যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
গতকাল রাসেল (........) বললো, বর্তমানে পোলাপানরা যে ইংরেজী উচ্চারণের মত করে বাংলা বলে যেমন, আমাড়, তোমাড়, কি ব্যাপাড়, সেটা আসলে কোন ট্রেন্ডের সাক্ষর নয়। এটা নতুন কিছু তৈরী করছে না। বিদেশীদের উচ্চারণে বাংলা বলা কালচারাল এফিলিয়েশন হয়ে যাচ্ছে। শর্মা হাউজ থেকে বের হয়ে ফুটপথে গড়িয়েছে তখন আলোচনা। সাখাওয়াত বিষয়টাকে কালচারাল এসিমিলেশন ভাবছে যার শুরু আসলে হয়েছে শর্মার অর্ডার দিয়ে বসে থাকতে থাকতে।
আমি বললাম আগেরদিন ডি রকস্টার দেখার অভিজ্ঞতার কথা। অন্যআনন আর আমি দেখছিলাম বাসায় বসে। ডার্ক নামের একটা ব্যান্ড পারফর্ম করলো। তাদের উচ্চারণ ডিজুজ। বিচারকদের মধ্যে পার্থ বললো, বাংলা কি বাংলার মত করে উচ্চারণ করা উচিত নয়? ব্যান্ডটির ভোকাল বেশ কনফিডেন্সের সাথে স্বীকার করলো, তারা ইচ্ছে করলে ঠিকমত উচ্চারণ করতে পারবে।
অন্য বিচারক অর্থহীনের সুমনের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, তার ঐ একটু ভিন্ন উচ্চারণের বাংলাই ভাল লেগেছে। শাফিন সেটাকে টেনে বললেন, জ্যামাইকান রেগে তো ইংরেজীর উচ্চারণকে পালটে দিয়েছে, তাতে এমন কি ক্ষতি হয়েছে!
বিষয়টা হচ্ছে আমরা আসলে কিভাবে উচ্চারণ করবো তা কি কোন স্টান্ডার্ডে বেঁধে রাখতে হবে নাকি উন্মুক্ত থাকবে। যেদিক থেকে যা আসে তাই এফিলিয়েট করে দেয়াই কি হবে ট্রেন্ড! শর্মা খেতে খেতে রাসেলের এমন অভিমতে বাকীবিল্লাহ জানালো, জ্যামাইকানরা ইংরেজীটাকে তাদের কালচারে এডপ্ট করে নিয়ে তাদের মত করে বলছে। সেটা একটা প্রতিবাদের ঢঙে। আমাদের বরঞ্চ ইংরেজীকে বাংলার একসেন্টে বলা উচিত, নট লাইক ...য়্যমেরিকান স্টাইলে।
সে হিসাবে ইংরেজরা তাদের মত করে বাংলা বলছে। কিন্তু আমাদের বাংলা উচ্চারণ হয়ে যাচ্ছে ওদের মত করে বাংলা বলা! যা কোন স্টান্ডার্ড নয়। না আছে এতে কোন ক্রিয়েটিভিটি!
কিন্তু আমরা যখন বের হলাম, সৃজনের কেনা সিগারেটের ধুম্র উদগীরণ করতে করতে হাতিরপুল থেকে শাহবাগের দিকে হাঁটছিলাম, তখন মনে হলে, যাই হোক না কেন, সেটা বিকৃত করুক আর নতুন কিছু নির্মাণ করুক ডিজুজ ভাষা এখন সংস্কৃতির ভেতরে একীভূত হয়ে গেছে। রাসেল (.......) বিষয়টাকে অনৈতিক এফিলিয়েশন বলুক, বাস্তবতা বুঝতে আমাদের দশবছর পেছাতে হবে। মানে আজকের কিশোরেরা যেভাবে ভাবে সে থট প্রসেসটা বুঝতে হবে।
আমরা সেই নৃতাত্বিক বিশ্লেষণে পেড়ুলাম হাঁটাপথটুকু। ভাষার ক্রমাগত নতুন রূপ এসিমিলেট হতে দেখাটাই আমাদের কাজ, কিভাবে অন্যজনে বলবে সেটা নির্ধারণের দায়ভার কে কাকে কবে দিয়েছে! ডিজুজ সামছুরা না হয় কোপালই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।