আফগানিস্তানে ৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণে হয়ে উঠেছে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা।
গত ২৯ মার্চ ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই নির্বাচন ভন্ডুল করতে সব ধরনের শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে তালেবান। ইতিমধ্যে তারা বেশ কয়েকটি বড় ধরনের হামলা চালিয়ে তাদের হুমকির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
গত শনিবার রাজধানী কাবুলে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
তালেবান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর আগে গত শুক্রবার তালেবান জঙ্গিরা কাবুলের একটি অতিথিশালায় হামলা চালায়। ২০ মার্চ কাবুলের পাঁচতারা হোটেল সেরেনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
যে ভোটকেন্দ্রে যাবে, তাকেই হত্যা করার হবে—তালেবানদের এমন হুমকির মধ্যে দেশটিতে শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ব্যাপারে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমনকি তাঁরা তাঁদের কাজের পরিধি কমিয়ে আনারও ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আফগান পুলিশ, সেনাবাহিনী, আন্তর্জাতিক বাহিনী মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ ৮০ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এর পরও দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। তালেবানদের হুমকি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসা এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আফগান সরকারের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।