আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাইনাস টু ফর্মূলা এবং ব্লগে ঘৃনা ছড়ানোর ক্যাম্পেইন!

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

কাল থেকে দেখছি কিভাবে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু এটা তেমন চমকপ্রদ খবর ছিল কি?যেমন যে কোন সময় খালেদা জিয়াকে আটক করলে কি অবাক হবার কিছু আছে? বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাশীন পরোক্ষ সামরিক সরকার বিভিন্নভাবে রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রথমে ড.ইউনুসকে দিয়ে খালি মাঠে গোল করানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে উনার নিজের করা ফাউলে। পরে কিছু সাইড লাইনারদের দিয়ে একটা দল গঠনের চেষ্টাও তেমন সুবিধা হয়নি। পরে বড় দুটি দলের থেকে শীর্ষ নেতাদের বাদ দিয়ে একটা রিফর্মের চেষ্টা চলছে।

বিএনপির ক্ষেত্রে ক্যারট এন্ড স্টিক পলিসি ভাল কাজ করেছে। কারন সদ্য ক্ষমতা ত্যাগী দলের সবাই মোটামুটি তেল ঝোল তাদের গায়ে মেখেছিলেন গত পাঁচ বছরের শাসনামলে। এখন হয় এই পথ নয়তো নাজিরাবাজার। মান্নান ভুইয়ার নেতৃত্বে একটা বিরাট অংশ এক হওয়ায় মাইনাস ওয়ান নিশ্চিত হলেও হাসিনাকে নিয়ে একটা বিরাট সমস্যায় পড়ে নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামীলিগের শাসনামলের "খামু" শব্দটা যার সাথে গেথে গিয়েছিলো সেই আমু আর কয়েকজন তেমন সাহস করে আগ বাড়তে পারছিলোনা - কারন আব্দুল হামিদ, মতিয়া আর জিল্লুর রহমানসহ অনেক মধ্যম সারির নেতা শেখ হাসিনাকে ঘিরে ধরে ফেলেছিলো।

এই অবস্থায় সরকার আর লোক না হাসিয়ে নথ খুলে কাল শেখ হাসিনাকে সাবজেলে তার বালিশ-বিছানা সহ পাঠিয়ে দিয়েছে। এখানে লক্ষ্যনীয় যে আইনগত যে দিকের আড়াল সরকার নিয়েছে তার মধ্যে অনেক ফুটা রয়েছে যার মধ্য দিয়ে সরকারে পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন উঠেছে। যেমন জামাতের নেতা মুজাহিদের নামে চাঁদাবাজি এবং পল্টনের মামলা থাকা অবস্থায়ও তাকে বিদেশ ভ্রমনে বাধা দেওয়া হয়নি বা তাকে গ্রেফতার করার তেমন গরজ সরকারের নেই বলেই মনে হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী সংস্কারপন্থীরা কতটা কি করতে পারেন। এই তো গেল মূল কথা।

কিন্তু সকালে ব্লগে এসে মনে হলো এখানে একটা উতসব জমে উঠেছে। অনেকে কমেন্ট করেছে - যা পরিষ্কার ভাবে "হেইট ক্রাইম" - কেহ ছবি বিকৃত করে তাতে ক্রশ বসাচ্ছে - কেহ ফাঁসীর দড়ি পড়িয়ে ফাঁসী চাচ্ছে - কেহ আবার মারার পর তাকে সমুদ্রে ফেলে দেবার দাবী করছে। একজন হিস্দু ধর্মের প্রতি হাসিনার পক্ষপাতের অভিযোগে তাকে পুড়িয়ে ছাই সমুদ্রে ফেলে দেবার দাবী করেছে। মজার বিষয় হলো গতকাল ছিল ১৬ তারিখ। ব্লগের মডারেটরদের কর্মততপর হওয়ার দিন।

কিন্তু দেখলাম নির্বিকার ভাবে মডারেটররা এই হেইট ক্রাইমের ক্যাম্পেইনের সুযোগ দিলেন। এখানে কিছু নমুনা কমেন্ট দেওয়া হলো - যা একজন পাঠককে বুঝতে সাহায্য করবে - একদল ইসলামের ধ্বজাধারী আসলে তাদের মুখোশের আড়ালে কি পরিমান ঘৃনা লুকিয়ে রাখতে পারে। ---- প্রসংগ: শেখ হাসিনা বলেছে - আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় পাইনা। ---------------------------------------- সাঈফ শেরিফ বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ১১:৫৫:৩৯ "ভূতের মুখে রাম নাম!!" আহা এই না বলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীর আল্লাহ নাম নেয়া..........ভগবান বাদী, যীশু বাদী, বুদ্ধবাদীরা নাখোশ হবেন যে...........সামনের নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট পাবেন তো??? আল্লাহর পরিবর্তে সৃষ্টি কর্তা বলুন!! আশরাফ রহমান বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ১৩:৪২:৫১ হাসিনা কি আল্লাহর নাম এবারই প্রথম নিলো? প্রত্যেক নির্বাচনের সময়ই তো 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ নৌকার মালিক তুই আল্লাহ' বলে শ্লোগান দেয়। মাথায় পট্টিও বাধে আবার প্রয়োজনে দাদাগো খুশী করার জন্য কপালে সিদুরও লাগায়।

সে রামের সাথেও আছে আল্লাহর সাথেও আছে। তবে অন্তরের খবর সে-ই ভাল জানে। প্রসংগ শেখ হাসিনা গ্রেফতার: ------------------------------- হিজিবিজি হিজিবিজি বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ১৩:৫৯:৪৮ আলহামদুলিল্লাহ.. মুখেমারি বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ১৪:০৯:৩৫ হাসিনারে ফাসি দিয়া ওর লাশ ভারতে পাঠানো উচিত হিজিবিজি হিজিবিজি বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ১৭:২০:৩৩ আমার মনে বড় দুষ্ক..... গান গাইতাসি পাহাড় বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ১৯:৫১:১২ জোশ পাইলাম। ফেবারিট কইরা রাখছি। রবিনহুড বলেছেন : ২০০৭-০৭-১৬ ২২:৪২:১৭ {ফাসির পর লাশ সমুদ্রে ফেলে দিতে হবে।

এদেশের মাটিতে ওর কবর দেওয়া যাবে না। } এটা কিরকম কথা? কবর না দিতে চাইলে তো আগুনে পুড়াইয়া ফেললেই হয়। হিন্দুরা তো তাই করেন। হাসিনার তো আবার হিন্দু প্রিতী একটু বেশী। ---------------- সবর্শেষ - দু:খ হয় তাদের জন্যে যারা ঘৃনা ছড়ায় এবং সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে।

যদিও একজন মুসলমান হিসাবে এটা নিষিদ্ধ - কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ীদের জন্যে ঘূনা হলো পন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.