এমন বিদঘুটে পরিস্থিতিতে জীবনে কখনও পড়িনি। ‘দোটানা’ বললেও ভুল বলা হবে। বলা উচিৎ ‘দো যুদ্ধ’ কিংবা ‘দো মহাযুদ্ধ’। দোদুল্যমানতায় খুব একটা আমি ভুগি না। যেকোনো সিদ্ধান্ত আমি সাধারণতঃ ঝট করে নিয়ে ফেলি।
কোন ড্রেস কিংবা কেডস কিনতে গেলে এক লহমায় ঠিক করে ফেলি কোনটা কিনব। একরাশ কাপড় দেখাতে বলি না। আমি যে খুব খুতখুতে তাও না। আসলে চাহিদা কম কিংবা বলা যেতে পারে অল্পেই খুশী। এবারের সমস্যাটা একেবারে ভিন্ন।
আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। চলছে বলাটা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না। ‘চলছে’ শুনলে মনে হয় ঘটক সাহেব কেবল ছবি দেখিয়েছে কিংবা দুঃসম্পর্কের খালা ফোন মাকে জানিয়েছে, ‘আমাদের বাসার নিচের তলায় খুব সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে থাকে। একবার দেখতে পারো। ’ ঠিক এতোটা প্রিলিমিনারী অবস্থা না।
কথা বার্তা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ছবির আদান প্রদান, মেয়ে সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া এগুলো অনেক আগেই শেষ।
কনে দেখার ব্যাপারটাও হয়ে গেছে। সেদিন আমি নিজেও সঙ্গে গিয়েছিলাম। আগেই বলেছি আমার খুতখুতে স্বভাব নেই।
মেয়েটি যথেষ্ট সুন্দরী, অপছন্দ করার প্রশ্নই ওঠে না। লেখাপড়ায় খারাপ না। একরাশ মেয়ে দেখে বেড়ানো ব্যাপারটা আমার নিজেরও অপছন্দ। ফলে মেয়েটিকে একবার দেখেই মত দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ছোট খাট দায়সারা গোছের গল্প।
একা কথা বলার সুযোগও দেয়া হল। খুব নায়কোচিত ঢঙ্গে জানালাম বিয়েতে আপত্তি থাকলে এখনই বলে দিতে। উত্তরে মিষ্টি একটা হাসি অর্থাৎ ‘তেমন কোন আপত্তি তাঁর নাই’।
এরপরের গল্প খুব সুন্দর ভাবেই এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তা হল না।
হঠাৎ একদিন মোবাইল ফোনে আসলো একটি অনুরোধ। একবার দেখা করতে পারি কি না। অবাক বেশী হলাম না উৎকণ্ঠিত বেশী হলাম, বলতে পারবো না। কেন যেন মনে হল ও কোন সমস্যায় পড়েছে। প্রেমে হয়তো খানিকটা পড়েই গিয়েছিলাম কিংবা মেয়েটিকে ইম্প্রেস করার ছোট কোন ইচ্ছা মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
তাই ইস্পাৎ কঠিন শপথ নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম ‘যত সমস্যাই হোক আমি ওর পাশে দাঁড়াব। ‘
আপ্রাণ চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। আসলে সমস্যাটা এতোটাই অনাকাঙ্ক্ষিত আর অপ্রত্যাশিত যে এখনও ঠিক স্থির হতে পারি নি। ওর জন্য কষ্ট পাচ্ছি না, এমনটা না। তবে নিজের মনের অবস্থা আবিস্কার করে নিজেই বেশ লজ্জিত বোধ করছি।
খুব উদার সাজবার একটা প্রচেষ্টা মনের ভিতরে কাজ করছিল। আগে যদি প্রেম থেকেও থাকে মেনে নিব। বলবো, আবার একটা চেষ্টা করে দেখোই না। এবারের অভিজ্ঞতা হয়তো খারাপ হবে না।
অন্য চিন্তাও করে রেখেছিলাম।
যদি বলে তার পক্ষে এই বিয়ে করা সম্ভব না বা অন্য কেউ আছে তার জীবনে কিন্তু বাসায় জানাতে পারছে না—এমন কোন সমস্যা থাকলেও বেশ নায়কোচিত ভাব দেখিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সরে আসবো। এমন একটা সমস্যায় পড়বো, স্বপ্নেও ভাবিনি। তার চেয়েও বড় কথা আমার নিজের প্রতিক্রিয়া। আমার প্রতিক্রিয়া এমন হবে তাও আমার প্রত্যাশার বাইরে ছিল। নিজেকে বেশ উদার মনের ভাবতাম।
কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, আমি আসলে ভয়ানক ধাঁচের এক ভন্ড।
২
কি হল?
