[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
মাত্র দিন চারেক আগে যাদের এত এত প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছি, মুগ্ধতায় পড়েছি স্তুতি সংলাপ সব, আজ চার দিন বাদে তাদেরকেই ভৎর্সনা করব এতটা অবিবেচক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতে পারছিন্। া আর সেটা মনে হয় উচিৎও নয়।
দি বিউটিফুল গেম, দি নেকেড গেম অথবা অনিশ্চয়তার খেলা তো আর ক্রিকেটকে এমনে এমনে বলা হয়না। ও খেলা যে ওমনই।
ও খেলাতেই যত লো পিচ, বাউন্সি পিচ, স্লো উইকেট , স্লো আউট ফিড, ফাস্টার আউট ফিল্ড, সুইং , গুগলি কত শত কেরফা।
কখণ কোন পিচে কোন মাঠে কার কপাল পুড়বে জানেনা ঐ খেলার কোন খেলোয়াড়ই।
কিন্তু তারপরও খেলতে নেমে তো ঘোমটা না থূড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে হবেনা। খেলার প্রয়োজনীয় অঙ্গ সঞ্চালন করতেই হবে।
যেহেতু কনডিশন দুদলের জন্যেই মোটামুটি একটি নির্দিষ্ট দিনে কাছাকাছি কেরফা হয়েই ধর্ণা দেয় তাই ঐ অবস্থাতেই ফাইট করতে হবে। তাইলেই না স্বার্থক খেলোয়াড়।
হার বা জিতই কেবল স্বার্থকতার পরিচায়ক , মনে করতে চাচ্ছিনা।
লো স্কোরিং ম্যাচ হয়েই থাকে অনেক পিচে। সেটা এক দলেরই হলে কেবল তখনই কিন্তু খেলোয়াড়দের দোষারূপের একটি যুতসই কারন খোঁজা যায়।
গতকাল বাংলাদেশের ম্যাচে লো স্কোর করার পেছনে কিছুটা কেয়ারলেস ভাব দেখা গেলেও আদৌ ঐ পিচে( চরম বাউন্সি) আমাদের লিলিপুট পেলেয়ারদের পে খেলাটা অতটা সহজ ছিলনা ।
এবং যার প্রমাণ রেখেেেছ বোলাররা ফাইট ব্যাক করে।
গুড বয়েজ , গুড।
কিন্তু ভোদাইর মতো সুমন কেনো ক্রিজের মাঝে দাড়িয়ে কল্পনায় সুর ভাজছিল , ভেবেই পাচ্ছিনা। একটা বিশ্বকাপ দলের ক্যাপ্টেন যদি এাই কেয়ারলেস হয়, তবে তাকে ভৎর্সনা না করাট্ইা দেশপ্রেমিক হিসেবে আমাদের অন্যায়। ক্যাচ যে কারও হাত ফসকাতেই পারে, সেটা কি সুমন জানেনা। নাকি!
এনি ওয়ে আমাদের তিন বাহাতি ব্যান্ড স্পিনার এই বাউন্সি পিচেও নিজ মান বজায় রেখেছে, বিশ্ব অবাক হয়েছে, আমরা হয়েছি খূশি।
সাকিব দৃঢ়তার সাথে সম্মান বুকে আগলে আপন নিম্নগামী রানরেট বেশ বাড়িয়ে নিয়েছে ( অপরাজিত থেকে), দলের পতনে শেষ বালির বস্তা হয়ে বন্যার স্রোতের তোড়ের গতি কমিয়েছে , তাকে অজস্র অভিনন্দন জানাতেই হয়। জানাচ্ছি।
ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে আমরা মাত্র ১৪৩ রান করেও ইংল্যান্ডের মতো টীমের প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানকে মাত্র ১১০ রানে সাজঘরে পঠাতে পারি। আমরা বিশ্বাস বুকে ধরতে পারি নিশ্চয় অচীরেই আমরা এই অল্প রানেই ৬ টির সাথে লোয়ার উইকেট কটিও ফেলার সামথ্য ধারন করব। আমরা বিশ্বাস করি আমারা সেই লড়াকু বাংগালী জাতি।
কিন্তু আমাদের একটাই সমস্যা আমরা
ওলয়েস আনকনসিসটেন্ট , নট অনলি ইন ক্রিকেট বাট অলসো ইন আদার এসপেকটস টু।
করনসিসটেন্িস একটু একটু করে সহন শীলতার সাথেই বাড়াতে হয়। চুইংগামের মতো টেনে হঠাৎ লম্বা করে ছেড়ে দিলে দ্রুতই ক্রাকড সহ ছোট হয়ে যায়।
তবে খেলাতে যতটা কনসিসটেন্সি আমাদের সোনার খেলোয়াড়রা অর্জন করতে পেরেছে , পেরেছে কি দেশের রাজনীতি আর অথনীতি আর অন্য সব নীতির ত্রে সেভাবে।
আশা করি।
কিন্তু বুঝতে হবে , এগোতে হবে। বাড়াতে হবে যুতসই এবং টেকসই কনসিসটেন্সি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।