গুগল বোমা বা গুগল বম্বিং শব্দটির সাথে হয়ত অনেকেই পরিচিত না, কিন্তু অনলাইন কমিউনিটিতে এটি একটি প্রতিদিনের বাস্তবতার মতই সাধারণ বিষয়।
আজকাল আমরা সবাইই প্রতিদিন তথ্য খুঁজে বের করার জন্য গুগলকে ব্যাবহার করি। আর আমাদের প্রতিদিনের সার্চ থেকেই গুগল শিখতে থাকে কিভাবে আরো এফিশিয়েন্ট হওয়া যায়। একসময় আমি ভাবতাম আমার সার্চের জন্য গুগল ইন্টারনেটে খোঁজখুজি করে তথ্য বের করে। পরে দেখলাম, মোটামুটি ইন্টারনেরটের একখান নিজস্ব কপি গুগলের সার্ভারে থাকে, সেখানেই ডুব দিয়ে যা পাওয়া যায় তাই বের করে দেয়।
আর একই তথ্যবিশিষ্ট অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে ফলাফল সাজানো হয়। যাদের কম্পিউটারে গুগল টুলবার ইন্সটল করা আছে তারা এমনিতেই দেখে নিতে পারেন কোন একটা ওয়েবসাইটের পেজর্যাঙ্ক কত, অর্থাৎ গুগলের কাছে সেই পেজটি কতখানি গ্রহণোযোগ্য। এখানেই গুগলের বোমাবাজির ঘটনা শুরু।
গুগল তার অকল্পনীয় প্রসেসিং ক্ষমতা নিয়েও শিশুর চেয়ে সরল, আর সেই সরলতারই সুযোগ নেয়া হয়। যদি কোন একটা আনকমন বিষয়ে বেশকিছু ইনফ্লুয়েনশিয়াল ওয়েবসাইটে কাছাকাছি তথ্য থাকে, তাহলে গুগল বেচারা সেটাকেই ঠিক বলে ধরে নেয়।
এই ট্রেন্ড প্রথম সবার চোখে পড়ে যখন গুগলে ফেইলিউর বা মিজারেবল ফেইলিউর লিখে সার্চ দিলে সবসময় সবার প্রথমে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের জীবনীর পাতা চলে আসত। এর কারণ হিসাবে পরে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বুশ প্রশাসনের ব্যার্থতা সম্পর্কে এত বেশী তথ্য ইন্টারনেটে আছে, যে গুগলের সার্ভার ব্যার্থতার সবচেয়ে সমার্থক শব্দ হিসেবে বুশকেই বেছে নিয়েছে আর তাই বুশের অফিশিয়াল জীবনী।
এই প্রবণতা প্রথম আবিষ্কার হবার পরে গেলবারের নির্বাচনে জন কেরী, ডিক চেনী সহ অনেকের বিরুদ্ধেই ওয়েব কমিউনিটি একতাবদ্ধ ভাবে এটাক চালিয়েছিলেন। কিছু সময় আগে বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত যেই পোস্টটি নিয়ে ব্লগে ঝড় বয়েছিল, সেটির জন্য পোস্টের লেখকের চেয়ে সেই ওয়েবসাইটটির স্রষ্টা বেশী দায়ী। আর সেটাকে কাউন্টার করার মত ৫ বা ৬ পেজর্যাঙ্কের কিছু সাইটে যদি বেটার ইনফরমেশন ও ছবি থাকে তাহলে কিছু সময় পরে স্বঙ্গক্রিয়ভাবেই সেই বিকৃত ছবি তলিয়ে যাবে।
অন্ধকারকে লাটিপেটা করে তাড়ানো বড়ই মুশকিল, বাতির সুইচখান টেপো, বাকিটুকু আলোই করবে।
উইকিতে গুগলবোমা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।