বিয়েটা ভেঙ্গে আসলাম।
কেন ?
কারণটা পার্সোনাল অ্যান্ড কনফিডেনসিয়াল।
মানে?
মেয়েটার কাছে প্রমিজ করেছি কাউকে বলব না।
মেয়ে পক্ষকে কি বলব?
সেটা নিয়ে আমিও চিন্তায় আছি।
মেয়েটার অ্যাফেয়ার আছে নাকি?
না। অন্য ব্যাপার। অনেক বেশী কমপ্লিকেটেড। চা খাবো।
দিচ্ছি।
মেয়েটাকে কিন্তু আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল।
আমারও। বাট কিছু করার নাই। অন্য ব্যাপারে কথা বল।
লাভ খুব একটা হবে না।
মা একটু পরেই অন্য কোন ছুতো ধরে এই প্রসঙ্গ টানবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে এখন মায়ের সঙ্গে আলাপ করি কি করে? ওদিকে মেয়েটাও রিকোয়েস্ট করেছে যেন কাউকে না বলি। একটা চিঠিতে সব লিখে মাকে দিব? রিস্ক আছে। যখনই কাউকে বলতে যাবে কেন বিয়ে ভাঙল, তখনই মা সবাইকে ডিটেলস কাহিনী শোনাবে। সেটা আমি চাইছি না।
বাবাকে ব্যাপারটা জানানো যায়। অন্ততঃ ঘটনাটা ডিসক্লোজ হবে না।
সমস্যা এতদুর এগোতো না। ঘটনাটা আগে বলে ফেললে হয়তো আমাদের তরফ থেকে না বলে পাঠাতাম। হ্যাঁ বলে দেয়া হয়েছে।
এখন আবার না বলা বেজায় এম্ব্যারাসিং। এসব সমস্যায় বাবা বেশ কাজে দেয়। খুব যুক্তিসঙ্গত একটা ব্যাখ্যা দেয়। তবে সমস্যা হবে অন্য জায়গায়। বাবাকে যতটা চিনি, আমার মতে বাবা বাঁধা দিবে না তবে মেনেও নিবে না।
এখন মেয়ে পক্ষকে কিভাবে না বলা যায় সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। আসল কারণ বলাও যাবে না। বললে মেয়েটাকে সমস্যায় ফেলা হবে। আবার অন্য কোন যুতসই কারণও মাথায় আসছে না।
মেয়েটার কোন বড় অসুখ আছে?
মা চা নিয়ে এসেছে।
তবে এসেই এতো তাড়াতাড়ি এই টপিক শুরু করবে আশা করি নি। আসলে মা সাসপেন্স ধরে রাখতে পারছে না। মাকে শোনানোর জন্য বিশ্বাসযোগ্য কোন গল্পও তৈরি করতে পারছি না। আর আসল কারণ তো বলাই যাবে না। যাই ঘটুক বাবার সঙ্গে আগে আলাপ করব।
দরকার হলে মা কে বাবাই হ্যন্ডল করবে।
সিচুয়েশান খুব এম্ব্যারাসিং আমি জানি মা। আমি নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না কি করব।
আমাকে বলবি না এই তো?
