লোকালপ্রেস হঠাৎই একদিন সে আবিস্কার করলো- শরীরে, বয়সে মননে বিয়ের উপযুক্ত হয়ে উঠেছে সে। বিয়ের কথা এখন বলা যায় জনসমক্ষে। পিচ্চি বলে কেউ থাপ্পড় দেবে না। মনে মনে খোঁজাখুজি। চারদিকের সব মেয়ের সঙ্গেই নিজেকে কল্পনা করে, আর বাছাই করে।
কল্পনা আর বাছাই। নেত্রকোনার প্রত্যন্ত গ্রামে এক কাজে গিয়ে রাস্তায় এক স্কুল বালিকার সামনে পড়ে সে। তার মনে হয়, এতদিন পর মিলল একেবারে মনের মতো। মেয়েটি ছেলেটির মনে এক’শ ভাগ টিকে গেল। এত সুন্দর কোন মানুষ হতে পারে-- এ বিস্ময় ছেলেটির মনে।
নিরবে মেয়েটির ঠাঁই ঠিকানা খোঁজ নিয়ে ঢাকায় ফিরলো ছেলেটি। ভাবলো, ওর সাথেই বিয়ে হবে তার। পরিবার থেকে সরাসরি প্রস্তাব পাঠালো মেয়েটির বাড়িতে। বাড়ির সবার বিবেচনা মেয়েটি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল। আশ্চর্য ! ছেলেটিকে মেয়েটিও দেখেছিল।
মেয়েটি বলল, ওই চাপা ভাঙা পোলার লগে বিয়া... তোমরা কি পাগল ইইছো? খবর পেয়ে ছেলেটি ’দেবদাস’ হয়ে উঠলো। তার সচেতন মন বলে ‘ভাঙা চাপা তুলতেই হবে’, আর অবচেতন মন বলে -‘এত বড় কথা যে মাইয়া কয়, তার লগে বিয়ার কথা ভাইবা পাপ করছি’। দিন যায়, সপ্তাহ যায়। ছেলেটি চাপা উচু করার জন্য নানান থেরাপি চালায়, চাপা আর ওঠে না। বিমর্ষ মন আরো বিষন্ন হয়ে পড়ে।
পনের দিনেই ছেলেটি এই দূরাশা ত্যাগ করার সিদ্ধান্তে অটল হয়ে ওঠে।
তারপর ? কয়েকদিনের মাথায় ছেলেটির বিয়ে হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানলাম, ছেলেটি পেয়েছে ওই মেয়েটিকেই .... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।