২০০৯ সাল থেকেই দেখা যাচ্ছিল একই চিত্র। ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা নিতে গিয়ে কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়নি লিওনেল মেসিকে। কিন্তু এ বছরের ইউরোপসেরা ফুটবলারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঘটল ব্যতিক্রম। চূড়ান্ত মঞ্চে মেসি থাকলেও পুরস্কারটা উঠল ফ্রাংক রিবেরির হাতে। তবে এতে কোনো আফসোস নেই বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকার।
রিবেরিকেই ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মেনে নিয়েছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
এ বছরের ইউরোপসেরার পুরস্কারটা যে রিবেরির হাতেই উঠবে, এটা আগেই অনুমান করেছিলেন অনেকে। ২০১২-১৩ মৌসুমটা সত্যিই দারুণ কেটেছে রিবেরির। বায়ার্ন মিউনিখের ইতিহাস গড়া ট্রেবল জয়ের পেছনে ব্যাপক অবদান ছিল এই ফরাসি উইঙ্গারের। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দুটি লেগেই বড় ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল মেসির বার্সেলোনাকে।
তার পরও ইউরোপের সেরা তিনজনের মধ্যে আসতে পারাটাই সম্মানের ব্যাপার বলে মনে করছেন মেসি, ‘আবার ইউরোপের সেরা তিনের মধ্যে আসতে পারাটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মান। ফুটবল-বিশ্বে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। আর তার মধ্যে থেকে এই পর্যন্ত আসাটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু রিবেরিই পুরস্কারটার প্রকৃত দাবিদার। ’
তবে ইউরোপসেরার পুরস্কার না পাওয়ার দুঃখ ভুলতে পারলেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলের হারের শোকটা হয়তো এত সহজে ভুলতে পারবেন না মেসি।
এটা যে একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু এখন অতীতের দুঃখ ভুলে সামনের দিকেই নজর রাখছেন তিনি, ‘বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে সেমিফাইনালটা সত্যিই একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা। দুই দলের মধ্যে ব্যবধানটাও অনেক বেশি ছিল। আমরা খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিলাম না। কিন্তু সেটা এখন অতীত।
আমাদের এখন সামনের দিনগুলোর দিকে তাকাতে হবে। ’ গোল ডটকম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।