আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়লা এবং ময়লা

আমি কাক নই, আমি মানুষ...

ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা এনে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট চালু রাখার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে দেশ থেকে মানসম্মত কয়লা গ্রহণযোগ্য মূল্যে আমদানির লক্ষ্যে পিডিবি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে। আগামী ২০ আগস্ট এ দরপত্র আহবান করা হবে। সিদ্ধান্ত মতে, কয়লা আমদানি করা এক লাখ টন র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভা কে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে এর আগে ইন্দোনেশীয় তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া কয়লা সরবরাহের শর্তগুলো আরো পরীা-নিরীা করে দেখতে বলা হয়েছে। বৈঠক শেষে বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আর এন ঘোষ জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখতে কর্তৃপকে কয়লা আমদানি করতেই হবে। কোন প্রক্রিয়ায় কিভাবে এসব কয়লা আমদানি করা যাবে, তাই এখন সরকার পরীা করে দেখবে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট সচল রাখতে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৪০০ মেট্রিক টন মানসম্মত কয়লার প্রয়োজন হয়। অথচ স্থানীয় কয়লা খনি থেকে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে।

যা কোন অবস্থাতেই এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের ওপরে উঠছে না। ফলে স্থানীয় আহরণ থেকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট একযোগে সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ওই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১২৫ মেগাওয়াট করে মোট ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা দেশের চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ফলে দুটি ইউনিটই সচল রাখা জরুরি।

কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় আহরণ থেকে কয়লার চাহিদা পূরণ না হওয়ায় বর্তমানে ভারত থেকে বেশি সালফারযুক্ত কয়লা আমদানি করে তা দেশীয় কয়লার সঙ্গে মিশিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কয়লা আমদানিতে সরকার টনপ্রতি ৭০ ডলার ব্যয় করছে। কিন্তু ওই কয়লা দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করা হলে কেন্দ্র দুটি যে কোন সময় বন্ধ যেতে পারে বলে কেন্দ্রের চীনা বিশেষজ্ঞ পরামর্শকরা মতামত দিয়েছেন। এ কারণে সরকার কুটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে মানসম্মত কয়লা আমদানির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগামী এক থেকে দেড় বছর কোন কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপ জানিয়ে দিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়া থেকে নেতিবাচক সাড়া পাওয়ায় সরকার ইন্দোনেশিয়া থেকে কম সালফারযুক্ত মানসম্মত কয়লা আমদানির জন্য চেষ্টা করে। এতে ইন্দোনেশিয়ার তিনটি কোম্পানি থেকে কয়লা সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এেেত্র টনপ্রতি মূল্য ধরা হয়েছে ৩৪, ৩৮ ও ৪০ ডলার। তবে মূল্য কম ধরলেও ওইসব প্রতিষ্ঠান সরাসরি বাংলাদেশে কয়লা সরবরাহ না করে ‘মাদার ভেসেল’-এ কয়লা সিঙ্গাপুর পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। সেখান থেকে বাংলাদেশকে ওই কয়লা দেশে আনতে হবে।

ফলে জাহাজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসব কয়লা দেশে আনতে সরকারের প্রচুর ব্যয় হবে। যা এ অবস্থায় লাভজনক হবে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।