যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
দু'দিন আগে ঠিক হলো শ্যাজার বাড়িতে নিমন্ত্রন। গঙ্গার উপরে দ্্বিতীয় সেতু ধরে আজ দুপুরে তাই ছুটলাম হলুদ এ্যাম্বাসেডর ট্যাক্সিতে চেপে। ব্রিজের স্প্যানের ছবি তুলে, টোল দিয়ে মন্দিরতলায় নেমে রিক্স চেপে বাড়ি পৌছতে তেমন ঝক্কি হয় নি। ভাগ্যিস শ্যাজা পুংখানুপুংখভাবে ঠিকানা বলে কয়ে দিয়েছিলো।
বাড়ি পৌছে দেখি রান্না চলছে।
রান্না ঘরের কাছেই চেয়ারে বসে পড়লাম, গল্প চললো। মাছ প্রিপারেশন হচ্ছিলো। জানতে চেয়েন না নাম কি? অধমের স্মৃতি শক্তি নতুন নাম রেজিস্টার করায় বেজায় আলসে। শ্যাজা বলতে পারবে। শর্ষে কাসুন্দী দিয়ে মেইন আইটেম মাছটা যা মজা ছিলো না! স্টাটর্ার হিসেবে মাছের ফ্রাইটাও জমিয়ে জম্পেশ।
শবজীটাও তালমিলিয়ে। জয়তু শ্যাজা তোমার হাড়ি কুড়ি!
পৃথিবী বেজায় গোল। শ্যাজার সাথে বন্ধুত্বতখন সবে শুরু। এদিকে জানা গ্যালো আমার বাবার সাথে শ্যাজার কর্তার পূর্ব পরিচয়ের মানচিত্র খানা। বুঝলাম পৃথিবী বেজায় গোলই নয়, বড্ডো ছোটও বটে।
খাটের মাথায় রাখা ক্যাসেট প্লেয়ারে কোলকাতার দোহার ব্যান্ডের দেহতত্ব আর লোকগীতি শুনতে শুনতে ঐ দিকে খাবার তৈরী। দোহারের 'আমার আমি' শুনে তখনই ঠিক করে নিয়েছি 'দোহার' রেকর্ড কিনতেই হবে। পছন্দের বিষয়ে এত্তো ভালো গান বহুদিন শুনি নাই।
মাটিতে আসন পেতে আদর্শ বাঙ্গালী ভোজন সমাপ্তির পরে কম্পিউটার মনিটরে উকি দিয়ে অনেক ছবি দেখে, ছবি টবি দেখে, কোলকেতিয়া মাছ রন্ধন পদ্ধতি শিখে, গল্প করে - সব শেষে মনে পড়লো তাড়া আছে। তাড়ার কথা খেয়াল হতেই দৌড়ে পালাতে হলো; নইলে আর ওমনি আসতাম বুঝি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।