামী ১ অক্টোবর জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। গত ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ঐশী জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল মর্মে উল্লেখ করে ৫ সেপ্টেম্বর এ স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।

আদালত তা নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। এর আগে, জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ ঐশী রহমানকে মানসিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ এবং মাদক গ্রহণের তথ্য নিরুপণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ঐশীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া।

আদালতে আবেদনের পক্ষে রিট দায়েরকারী আইনজীবী নিজেই শুনানি করেন। শুনানিতে জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, কারাগারে রেখে ঐশীর মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ সঠিকভাবে করা কঠিন। তাই তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতলে পাঠাতে হবে। তিনি আরও বলেন, আদালত প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে ঐশীকে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট দিনগত রাতে পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমানকে তাদের চামেলীবাগের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়।

১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ আগস্ট দুপুরে ঐশী পল্টন থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ২৪ আগস্ট খুনের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ঐশী, যদিও পরে সে অভিযোগ করেছে, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পরে আদালত তাকে গাজীপুরের কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরদিন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ঐশীকে কিশোরী সংশোধন কেন্দ্র থেকে কারাগারে পাঠানোর জন্য উকিল নোটিশ পাঠান।

পরে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে আদালত তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। বর্তমানে ঐশী কাশিমপুর কারগারে আছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।