আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনুস সাব রাজনীতি করতেই পারেন, তার রাজনৈতিক দলগঠনে আমি ক্যান বিরোধীতা করুম!?

কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...

ইনুস সাবেরে লইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক আর ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনগুলি খেপছে। যেই কারনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা পর্যন্ত দিছে। তাদের বক্তব্য ইনুস সাব এই অনুষ্ঠানে অতিথী বক্তা হওনের যোগ্যতা হারাইছেন, কারণ তিনি আর দল নিরপেক্ষ নাই, তার নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান তৈরী হইয়া গেছে...বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য মাফিক সমাবর্তনে বক্তা হিসাবে নির্দলীয়, সর্বজনগ্রাহ্য কোন ব্যক্তিত্যরেই এই দায়িত্ব দেওনটা যৌক্তিক! শিক্ষক সমাজ আর ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলির এই প্রতিবাদ আমার কাছে যুক্তিগ্রাহ্যই ঠেকে, অবশ্যই অতীতের সকল উদাহরণ পর্যবেক্ষণ করলে, সর্বজনগ্রাহ্যতা না আসলে সমাবর্তন বর্জণের ঘটনা আছে এর আগেও। আর ইনুস সাবে রাজনীতি করনের ঘোষণা দেওনের লগে লগেই তার এই কোয়ালিটি হারাইছেন। কিন্তু আমার একটা জিনিষ চোখে লাগলো সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্য আর গুটিকয়েক ব্লগারের ইনুস বিরোধী বক্তব্যের কারনে।

সকলেই ইনুস সাবের সুদখোর সত্ত্বার প্রতিবাদে দারুণ সোচ্চার...য্যান সুদখোর এই দেশে নাজায়েজ, রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সাথে সুদখোর চরিত্র বিরোধাত্মক! ইনুস সাবের যে কোন কিছুর বিরোধীতা করনে এর আগে দেখা গেছে আমি সামনের সারিতেই থাকনের চেষ্টা করছি। ঋণ নির্ভর জাতি তৈরীতে তার ভূমিকা, স্থানীয় সরকার প্রশাসন লইয়া তার কিছু রাজনৈতিক ভূমিকা কিম্বা উন্নয়ণের যেই সহজ ফমর্ুলার কথা উনি বলেন তার বিরুদ্ধে আমি সকল সময় সোচ্চার! কিন্তু আমি এর আগেও আমার ব্লগপোস্টে এই বিষয়টা পরিষ্কার করনের চেষ্টা করছি, ইনুস সাবের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমার কোন বিরোধ নাই। এই দেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের লেইগা যেইসব যোগ্যতা লাগে তা তার পুরাদমে আছে...সে এই দেশের নাগরিক, সে একজন পূর্ণ বয়স্ক ভোটার, তার টাকা আছে, সে বক্তৃতা দিতে জানে, সে সাংগঠনিক পরিকল্পণা করতে জানে ইত্যাদি। আসলে ক্যাম্পেইনটা কিসের লেইগা? একটা অদ্ভুত যুক্তি আসে ইনুস সাবের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিরোধীতা করনে, তিনি নোবেল পাইছেন, রাজনীতি করলে এই কৃতিত্ব কলুষিত হইয়া যাইবো। হায়রে রাজনীতি! এইটার সম্পর্কে মানুষের ধারণা যে কি সেইটা খুব সহজে টের পাওন যায়।

কিন্তু এর আগেও বলছি এখনো বলতেছি, ইনুস সাবে এমন কিছু মহাভারতের শুদ্ধ কইরা লেখেন নাই যে তিনি মহাপুরুষ হইয়া গেছেন! বরং তার অতীত সকল কর্মকান্ড আর ব্যবসা এই দেশের রাজনীতিতে পার্টিসিপেট করা সব রাজনৈতিক পার্টিজানগো লগে ভালই মিলে...(সালমান এফ রহমানের কোন কমপ্লেক্সে শুনছি 14,000 শ্রমিক আছে, তিনিও কইছিলেন এইটার আসল উদ্দেশ্য হইলো দেশের বেকারত্বের অভিশাপ কমাইয়া ফেলা)। ইনুস সাব রাজনীতি করবেন, তার ঘোষণা দিছেন, তার দলের নাম ঘোষণা দিছেন, অপরিপক্ক হইলেও একটা দলীয় সংগঠনের পদ্ধতি নির্দেশ করছেন। এইভাবেই তিনি তার দল গড়বেন। আর ভবিষ্যতে নির্বাচন করবেন। যেই নির্বাচন হইবো বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক সংঘটিত একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

মানুষ ভোটার আইডি নিয়া ভোট দিতে যাইবো, তারা কারে নির্বাচিত করবো তা আমরা এখনো জানি না। কিন্তু উদ্ভট হইলেও এই দেশের একদল শহুইরা মধ্যবিত্ত অতি আগ্রহী হইয়া তারে ক্ষমতায় দেইখা ফেলছে অলরেডি! এরা আবার এক দলের না! এদের এক অংশ ইনুস বিরোধী (মনে হইতেছে এই অংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ) আরেক অংশ খুব স্বাভাবিক ভাবেই আশাবাদী। আমি নিজে ইনুস সাবের উপর নির্ভরশীলতার বিরোধী। তার জীবন যাত্রা আর পূর্ববর্তী সব আদর্শিক অবস্থান আর উন্নয়ণের ফরমু্যলায় আমার আদৌ নির্ভরতা নাই। তিনি ক্ষমতায় আইসা জাতির ভাগ্য পালটাইয়া দেওনের কোনই ক্ষমতাই রাখেন না।

বরং দেশের জাতীয় উন্নয়ণে যেইসব সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পণা বাস্তবায়নের চেষ্টা অতীতে আওয়ামি লীগ-বিএনপি চালাইছে, সেইটারই একটা কার্যকরী ব্যখ্যা উনি দিছেন, তারে গ্রহণযোগ্য কইরা গিলানের ধান্দা উনি করতেছেন। আমি মনে করি ইনুস সাবে ক্ষমতায় যদি চইলা আসেন, তাইলেও তার উপর আশা রাখনের কোন যৌক্তিক ভিত্তি নাই। অনেক কথা লেইখা ফেললাম কাজের ফাকে...আসল কথা যেইটা কইতে চাই তা হইলো ইনুস সাব রাজনীতি করেন...তার দলে মধ্যবিত্ত আর গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নির্ভরতায় থাকা মানুষগুলি জিন্দাবাদ! জিন্দাবাদ! কইরা গলা দিয়া রক্ত বাইর কইরা ফেলুক! কিচ্ছু আসে যায় না। কেবল এইটা উন্নয়ণের বিকল্প পথ এই ভাবনা যাতে এই জাতিরে আশান্বিত না করে আমি সেই বক্তব্য প্রচারে আছি... (তয় একটা কথা বলতে চাই, সিরিয়াসলি নিয়েন না কেউ, আটরশির পীরের মুরিদ নাকি 3 কোটি!)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।