বিক্ষিপ্ত জীবন. . . কখনো হাসায় . . . কখনো কাদাঁয় . . . আবার কখনো নির্ভেজাল অন্ধকার ঘিরে ফেলে চারদিক থেকে . . .
একটেল। পুরো নাম টিএম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেম। একটেলে রয়েছে টেলিকম মালয়েশিয়ার 70 শতাংশ শেয়ার। বাকি 30 শতাংশ শেয়ারের মালিক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটেলের একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, শীঘ্রই একটেলের বাংলাদেশ অংশের 30 শতাংশ শেয়ার কিনে নেবে টেলিকম মালয়শিয়া।
এই কেনাকাটা সম্পন্ন হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। তখন একটেলের পুরো মালিকানা চলে যাবে টেলিকম মালয়েশিয়ার কাছে। তবে আপাতত একটেলের নাম পরিবর্তন করা হবে না।
কেন এই বেচাকেনা? এই প্রশ্নের জবাবে সুত্র জানায়, বাংলাদেশী শেয়ার হোল্ডারের নানা রকম চাপের কারনে আগাতে পারছে না একটেল। টেলিকম খাতের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রফেশনাল এপ্রোচও দেখাতে পারছে না বাংলাদেশী পার্টনার।
তাই তাদের শেয়ার কিনে প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে সাজানোর সিদ্ধানত্দ নিয়েছে টেলিকম মালয়েশিয়া।
তবে সমসত্দ শেয়ার কেনার পরে আবার তার কিছু অংশ বিক্রিও করতে পারে টেলিকম মালয়শিয়া। ইতিমধ্যে একটেলের শেয়ার কিনতে আগ্রহও প্রকাশ করেছে বেশ কিছু দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে একটেল সুত্রে জানা যায়, টেলিকম মালয়শিয়া নতুন পার্টনার নেয়ার ৰেত্রে মুলত তিনটি বিষয়ে নজর দেবে। এগুলো হচ্ছে ফিনেনসিয়াল কনডিশন, প্রফেশনালিজম এবং স্টাবলিশমেন্ট।
বাংলাদেশে টেলিকম মালয়েশিয়ার পরবতর্ী পার্টনার হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলো বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রম্নপ, ভারতের মোদি গ্রম্নপ (স্পাইস কমিউনিকেশনস), আবু ধাবি ভিত্তিক ওয়ারিদ টেলিকম এবং বাহারাইনভিত্তিক ব্যাংক আল ফালাহ।
গত মাসে ভারত ও মালয়েশিয়ার একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যে, বাংলাদেশের মার্কেটে প্রবেশ করতে চাচ্ছে ভারতের মোদি গ্রম্নপ। কারন তারা মনে করে বাংলাদেশের টেলিকম খাত খুব দ্রম্নত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এই খাতে বিনিয়োগের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। এজন্য বাংলাদেশের কোন একটি মোবাইল অপারেটরকে তারা পুরোপুরি বা আংশিক কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
(ক্লোজআপহাসি)
উলেস্নখ্য মোদি গ্রম্নপ টেলিকম মালয়েশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের পাঞ্জাব এবং কর্নাটকে স্পাইস কমিউনিকেশন নামে টেলিকম সেবা দিয়ে থাকে।
স্পাইস কমিউনিকেশনে টেলিকম মালয়েশিয়ার 49 শতাংশ এবং মোদি গ্রম্নপের 51 শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাংলাদেশেও একইভাবে কার্যক্রম চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।
দ্রষ্টব্য: উপরের রিপোর্টটি পুরোপুরি সত্য। পুরো দেড়দিনের পরিশ্রমের ফসল। কিন্তু এটা প্রকাশ করার সাধ্যি আমার নেই।
কেন নেই? কারন অজ্ঞাত!
আর ছবিটি তুলেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।