যোদ্ধা
আজকে মনের এক অতি বেদনা দায়ক স্মৃতি না লিখে পারতেছি না ! এই স্মৃতিটা আমি বহন করতেছি সেই স্কুল লাইফে পড়া এক উপন্যাসের মাধ্যমে ! সেই উপন্যাসের কথায়ই এইখানে ফুটে উঠবে ধীরে ধীরে ! উপন্যাসের এক রূঢ় বাস্তবতা আমাকে ঘীরে রেখেছে খুব ক্লোজ ভাবে ! উপন্যাসের মেসেজ গুলা তখন হয়তবা সব বুঝি নাই বাট ধীরে ধীরে বয়স বাড়তে থাকল, খুলতে থাকল চোখ বুঝতে থাকলাম অনেক কিছুই ! সেই মেসেজগুলা ধীরে ধীরে আমার সামনে অবমুক্ত হতে থাকল খুব কঠিন বাস্তব রুপে !
কাহিনী শুরুঃ-
নামঃ Requiem for a Dream (2000)
(বলা যায় স্বপ্নের দুর্বিষহ মৃত্যু )
রেটিংঃ আইএমডিবি ৮.৪/১০ ! পচা টমেটোসঃ ৭৪% (বিস্মিত)
পারসোনালঃ ৯.৭৫ !
পটভূমিঃ মুভির পরিচালক Darren Aronofsky। লেখক Hubert Selby, Jr. এর একই নামের নোভেল থেকে তিনি গল্পটাকে ফিল্মে রুপ দিয়েছেন। হু, এই সেই আমার পড়া নোভেল ও তার লেখক !এবং অবশ্যই এটা ড্রাগ ও তার কুফল এর উপরে ভিত্তি করে নির্মান করা হয়েছে। এই মুভিতে দেখা যাবে মূল চরিত্রগুলো বিভিন্ন ধরনের নেশায় আক্রান্ত হয়ে পড়বে যা তাদের বাস্তব জীবন থেকে আলাদা করে দিবে ওজীবনে ডেকে আনবে চরম বঞ্চনা, এবং একটি মর্মান্তিক,করুণ পরিনতি।
সংক্ষেপঃ ৪ টা চরিত্রের উপরে ড্রাগের প্রভাব নিয়ে ফিল্ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করে।
শুরুতেই নায়ক তার স্বামীহীন বৃদ্ধা মায়ের খুব পছন্দের টেলিভিশন বিক্রি করে দেয় এবং অবশ্যই ড্রাগের নেশায়। নায়কের সাথে ড্রাগে জড়িয়ে পড়ে তার বন্ধু ও প্রেমিকা। একটু একটু করে তারা নেশার গভীরে ঢুকতে থাকে। তারা প্লানও করে, তারা ড্রাগের ব্যাবসা করবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে। পরে তাদের কোমল ভালোবাসাটাকে পরিপূর্ণ রূপ দিবে বিয়ের মাধ্যমে।
কিন্তু আমরা যা চিন্তা করি সব কি আর আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী হয়? আর এতো আরো একটা সর্বনাশা রাস্তা যেখানে প্রতিনিয়ত ঝামেলা লেগেই আছে ! ফলে ব্যাবসায় নিজেদের সর্বস্য হারিয়ে নিস্ব হয়ে পড়ে তারা। এখন কি হবে? জীবন তো চালাতে হবে নাকি নেশা আর তাইতো দরকার টাকার,ড্রাগের নেশায় কারোরই চিন্তা শক্তি কাজ করছে না। এদিকে নায়িকা টাকার জন্য এক পয়সাওয়ালার কাছে নিজের দেহ তুলে দেয়। এর পর ঘটতে থাকে একের পর এক নারকিয়তা (যেগুলো আসলেই গায়ের লোম খাঁড়া করে দিবে, মনকে নিমজ্জিত করে দিবে এক গভীর বেদনা দায়ক অন্ধকার সুড়ঙ্গে) ! যতদিন যায় টাকার প্রয়োজন আরও বাড়ে। আর নিত্যদিন নিজেকে বিক্রি করতে থাকে নায়িকা।
একদল যৌনপ্রিয় লোকদের সামনেও লাইভ সেক্স করতে দ্বিধা করে না (পরিস্থিতির ব্যাপকতা বোঝাতে এইটুকুই যথেষ্ট), হয়তো আগামীতে এসব করেই টিকে থাকবে। এদিকে নায়কের ড্রাগ নিতে নিয়ে এক হাতে কনুয়ের কাছে পচে গেছে,সেটা কেটে ফেলতে হয়। নায়কের বন্ধুকে জেলে দেওয়া হয়। এদিকে নায়কের মা একা থাকতে থাকতে কল্পনার আশ্রয়ে সময় কাটায়, সেখান থেকে তিনি রিয়েলিটি শোতে ডাক পান। কাল্পনিক চিন্তা ভাবনা নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য তিনি ওষুধ সেবন শুরু করেন।
দিন দিন পরিমান বাড়িয়ে দেন। তিনিও আক্রান্ত হয়ে যান ড্রাগের ভয়াবহতায়। এভাবেই শেষ হতে থাকে অতি কষ্টের এক অধ্যায়, অতি বাস্তব কিছু দৃশ্যের সেলুলয়েডের কাজ !
মতামতঃ প্রত্যেকের অভিনয় অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে Jennifer Connelly। একদম চোখে তাক লাগিয়ে দেবার মতো।
প্রত্যেকটা ফলাফল নাড়া দিলেও নায়িকার ফলাফলটাতে চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি পড়েছে । চিৎকার করে কেঁদেছি (হায়রে টাকা, হায়রে নেশা, হায়রে বুক ফাটা অনুভূতি)। এই ফিল্মের মিউজিক এবং ক্যামেরার কাজ প্রচুর ব্রেনে প্রেশার ফেলবে (সো এক্সপার্ট উপদেশ হইল নবরত্ন ইউজ কইরেন )। অটোমেটিক্যালি ভিতর থেকে একটা অদ্ভুদ শিহরন সৃষ্টি হয়।
#* সবথেকে বড় কথা হইল জনসচেতনা মূলক ফিল্মের লিষ্ট করলে এটা অবশ্যই উসাইন বোল্ট (অলওয়েজ নাম্বার ওয়ান) !
আমি #বাংলাদেশ_সরকারকে স্ট্রংলি রিকমেন্ড করব এই মুভিটা প্রচারের জন্য ব্যাপক ভাবে *#
বি ভেরি প্রিপিয়ারড টু ওয়াচঃhttp://yify-torrents.com/movie/Requiem_for_a_Dream_DIRECTORS_CUT_2000
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।