সৎ উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ।
আমি তো তোর কেউ না।
এটা মায়ের পুরনো ফর্মুলা। এখন আমাকে প্রমাণের চেষ্টা করতে হবে মা আমার অনেক কিছু। প্রমাণ দাখিল না করলে শুরু হবে কান্নাকাটি। আজকে কেন যেন মায়ের সঙ্গে দুষ্টমী করতে ইচ্ছে করল। বললাম,
জানোই তো, তুমি আসলে আমার কেউ না।
এখন বরং কান্নাকাটি শুরু কর।
মা আমাকে চেনে। আমার দুষ্টুমি করার স্বভাবও মায়ের চেনা। এও জানে এখন আমার পেটে বোম মারলেও কথা বেরোবে না। কেঁদে কোন লাভ নাই।
তবে মায়ের জন্য খারাপ লাগছে। কারণ না জানা পর্যন্ত ছটফট করবে। উপায়ও নেই। বাবা না ফেরা পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতেই হবে। ল্যাপটপে মনোযোগ দিলাম।
কে বলল তোকে?
কি কে বলল? ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই বললাম।
এই যে, আমি তোর আসল মা না।
৩
জরুরী তলব করলেন যে?
মেয়েটাকে আজ অপূর্ব লাগছে। একদম সেজে আসে নি। খুব তাড়াহুড়ো করে এসেছে বোঝাই যাচ্ছে।
কেবল থ্রি পিসটা পাল্টেছে আর যেন তেন করে চুলটা বেঁধেছে। অবশ্য আমিও এর জন্য দায়ী। বিকেলে আসতে চেয়েছিল। আমিই বলেছিলাম এখনই। শুধু পাঁচ মিনিটের জন্য।
গল্প খুঁজে পাচ্ছেন না?
কোন গল্প?
কি বলে বিয়ে ভাঙবেন।
বিয়ে তো ভাংছি না।
ভ্রু কুঁচকে তাকাল মেয়েটা। আজকে কেন যেন মেয়েটার সব কিছুই ভালো লাগছে।
পুরো সমস্যাটা শেয়ার করা যায়?
আপনার নামটা জানা হয় নি।
শুধু নাম জানার জন্য বিয়ে করবেন?
হেসে ফেললাম। মেয়েটার সেন্স অফ হিউমার তো খারাপ না। শুধু চেহারা না, মেয়েটাকেও ভালো লাগতে শুরু করেছে। বললাম,
ঠিক ধরেছেন। আমি মত পাল্টেছি।
এই বিয়েতে আমার মত আছে।
আমার কথার ধরনে বোধহয় কিছু ছিল। মেয়েটার হাসি হাসি মুখ গম্ভীর হয়ে গেল। পরিবেশ একটু হালকা করা দরকার। বললাম,
যা শুনলাম আপনাদের বাসা থেকে অনেক কিছু পাচ্ছি।
যৌতুক গুলো মিস করতে চাচ্ছি না।
কাজ হল না। গম্ভীর মুখ করেই তাকিয়ে আছে। কিছু হয়তো বলতে চাচ্ছে। কিংবা হয়তো কারণ জানতে চাচ্ছে।
কারণ বলতেই এসেছি, কিন্তু পরিবেশ একটু স্বাভাবিক করা দরকার। কি করব বুঝে পাচ্ছি না।
কারণটা কি খুবই ব্যক্তিগত?
কিছুটা স্বস্তি পেলাম। কথাটা বলা যত সহজ হবে ভেবেছিলাম ততোটা হচ্ছে না। কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।
আমি আসি।
কেন?
কারণ এ বিয়ে হচ্ছে না। আমার মত নেই।
৪
ঘুরঘুর করছিস কেন? কি বলবি বলে ফেল।
মেয়েটা রাজী না।
কেন?
আমি কেন মত পাল্টেছি তা বলতে দেরী করেছিলাম বলে।
অবশেষে বলেছিস?
