আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজরাইলী প্রতারণা

কল্যাণের কথা বলি, কল্যাণের পথে চলি।

...ঘটনাটি আমার মিসরীয় সহকর্মী বাহা আল-লাইসীর কাছে শোনা। ........... কায়রোর রাস্তায় এক ট্যাক্সি চালক যাত্রী খুঁজছিলেন। এক জায়গায় এক অপেক্ষমান যাত্রী দেখে তুলে নিলেন। একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পেলেন ধবধবে সাদা আলখেল্লা পরিহিত এক সৌম্যদর্শন ভদ্রলোক ক্যাবের অপেক্ষায় হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।

তিনি কিছুটা আবেগাপ্লুত মনে ঐ ভদ্রলোকের পাশে গিয়ে গাড়ী থামালেন। ভাবলেন একজন ভালো মানুষের উপকার করবেন তাঁকে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে। এদিকে হঠাত্ গাড়ী থামানোতে ভেতরের যাত্রীর রাগ হলো এবং তিনি গাড়ী থামানোর কারন জানতে চাইলেন। অবশ্য ইতোমধ্যে সাদা-পোষাকধারী সামনে চালকের পাশের আসনে উঠে বসেছেন। চালক বললেন আমি এই যে এ ভাইটিকেও নামিয়ে দায়ে আসি।

যাত্রী তার সময় নষ্ট হওয়ায় এমনিতেই রেগে আছে। তার উপর চালকের কাছ থেকে নতূন যাত্রী নেয়ার কথা শুনে আরো রেগে গেলেন। মনে হলোনা যে তিনি নতূন কোন যাত্রী গাড়ীতে উঠতে দেখেছেন। তবে কিছু না বলে চুপ থাকলেন। সামনের যাত্রী চালককে বললো, "আমি আজরাইল - মউতের ফিরিশতা।

তুমি ছাড়া ঐলোক আমাকে দেখতে পাচ্ছেনা। সুতরাং তার কথা গায়ে না মেখে চলতে থাকো। " চালক পেছনের যাত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখলেন এবং তাঁর মনে হলো সত্যিই ঐলোক তার পাশে বসা আজরাইলকে দেখতে পাচ্ছেনা। কারন সে তাদের দুজনের আজরাইলী কথার মাঝেও নির্বিকার বসে আছে; মনে হয় কোন কথা-ই শোনেনি। এতে করে চালকের মাঝে প্রত্যয় জন্মাল যে ইনি নিশ্চয়ই আজরাইল।

এদিকে আজরাইল তাঁকে বললেন যে আজই তাঁর মউত। একটু পরেই তাঁর জান কবচ করা হবে। পথে একটু পর তাদের সামনে পড়লো এক মসজিদ। আজরাইল তখন বলল, "দেখ, একটু পরেই তোমার মউত হবে, তাই তার আগেই আসরের নামাজটা পড়ে নাও। " উল্লেখ্য যে তখন আসরের সময় হয়ে গিয়েছিল।

বেচারা ক্যাবী নিশ্চিত মউতের আগে খোদার বন্দেগীর এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইলেননা। তিনি গাড়ী পার্ক করে মসজিদে গেলেন পেছনের যাত্রীকে কোনমতে রাজী করিয়ে। ১০ মিনিট পর চালক ফিরে এসে দেখেন আজরাইল তাঁর জান নিয়ে নয় বরং অন্য যাত্রীসহ তাঁর গাড়ীটি নিয়ে কেটে পড়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।