আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সার্ফ এক্সেল আছেনা!

সার্ফ এক্সেল এর একটা খুব সুন্দর বিজ্ঞাপন ছিল এমন, ভাই বোন মিলে আচ্ছা করে মজা করে খেলতে গিয়ে জামা কাপড় কাদামাটিতে একাকার করে এসে মা এর সামনে দাঁড়াল, মা দেখে অগ্নিমূর্তি! এটা কি হল! জামা কাপড় এর এই অবস্থা কেন! ছোট বোনটা ভয়ে তার পিঠাপিঠি ভাইটার পেছনে গিয়ে আড়াল হতে চেষ্টা করল, আর বুদ্ধিমান ভাইটি স্বাভাবিক জবাব দিল সার্ফ এক্সেল আছেনা! তার মানে এতো চিন্তার কি আছে, ময়লা কম হোক আর বেশী হোক সার্ফ এক্সেল আছে, ভিজিয়ে দিলেই উঠে যাবে... আমার অফিসে নতুন জয়েন্ট করলেন মাধু, অতি হ্যাংলা আর ছোটখাট মিশুক টাইপ এর, সবার সাথে মজা করে চলে, ওনি সহ সবাই মিলে ঘুরতে বের হলাম কার্নিশে (সমুদ্রতীরে) যাব। ঈদ এর বন্ধ তায় রাত জেগে ঘুরছি, মাধু যাবে টয়লেটে, সাথে গেলাম সবাই, আরো পর্যটক আছে টয়লেট ইউজ করবে যে যেটাতে খালি পাচ্ছে ঢুকছে, আমিও একটা ফাঁকা পেয়ে গেলাম ঢুকে, টয়লেটগুলো ছিল ডিজিটালাইজড, অটোমেটিক ফ্লাশ হবে এবং ডোর ক্লোজড হবার একটা নির্দিষ্ট সময় পর নিজ থেকেই ওপেন হয়ে যাবে, টাইম ফিক্সড করা আছে পাঁচ মিনিট, প্রতি পাঁচ মিনিট পর ডোর ওপেন হয়ে যাবে এবং ফ্লাশ হবে। আমি বের হবার পর ওটাতে ঢুকল মাধু, বেচারা জিপার না খুলতেই দরজা খুলে গেল, মাধু তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে দৌড়ে বের হয়ে গেল, আমি তো হাসতে হাসতে শেষ, কি হল এটা! আসলে ব্যাপারটা হল, ওটা ছিল শিশুদের টয়লেট তায় ওটাতে ওজন ফিক্সড করা ছিল, ওজন কম হলে ডোর ক্লেজড হবেনা, যেহেতু শিশুর টয়লেট তাই ওখানে শিশুর সাথে গার্ডিয়ান থাকতে হবে যাতে কোন বিপদাপদ না হয়, আর মাধুর ওজন যেহেতু কম তায় ডোর প্রথম ক্লোজড হল কিন্তু যখন দেখল ওয়েট কম তখন নিজ থেকেই আবার ওপেন হয়ে গেল, মাধু আবার অন্য টয়লেটে গিয়ে ................. এবার আসল কথাটা বলি, মানবতা অপরাধ ট্রাইবুনাল এর প্রথম রায়টা হয়ে গেল গতকাল ২১.০১.২০১৩, মাওলানা আবুল কালাম আযাদ এর ফাঁসির রায় ঘোষণা হল, হয়তো নিকট পরবর্তীতে আরো কিছু রায় আসবে এবং বর্তমান দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির যে আবহ চলছে তাতে অনুমান করা যায় ওগুলোও ফাঁসির আদেশ হতে পারে, আমি বা আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারিনা যেহেতু সেটা বিচারাধীন আছে, তবে আন্তাজ বা ধারণা করা যায়। জানিনা পাঠক আমার উপর বিরক্ত হচ্ছেন কিনা, উপরে তিনটা ঘটনা বললাম কিন্তু কোনটার সাথে কোনটার কোন সম্পর্ক নেই। এবার আসুন যদি তিনটি ঘটনা যদি মিলে একটা ঘটনা বানিয়ে সাজাই তাহলে কেমন দেখায় একটু দেখি বর্তমান সরকার যুদ্ধ অপরাধীর বিচার করতে গিয়ে বিষয়গুলো এমন ঘোলাটে করে বসে আছে যে, আমরা এই বিচার এর নামকরণটাই বুঝতে অক্ষম, এটা কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীর বিচার নাকি যুদ্ধ অপরাধীর বিচার। এই দুইটা শব্দের প্রথম অংশে মিল না থাকলেও দ্বিতীয় অংশে কোন সমস্যা নেই সেটা হল অপরাধীর বিচার, সেই সূত্রে হলেও আমরা একটা বিষয়ে একমত হতে পারি যে, যাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে তারা অপরাধী কিনা সেটা ট্রাইবুনাল নির্ধারণ করবে কিন্তু অভিযোগ হচ্ছে তারা মানবতা বা যুদ্ধ অপরাধী। প্রিয় পাঠক বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম দয়া করে একটু ভাববেন কি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করতেই পারেন, তৎকালীন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তারা হয়তো চায়নি পাকিস্থান ভেংগে যাক এবং ইন্ডিয়ার আধিপত্য হোক, পাকিস্তান ও চাইনি বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং স্বাধীন হবে, সেই সূত্রে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অনস্থান নেবার জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক, কারো কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ঘরপোড়া, লুট, নারি নির্যাতন এর মতো অনেক কিছুর মিশেল দেয়া হচ্ছে এখানেই আমি দ্বিমত পোষণ করি, আমার মনে হয় একজন সাধারণ এবং সুস্থ মস্তিষ্কের লোক হলেই বুঝবেন যে, একজন মাওলানা হয়ে কিংবা অধ্যাপক হয়ে নিজে স্বশরীরে এসব কাজ করবেন, ওনারা যদি কিছু করে থাকেন তা হল সহযোগী হিসেবে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে থাকতে পারেন এবং সেটা প্রমাণ হলে ওদের যা শাস্তি হবার হবে এবং হোক এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা না। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা এমন দাঁড়ালো যে, ময়লা যেহেতু একটু লাগল ধুতে যখন হবে তাহলে ময়লা আরো লাগানো হোক ক্ষতি কি, তাই তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমত অভিযোগ এনে এবং টয়লেটের দরজা বন্ধ করার জন্য অভিযোগগুলো ওজনদার করা হচ্ছে যাতে ফাঁসির আদেশটা সহজেই হতে পারে। ট্রাইবুনাল এর কাছে আমার আকুল আবেদন তারা যদি অপরাধ করে থাকে যে পরিমাণ করেছে সেটার শাস্থি দিন, তাদের অপরাধের কারনে যদি তাদের ফাঁসি হয় হবে, সেই রায় এর জন্য আপনাদের নাম স্বর্ণক্ষরে লিখা থাকবে, দেশের একজন স্বাধারণ নাগরিক হিসেবে সেই আবেদনটা আমি বা আমরা করতেই পারি সত্য একদিন বের হবেই আমরা চাইনা ইতিহাসে এই বিচার এবং রায়, বিভাজন আর প্রহসন এর দোষে দুষ্ট হোক.......  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।