না।
অ্যান্ড?
মানে?
মানে কিসসা কি খতম? না আগে বাড়াতে চাস?
বুঝতে পারছি না।
দেন ঘুমাতে যা।
তাতে কি হবে?
ঘুম আসলে বুঝবি মেয়েটাকে তুই ভালবাসিস নি।
আর না আসলে?
না আসলে তুই একটা গাধা।
দেন আই গট মাই অ্যানসার। গত দুই ঘণ্টা ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। পারিনি।
দেন, হোয়াট আর ইউ ওয়েটিং ফর?
ওয়েটিং ফর অ্যান আইডিয়া।
সেটাও আমাকে বলে দিতে হবে?
ঠিক তা না। আমার আইডিয়া টা এনডোরস করতে হবে।
এনডোরসড। গো অ্যাহেড।
না শুনেই?
ইয়েস মাই সান।
মেয়েটা ফোন যখন ধরছে না, সোজা বাসায় চলে যা।
তুমি কি করে জানলে ফোন ধরছে না?
অ্যান্ড ওয়ান থিং। এবার কোন প্রশ্ন করবি না। আগেরবার বেশী প্রশ্ন করে সমস্যা বাধিয়েছিলি।
ইউ আর অ্যা গ্রেট ড্যাড।
ওয়ান মোর থিং। ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসলে ঘরে আমাকে আর ড্যাড ডাকবি না।
নো চান্স।
৫
আই লাভ ইউ।
কথা শেষ?
জ্বী।
মেয়েটা অবাক হবে না রাগবে চিন্তা করছে। বাবার কাছ থেকে বেড়িয়ে সোজা মেয়েটার বাসায় এসেছি। একটু চিন্তায় ছিলাম গিয়ে কি বলব। মেয়েটার নাম জানি না। মাকে জিজ্ঞেস করার উপায় নেই।
মার এখন ‘কান্নাকাটি’ সপ্তাহ চলছে। মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। মেয়েটার বাসায় বেল বাজিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। অন্য কেউ দরজা খুললে কি বলব। কাকে চাই।
তবে কপাল ভালো। মেয়েটার মা খুলল। আপ্যায়ন করে বসাল। ‘কি ব্যাপার’ এর উত্তরে সোজাসুজি জানালাম, ‘ওর সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই’। এর কিছুক্ষণ পরে মেয়েটা এলো।
‘তোমরা কথা বল’ বলে মা চলে গেলেন।
বলে তো ফেলেছেন।
আপনাদের বাড়ীতে মেহমান আসলে চা নাশতা দেয়া হয় না?
মেয়েটা এবার হেসে ফেলল। দারুণ মিষ্টি হাসি। এসব আগে কেন লক্ষ্য করিনি।
এখনও বোধ হয় খুব দেরী হয় নি।
দেয়া হয়।
ওকে দেন। ততক্ষণ ওয়েট করি।
কি বলব বুঝে পাচ্ছি না।
সব কথা খুব গুছিয়ে বলতে হবে। মনে হচ্ছে মেয়েটা বেশ অভিমানি টাইপ। এমন সময় নাস্তা চলে এলো।
এতো তাড়াতাড়ি?
আবার মিষ্টি করে হাসল মেয়েটা। কাজের মেয়েটা চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল।
এরপর বলল,
গতকাল আমার বার্থ ডে ছিল। কিছুটা কেক মিষ্টি বেঁচে গিয়েছিল। সেসব রেডিমেড নাস্তা দিয়েই আপনার আপ্যায়ন হচ্ছে। তাই এতো দ্রুত এসেছে।
গিফট আনিনি যে।
পরে পাঠিয়ে দিয়েন।
মানে, আপনি বাকী চাহিলে লজ্জা পান না।
হাসি হাসি মুখে আবার তাকাল। এই মেয়েকে কেন যে না বলতে গিয়েছিলাম।
বলে ফেলুন।
আমাকে পুরোটা বলতে দিতে হবে। থামাবেন না।
বেশ।
আপনাকে না বলার পরে বাসায় যখন মন খারাপ করে ফিরলাম তখন মায়ের প্রশ্ন শুরু হল। কথাবার্তার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম মা, আমার আসল মা না।
আই মিন, জন্মদাত্রী না। আমি কি বোঝাতে পারছি?
