আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুগলের বাংলা শিখছে (চুপিচুপি)



আমি মাঝেমধ্যেই সুযোগ পেলে ভাল বা ইন্টারেস্টিং ওয়েবকাস্ট দেখতে পছন্দ করি। ওয়েবকাস্ট হল, রেডিওতে যেভাবে কোন প্রোগ্রাম ব্রডকাস্ট করা হয় তেমনি কোন অনুষ্ঠান ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচার করাই হল ওয়েবকাস্ট মোটামুটি ওয়েবকাস্টের তত্ব। বেশ কিছুদিন আগে দেখছিলাম এরিখ স্মিডটের (এই হাফ জার্মান নামগুলা বাংলা করা এক ভেজাল) ইন্টারভিউ দেখছিলাম। সেখানে একটা ইন্টারেস্টিং আইডিয়ার কথা বলছিল। আমি অনেক সময়েই চিন্তা করতাম যে সার্চের এই সয়লাবের যুগে আরো কি আসছে সামনে।

তখন ওর কথাটা শুনে মনে হল যে এখনো আমরা একেবারেই শৈশবেই আছি। তার আইডিয়া ছিল যে, মনে করি কেউ একটা তথ্য খুঁজছে। ধরি কোন এক ধরণের কলার রোগ সম্পর্কে একটি বিশেষ তথ্য তার দরকার। এখন সে যখন খুঁজছে তখন তার সার্চ হল ইংরেজীতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইংরেজীর ওয়েব বিশ্বে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য নাই।

কিন্তু ঠিক যেই তথ্যটা সে খুঁজছে, সেটাই বাংলাদেশের কোন কৃষিবিদ তার নিজের ব্লগে টুকে রেখেছেন, এখন সার্চ ইঞ্জিন যদি বুঝতে পারত ইংরেজী সার্চ কোয়েরীর পিছনে কি তথ্য খোঁজা হচ্ছে আর সেটাই পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায় কি বোঝায় তাহলে হয়ত দিব্যি সেই কৃষিবিদের ব্লগটাই সামনে তুলে আনত। শুনে আমি ভেবেছিলাম যা বলা হচ্ছে সেটা হয়ত আরো দশ বছরের পরের টেকনলজী। আর যদি সম্ভবও হয় তাহলে ইংরেজীর সাথে ইউরোপীয় ভাষাগুলো যেগুলোর পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আছে সেগুলোতে হবে। দেখলাম নিজেরা কতটা পিছিয়ে আছি। সেদিন সার্চ করছিলাম ইংরেজীতে তিন গোয়েন্দা নিয়ে।

আমার ধারণা ছিল যে আমার প্রিয় কিশোর থ্রিলার সিরিজের লেখাগুলোর ক্ষেত্রে সবারথাআমার প্রিয় কিশোর থ্রিলার সিরিজের লেখাগুলোর ক্ষেত্রে সবার ওপরে আমার ওয়েবসাইটই থাকবে। বাস্তবে দেখলাম তা না। প্রথমেই আছে উইকিপিডিয়াতে রকিব হাসানের পেজ। খুবই বাস্তব, খুবই যুক্তিযুক্ত। যিনি আসল লেখক তার ওয়েব থাকতেই পারে।

তিন নম্বরের আছে আমার ওয়েবসাইট বইমেলার একটা লিঙ্ক। সেটাও মেনে নিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় এন্ট্রিটাই আমাকে ধান্দায় ফেলে দিল। মাথায় হাত দিয়ে বসলাম, হায় হায়! গুগল এইটারে পেল কিভাবে। ওয়েবসাইটটা হল টানেল টু, আর সেটি থ্রি ইনভেস্টিগেটর নামে একটি ইংরেজী কিশোর সিরিজের বিষয়ে নিবেদিত সাইট।

মূলত যেই ইংরেজী সিরিজটা রকিব ভাই এডাপ্ট করে তিন গোয়েন্দা সিরিজটা লিখেছিলেন। সাইটে বাংলা তিন গোয়েন্দা বার তার রিলেটেড কিছু অনেকক্ষণ ধরে খুঁজে নাম গন্ধও পেলাম না। তখুনি সন্দেহ জাগল, তাহলে কি গুগল বাংলা শিখে ফেলেছে? মনে হয় তলায় তলায় একটু একটু করে অনেকটাই শিখে ফেলেছে। একসময় হটাত করে মাথা চাড়া দিবে। আর কেউ কি ধরে ফেলেছিলেন গুগলকে এইভাবে লুকিয়ে বাংলা শিখতে গিয়ে? আমার পরের দুটো পোস্ট একটু সিরিয়াস হবে বলে আশা করছিঃ)


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।