১.
এক মুনির আশ্রমে ছিলো তাহার এক পালিত ইদুঁর। মুনিকে তাহাকে বিশেষ স্নেহ করিতেন। একদিন সেই ইঁদুর কাঁদিতে কাঁদিতে মুনিকে বলিলেন, আপনার আশ্রমের বিড়াল আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে। আমি জীবন সংকটে আছি, আপনি আমাকে বিড়াল করিয়া দিন। মুনি সদয় হইয়া মুশিককে বিড়ালে পরিণত করিয়া দিলেন।
কিছুদিন অতিবাহিত হইলে, সেই বিড়াল আসিয়া আবার কাঁদিতে লাগিল। মুনি কারণ জিজ্ঞাসা করিলে কহিল, আশ্রমের বাইরে গেলেই রাস্তার মোড়ের কুকুর তাড়া করে, আমি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করিতে পারি না। আপনি আমাকে কুকুর করিয়া দিন। মুনি তাহাকে তখনি কুকুরে পরিণত করিয়া দিলেন। কিছুদিন অতিবাহিত হলে আবার কুকুর আসিয়া মুনির পদযুগল ধরিয়া কাঁদিতে লাগিল।
মুনি কিছুটা বিরক্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আবার কি হইয়াছে? কুকুর কহিল, আমি জঙ্গলের ভিতর ঢুকিলে আমাকে ব্যাঘ্র তাড়া করে। আপনি আমাকে ব্যাঘ্র বানাইয়া দেন। অতপর, মুনি তাহাকে ব্যাঘ্র বানাইয়া দিলেন।
ব্যাঘ্র হইয়া সে আশ্রমের চারপাশে ঘোরাঘুরি করিতে লাগিলো। এভাবে দিন চলিয়া যেতে লাগিল।
একদিন তাহার প্রচন্ড ক্ষুধা পাইল। চারপাশে সন্ধান করিয়া কিছু পাইল না। আশ্রমে হাতের নাগালে একমাত্র রহিয়াছে মুনি। সে মুনিকে খাইবার জন্য উপস্থিত হইলো। মুনি তাহার মনোবাসনা বুঝিতে পারিলেন।
হুংকার ছাড়িয়া কহিলেন, তবে রে পামর, এইজন্য তোকে ব্যাঘ্র করিয়াছি। যা, আবার তোকে আগের জীবন ফিরিয়া দিতাছি। পুন: মুশিক ভব। পুনরায় মুশিক হ।
সাথে সাথে ব্যাঘ্র আবার ইঁদুরে পরিণত হয়ে গেলো।
২.
আমাদের সুপরিচিত ছাগুরাম সামহয়্যারের এ টিম কর্তৃক চরম অপমানিত হইয়া ইশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিল অন্তত তাহাকে যেন ছাগু বানাইয়া হলেও ইশ্বরের নিকট রাখেন। এহেন নিয়ত হরিদাস হইয়া থাকিতে থাকিতে সে বড় বিমর্ষ। ইশ্বর তাহার মনোবাঞ্ছা পূরণ করিলেন। বেহেস্তী হুর লইয়া ছাগুরাম কয়েকদিন ভালোই কাটাইল। হঠাত একদিন সে ইশ্বরের নিকট আসিয়া কাঁদিতে লাগিলো।
ইশ্বর জিজ্ঞাসা করিলেন, কি হইলো ছাগু? কান্দো ক্যান? ছাগু কহে, উটুরামের এছলামি জ্ঞানে হুররা মুগ্ধ। সবাই উটুরামের ওয়াজ শুনিয়া দিনরাত তাহার সাথে রমণক্রিয়াতে রত। আমি একা একা বৃক্ষ ছিদ্রে আর কতো বীর্যপাত করিব? আপনি আমাকে উটুরামে পরিণত করে দিন। ইশ্বর তাই করিলেন। উটু হইয়া কিছুদিন ভালোই ছিলো।
কিন্তু হঠাত সেখানে আশুরাম আসিয়া সব ভন্ডুল করিয়া দিলো। উটু আবার ইশ্বরের সমুখে অশ্রুপাত করিতে লাগিলো। হে মাবুদ-ই-ইলাহি। আমি তো আশুরামের জন্য কিছুই করিতে পারিতেছি না। যেখানে যাই সেখানে আংকেল শুনিতে পাই।
আমি ডাবল ডোজ নিয়াও তাহার রমণ ক্ষমতার ধারেকাছে পৌঁছিতে পারিনা। রমণই যদি করিতে না পারি তবে এই বেহেস্তে থাকিয়া লাভ কি। আপনি আমাকে আশুতে পরিণত করে দিন। ইশ্বর তাহাকে আশুতে পরিণত করিয়া দিলেন। এখন ছাগু আশু হইয়া ডাবল জোশে রমণ করিতে লাগিলো।
এভাবে বেশ কিছুদিন কাটাইবার পর, সে আবিষ্কার করিলো, কিছু হুরমতী বাণু আছে যাহার কেবলমাত্র সুফীর দ্বারা রমনিত হইয়া থাকে। তাহাদের জন্য সে বড়ই আকুলিত হইলো। একই জিনিস তাহার প্রতিদিন ভালো লাগে না। তাই সে আবার ইশ্বরের কাছে ফরিয়াদ জানাইলো, আপনি আমাকে সুফী করিয়া দেন। ইশ্বর তাহাকে সুফী করিয়া দিলো।
সুফী হইয়া সে যেমন খুশি তেমন করিতে লাগিলো। কিন্তু কপালের লিখন না যায় খন্ডন। একদিন সুফী ইশ্বরকে দেখিলেন এক দাসীর সহিত রমণ করিতে। তাও আবার পশ্চাতদেশ দিয়া। সুফী সাথে সাথে ইশ্বরকে আক্রমণ করিয়া বসিলো।
হে মাবুদ-ই-ইলাহি। আপনি দাসীর সহিত রমণ করিতেছেন তাও আবার পশ্চাতদেশে। ইহা তো সর্ম্পূর্ণ গর্হিত। আপনার এহেন কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে হইবে। রমণকার্যের সময় বাধাগ্রস্ত হইয়া ইশ্বর বড়ই কুপিত হইলেন।
তিনি বললেন, হে ছাগু, ওই গ্রন্থ আমি তোমাদিগের জন্য রচিয়াছি, আমার জন্য নয়। তোমার ওই মস্তিষ্ক লইয়া সুফী হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই। তোমার এহেন ধৃষ্টতার জন্য তোমাকে আমি পুনরায় ছাগুতে রূপান্তরিত করিয়া পাঠাইয়া দিতাছি। তুমি বেহেস্তের উপযুক্ত নও। পুন: ছাগ ভব।
পুনরায় ছাগুতে পরিণত হও।
ছাগুরাম পুনরায় সামহয়্যারে আসিয়া ভ্যা ভ্যা করিতে লাগিলো।
** সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কাহারো সাথে মিলিয়া গেলে নিতান্ত কাকতাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।