শেষ?
না না। আরও আছে।
শেষ করুন।
না বুঝলে বলবেন।
হ্যাঁ, যখন জানতে পারলাম আমি অ্যাডপ্টেড অ্যান্ড প্রোডাক্ট অফ রেপ তখন সব কিছু উল্টে গেল।
তখন একটা রেপড মেয়েকে বিয়ে করে উদ্ধার করতে ইচ্ছে করল।
আপনাকে বলেছি না, শেষ করতে দিবেন। কোথায় ছিলাম? ও হ্যাঁ, যা বলছিলাম। আমার মা ছিলেন একজন বীরাঙ্গনা।
আমাকে একটা এতিম খানায় দিয়ে উনি চলে যান। আর সেখান থেকে আমাকে আডপ্ট করা হয়। এতিমখানার সঙ্গে বাবার ভালো পরিচয় ছিল বলে শুধু বাবা জানতেন আমার আসল পরিচয়।
মেয়েটা স্থির চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। রেগে আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না।
আপনি কি শুনছেন?
শেষ হয়েছে?
না হয়নি। বাবাকে যখন জানালাম যে আপনাকে একবার আপনার কিছু ক্লাসমেট গ্যাংরেপ করেছিল, আর তাই এ বিয়েতে আমার মত নাই, বাবা কেঁদে ফেললেন। এরপর পুরো ঘটনা বললেন।
মেয়েটা এবার ম্লান হাসল। কেমন একটা সহানুভুতির ভাব তার চেহারায়।
খুব ঠাণ্ডা গলায় বল?
এত বড় ভুল করবেন না। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক দয়া দিয়ে তৈরি হয় না। আপনি মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে দয়া করে আমাকে বিয়ে করতে চাইছেন।
এটা ছিল গত দিনের কারণ।
মানে?
মানে গতদিন যখন আপনাকে জরুরী ভাবে ডেকেছিলাম তখন যে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলাম তা ছিল পিওর দয়া।
কিংবা অনুশোচনা বা হিরোইজম যা খুশী বলতে পারেন। তাই যখন আপনি না বললেন, প্রথমটায় ভেবেছিলাম রিলিভড ফিল করবো। কিন্তু তা হল না।
তার বদলে কি হল?
এখন ঘুমাতে পারছি না।
অনুশোচনায়?
ধ্যাত।
চোখ বন্ধ করলে শুধু আপনাকে দেখছি।
মেয়েটা হেসে ফেলল।
কখনও কোন মেয়েকে প্রপোজ করেন নি, না?
প্রেমে পড়া কাকে বলে তাই জানতাম না, প্রপোজ করবো কি করে।
আবার মিষ্টি হাসি। এবার জানলেন কি করে?
আমি যে আপনার প্রেমে পড়েছি তাই তো বুঝতে পারিনি।
বাবা বলার পরে বুঝতে পারলাম। বিশ্বাস হচ্ছে না?
হচ্ছে।
বাবা যখন বলল, ‘ঘুমাতে যা’ তখন বুঝলাম আমি আপনার প্রেমে পরে গেছি। চোখ বন্ধ করলেই আপনাকে দেখছি। আমি কি বোঝাতে পারছি?
বোধ হয়।
মেয়েটা মাথা নিচু করে হাসছে।
কি বুঝলেন?
খুব গাধা টাইপের ছেলেরা এভাবে প্রপোজ করে।
আর সেই গাধা টাইপের ছেলেরা কি উত্তর পায়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।