যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আগে প্রেসিডেন্ট গুলি খেয়ে মারা গেলে আনন্দ হতো। এটা হয়েছে ইন্দিরা গান্ধি মারা যাবার সময়। শৈশবে আমার ধারণাই ছিল প্রেসিডেন্ট হলেই মরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছি, জিয়াকে দেখেছি বলে এমন ধারণা হয়েছে।
তারপরে রাজীব গান্ধি মরলো, প্রেমেদাসা মরলো।
মরলো জিয়াউল হক।
তারপরে আফ্রিকার অনেক প্রেসিডেন্ট মরলো।
এদের মৃত্যুতে আমি সুখ অনুভব করতাম। কারণ রাজা বিষয়ক একটা জটিল ধারণা ছিল প্রেসিডেন্ট বা সরকার প্রধানকে ঘিরে। শৈশবে যখন বাস্তিল দুর্গের পতন পড়েছিলাম তখন থেকেই সরকার প্রধান মানে একজন কুটিল, শয়তান চরিত্রের মানুষ।
বড় হয়ে আমার এ ধারণা পরিবর্তন হলো না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শেষ দিনগুলোতে আমি রাস্তায় মিছিল করেছি। কলেজে সবে ভর্তি হয়েছি বলে রাজনীতির মোহ ছিল দূর্দান্ত। গাড়ী ভেঙেছি, এরশাদের পোস্টার ছিড়েছি, জাতীয় পার্টির অফিস ভেঙেছি। নিজ হাতে একটা দলীয় গাড়ীতে আগুণ দিয়ে মনে হলো বড় ধর্মের কাজ করেছি।
এরশাদ পতনের পরে আবার সে সুখ পেলাম খালেদার পতনে। তারপরে আবার পেলাম শেখ হাসিনার পতনে। তারপরে আবার খালেদার পতনে! আর কত?
আমি এখন খালেদা হাসিনার স্বেচ্ছায় অবসর যাপন চাই। অনেক দিয়েছেন দেশকে, পার্টিকে দিয়েছেন এবং সবার সোগায় বিশাল বিশাল গর্তও করে দিয়েছেন। এখন সেখানে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ঢুকে যায়।
এবার বাদ দিন, আপনাদের ভোদাই চেহারা খানি বাদ দিয়ে ব্যক্তি প্রভাবিত দলের দুষ্টচক্র থেকে দেশকে মুক্তি দিন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।