[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
শোঁ শোঁ... দৌড়ে দৌড়ে আসছে দাম্ভিক বাতাস;
ছুটছে এপাশ থেকে ওপাশ , এধার থেকে ওধার;
ভীষন গতি, প্রভঞ্জন বহতার গম্ভীর সুর তাতে আর
ধ্বংসের সর্বনাশা ক্ষমতার পরিপূর্ণতা লব্ধ সে।
ছুটতে ছুটেত নর্তন কুর্দন তার কখনও কখনও
চারপাশে শূণ্যতার এক বৃত্ত মাঝে দাঁড়ানো আমায় ঘিরে।
আমাকে ছোঁয়না রাগী আর দাম্ভিক ঝড়
আমাকে দেয়না সে ধ্বংস শান্তির বর।
উহ্ ! দেহের ভেতরে আমার লুকিয়ে কুৎসিত দৈত্য এক
দিয়েছে ফাঁকি ঝড়ো বাতাসের চোখ; অন্তর্ধান তার
আমারই অস্বচ্ছ দেহের আড়ালে উষ্ণ খাাঁচায় ।
ওরে স্বার্থপর দুষ্ট দৈত্য, কৃতজ্ঞতা নাই বা জানালি
চুপতো থাকবি অন্তত, খেমা তো দিবি অপকর্মে তোর ,
অথচ তুই ভীষন প্রভঞ্জনেও কৃতঘ্ন হলি যে বড়!
খাবলে খাবলে খাচ্ছিস আমার ভেতরের খোলা পর্দা
জানিস না ওখানে সঞ্জীবনি সব নালী, বহতা রক্তর
তোর নখর আঁচরে তাই যেই ছুটেছে রক্তের নহর
সেই তো শুরু সর্বনাশের কাল , বেচে থেকেও
বাচার প্রতিই দারুন নিরুৎসাহ, জীবন দুর্ভিসহ।
ছুটন্ত বাতাস রক্তের ঘ্রান পাবেনা আবার , পায় নি বলতো কবে?
শূন্যতার মৃতু্য হলেও কবর হলোনা বাতাসের ঔধত্য পনায় তবে।
প্রলয়ের বাতাস দেহের বহি পর্দায় কুটকুট করে দেয় কামড়,
ভূমিতে ফেলে দেয় উল্টে দেহ;
ওরে ঐ হারামী দৈত্য , ভেতরে আর কত খামচাবি?
বাতাসের যে রক্তের নেশা কাটবেনা , ওটা যে চিরন্তন;
থামেনা বাতাসের দেহ খুঁড়ে খুড়ে ঝড় ঢোকানোর মিথ্যে আশাও
জানতে চায়না - চির লুকায়িত তুই যে হবিনা বাতাসের বশীভূত,
তবুও ছাড়বেনা বাতাস দিবা নিশী, অবস্থানে দেহের
অবস্থান থামিয়ে দেবে, দেবে সজীবতার অসহ্য বিশদ কষ্ট ।
ভেতরে বাহিরে আছে কি আর মোর অক্ষত কিছু
মরণের দিকে তাকিয়ে ভাবি নেবো কি তাহার পিছু?
28/2/2007
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।