ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো বরাবর ফরহাদ মাজহার,
গত ডিসেম্বরে নয়া দিগন্ত পত্রিকায় একটি কলামে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। বেশ সচেতন ভাবেই এমন একটি ধারনা তৈয়ার করতে চেয়েছিলেন যেন, এই বিচার-ফিচার কিসসু হয় নাই। সবি ভূয়া-ফকিক্কার। সেটা করতে গিয়ে বলেছেন "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোন সমালোচনা আমলে নেয় নি"। এখন এটা পরিস্কার ট্রাইব্যুনাল বেশ ভালো ভাবেই সমালচনা আমলে নেয়।
এই পর্যন্ত যেসব পত্রিকাকে ট্রাইব্যুনাল সতর্ক করেছে তার মধ্যে নয়া দিগন্ত সর্বচ্চো সংখ্যকবার নোটিশ পেয়েছে, একবার এসে ' সরি স্যার, আর ভুল হবে না' বলে মাফ চেয়েছে ভুল সংবাদ পরিবেশন করার জন্য। এছাড়া আছে, সংবাদ, নিজ এজ, কট্টর সরকার সমর্থক জনকন্ঠ সহ কিছু পত্রিকা। এরমানে কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না ট্রাইব্যুনাল।
স্কাইপ কথাপোকথন ফাঁস হবার পর ট্রাইব্যুনাল রিফর্ম করা হয়েছে। নুতুন বিচারক এসে আবার যুক্তিতর্ক শুনছেন, যদিও আইনে পুনরায় বিচারের সুযোগ নাই।
এরমানে তারা আমলে নিয়েছেন ব্যাপারটা। তারপরেও ন্যায় বিচারের স্বার্থেই নুতুন বিচারক আবার দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক অংশটি শুনছেন। এতেও প্রমাণিত হয়, ট্রাইব্যুনাল সমালোচনা আমলে নেয়, নিচ্ছে, আশা করি ভবিষ্যতেও নিবে।
আরও দাবি করেন "শুধু ট্রাইব্যুনাল নয়, পুরা বিচার বিভাগই মুখথুবড়ে পড়েছে"। স্যার, আপনার এই কথাটাও ঠিক না।
বরং এদ্দিন পুরো বিচার বিভাগ মুখ থুবড়ে ছিল। এখন উঠে দাড়াচ্ছে। এতদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খুনী, ধর্ষকদের বিচার হয় নাই, এখন হচ্ছে। এতদিন ছিচকে চোর-বাটপারের বিচার করেছে, এখন গণহত্যার বিচার হচ্ছে। বিচারপতির স্কাইপে কথা বলা নিশ্চয়ই গণহত্যার সমান অপরাধ নয়।
ডেভিলস এডভোকেট হিসাবে জাতি আপনাকে মনে রাখুক। ট্রালা-লা।
ভালো থাকবেন।
-বাঙ্গাল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।