চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
আজকের লেখাটি শুরু করছি একটি সত্য ঘটনা দিয়ে। স্বাধীনতা যুদ্বের এই ঘটনাটি এক মুরব্বীর মুখে শুনা। এক রাজাকার হিন্দু এক ভদ্রলোকের বাড়ি দেখিয়ে পাকসেনাদের বলল, ইধার এক হিন্দু রেহেতা হে। পাকসেনারা হিন্দু মারার জন্য ঐ বাড়িতে ঢুকল। হিন্দু ভদ্রলোক আবার শখবশতঃ রবীন্দ্রনাথের বড় একটি ছবি দেয়ালে টাংগিয়ে রেখেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের ছবি দেখে পাকসেনারা রাজাকারকে গালাগাল শুরু করল। কেতনা বড়া মাওলানাকা তসবির হে আর শালা রাজাকার বলতা হায় ইধার হিন্দু রেহেতা হে। রবীন্দ্রনাথের দাড়ি সেদিন হিন্দু ভদ্রলোককে বাচিয়ে দিয়েছিল।
সেই পাকসেনাদের মত কিছু ব্লগ পন্ডিত আছেন যারা খুব সহজেই চিনতে পারেন কে রাজাকার, কে দেশপ্রেমি।
ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ভুল অর্থে যদি মওলানা শব্দটি ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু ভুললে চলবেনা ভাসানিকে আমরা সবাই মওলানা ভাসানী বলে থাকি।
রাজাকারদের ব্যপারে আমার অবস্থানটিও বলে নেই। আমার কাছে রাজাকার তারাই যারা স্বাধীনতা যুদ্বের বিরোধীতা করে পাকসেনাদের সহযোগিতা করেছিল এবং এখনও যারা তাদের আগের মতাদর্শ নিয়ে আছে। যেহেতু তারা এদেশের বিরোধীতা করে তাই তাদের শুধু এই ব্লগ নয় এদেশও ত্যগ করা উচিত ।
আর যদ্ধাপরাধী হলে বিচার হওয়া উচিত।
এবার আসা যাক বাক স্বাধীনতার নামে যারা ব্লগ ত্যাগ করেছেন তাদের প্রসংগটি। বাক স্বাধীনতার নামে যথেচ্ছারিতা অবশ্যই নিন্দনীয়। তারা যা করছিলেন তা অপপ্রচারের শামিল। এমনিতেই পশ্চিমাদের অপপ্রচারে ইসলাম এখন সভ্যতার এক নাম্বার শত্রু। অর্থনীতি, সামরিক শক্তি, সবদিক দিয়েই পিছিয়ে থাকা মুসলমানরা এখন পৃথীবির সবচাইতে বড় হুমকি।
চিন্তা করুন একটি গ্রামের কথা যেখানে একদিকে রয়েছে ধনবান, শক্তিশালী মোড়লেরা অন্যদিকে কিছু গরিব শক্তিহীন মানুষ। এখন অপপ্রচারে শক্তিহীন মানুষেরাই হুমকি। সবচাইতে বড় ভিলেন। তাই ব্লগ ত্যাগীদের ইসলামকে হেয় করাটাকে আমার কাছে পশ্চিমাদের অপপ্রচারের মতই মনে হয়েছে, যেই পশ্চিমাদের চোখে মুসলমান মানেই টেরোরিষ্ট।
গতকাল বুদ্বদেব গুহের চাপরাশ উপন্যাসটির হাতে পেলাম।
উপন্যাসটির একজায়গায় লেখা চারনের (প্রধান একটি চরিএ) কথা দিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি।
"কলকাইত্তা বাবুরা চারপাতা ইংরেজি পড়ে গায়ের হিন্দু আর তাদের ধর্মকে কেবল হেলা করতে শেখে, তাদের বিশ্বাসটাকে সম্মান করতে শেখেনা। " (হুবহু নয়)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।